বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ। এর কারন কি?
অর্থনীতিবিদরা হয়তো বলবেন, বাংলাদেশ থেকে গত দশ বছরে ছাড়ে লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এরকম চলতে থাকলে দেশ পাকিস্তানের মতো হয়ে যাবে। বর্তমানে পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধির হার এখন ২০% ছাড়িয়েছে ৷দেশে আটার আকাল চলছে। এদিকে ভিপি নূরের ধারনা খুব শ্রীঘই হাসিনার পতন হবে এবং সে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে। সে এখন উড়ছে! অনেকে মনে করছেন, ভিপি নূর না, পিনাকী প্রধানমন্ত্রী হবেন। একথা সত্য- যে দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে, সে দল স্বৈরাচার হয়ে যায়। এসব বিষয় নিয়ে ধার্মিকদের কোনো চিন্তা নেই। তাদের কথা হলো- মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) সৃষ্টি না হলে পৃথিবী সৃষ্টি হতো না। আল্লাহকে পেতে হলে আগে নবীকে পেতে হবে। দেশের কবি সাহিত্যিকরা বলে বেড়াচ্ছেন- হুমায়ূন আহমেদ এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মূলত বাজারি লেখক।
ওয়াজিরা বলছেন, হাসিনা- খালেদা ভুলে যান।
শুধু আল্লাহর কথা মাথায় রাখুন। দুনিয়াতে শুধু তার উপর ভরসা রাখুন। তিনিই আপনাকে সব কিছু থেকে আগলে রাখবেন। মজলুমেরা ভরসা রাখে শুধু আল্লাহর উপর। অন্যদিকে জ্ঞানীরা বলছেন- ইসলাম কোন ধর্ম নয়। এতে মৌলিক কোন দিক নির্দশনাও নেই। যাইহোক, বাংলাদেশ পৃথিবীর সব কটি দেশের মধ্যে ৩৫ তম অর্থনীতির দেশ। যদি একটু পেছনের দিকে তাকাই তাকান তাহলে দেখতে পাবেন- ১৯৯০ সাল থেকেই দেশ একটা ধারাবাহিকভাবে উন্নতির দিকে যাচ্ছিল। ২০১৪ এর পর থেকে আওয়ামী লীগ অবিনশ্বর হয়ে উঠলো। জনগণ গরু ছাগলের মত সংখ্যা হয়ে গেল তাদের কাছে। তাদের শাসনের কোন তুলনা হয় না। গনতন্ত্রকে হত্যা করা হলো কি? উত্তর কোরিয়ার কিম সাহেবের সাথে শেখ হাসিনার মিল খুঁজে পাচ্ছেন? হাসিনা খুব ভালো করেই জানে যে সে মুখে যাই বলুক না কেন, কেউ তাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না বা করবে না। এই সুযোগটা তিনি বেশ ভাল কাজে লাগাচ্ছেন।
বাংলাদেশে বসে চেটাং চেটাং কথা বলা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশে খুব সহজে ধরপাকড় করা যায়। কিন্তু বিদেশে সেটি সম্ভব নয়। বাংলাদেশে যারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না তারাই স্বাধীনতার জন্য বিদেশে যায়। তাদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত হতে হয়। যেমন ধরুন, পিনাকী সাহেব। এখন তার যা মন চায় তিনি তা-ই বলতে পারছেন তার ইউটিউব চ্যানেলে। কিন্তু কখনো কি দেখেছেন ইউরোপ আমেরিকার কেউ নিজেদের বাকস্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশে এসেছে? সে যাকগে, হাসিনা বলেছেন- 'দুর্নীতির প্রমাণ দেন ব্যবস্থা নেব'। উনি দেশ শাসন করছেন। এরপরও সে নিজে তদন্ত না করে অন্যকে প্রমাণ দিতে বলছে কেন? আমি বলি কি- হাসিনা তো আর দেশকে 'কঙ্গো' করেনি। কঙ্গো'তে ২০ শতাংশ মানুষ অনাহারের কারণে মারা যান। ৪০ শতাংশ মানুষ আধপেটা খেয়ে বাঁচেন। আমরা ভাল আছি। বলেই তো লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ও দিতে পেরেছি।
ভারতের জনগন মনে করছে-
নরেন্দ্র মোদী ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। মানব সভ্যতায় অনেক উঁচুতে ভারতবর্ষ। ভারতের কথা থাক। নইলে লোকে আমাকে ভারতের দালাল বলবে। আমি জানতাম তুরস্ক মুসলিম দেশ। কিন্তু আমার জানায় ভুল আছে। তুরস্ক কোনো মুসলিম দেশ নয়। তুরস্কের সংবিধান অনুযায়ী তুরস্ক একটি ধর্মহীন দেশ। তুর্কি সিরিয়াল গুলোতে উলঙ্গ মেয়েদের উপস্থাপন করা হয়। তাদের দেখলে আমাদের ইমান চলে যাবে। তুরস্ক বাদ। নিজের দেশের কথা ভাবাই ভাল। আমাদের দেশে এত বেকার কেন? কারন হচ্ছে- সবারই মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের ইচ্ছা। এজন্য সরকার ব্যাঙের ছাতার মত ইউনিভার্সিটি গড়ে ওঠার সুযোগ দিয়েছে। যার ফলে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত গ্র্যাজুয়েট তৈরী হয়েছে। যার কারণে উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেশি। কিন্তু এইসব গ্র্যাজুয়েট অদক্ষ ও অযোগ্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩