
শাহেদ জামাল একবার গোছল শেষ করার আগেই-
বের হয়ে পড়েছিলো দরজা খুলে। সে অন্য কোনো ঘরে যায়নি। সোজা দোতলা থেকে নেমে রাস্তায় চলে গিয়েছিলো। ছোট রাস্তা থেকে একদম বড় রাস্তায়। একদম উলঙ্গ সে। রাস্তার মানুষ অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলো। ত্রিশ বছরের একটা ছেলে। এমন না যে সে পাগল। সে একজন সুস্থ সবল মানুষ। বেশ বুদ্ধিমান। দেখতে শুনতে বুদ্ধিদীপ্ত। সেদিন ছোট চাচা শাহেদকে থামালো। বলল, এই শাহেদ এই! শাহেদ নিজেকে দেখে ভীষন অবাক হলো! তার গায়ে কোনো জামা নেই। গায়ে সাবানের ফেনা লেগে আছে।
শাহেদ এই ঘটনা নিয়ে বহুদিন ভেবেছে।
ভেবে ভেবে কোনো কূলকিনারা পায়নি। এই ঘটনার অনেক বছর পর- শাহেদ 'গ্লোডেন ড্রাগন' বারে বসে ছিলো। সাথে তার তিনজন বন্ধু ছিলো। তিন বন্ধু মিলে 'ওল্ড স্মাগলার' নামে একটা মদের বোতল নিয়েছে। শাহেদ জামালের লিমিট হচ্ছে চার পেগ। চার পেগের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে শাহেদের কোনো সমস্যা হয় না। পা টলে না। কথা জড়িয়ে যায় না। কিন্তু সেদিন টানা সাত পেগ খেলে নিলো। সে টলতে টলতে কাউকে কিছু না বলে 'বার' থেকে বের হয়ে গেলো। বন্ধুরা ভেবেছিলো শাহেদ ওয়াশরুমে গিয়েছে।
শাহেদ হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছিলো তেজকুনি পাড়া।
তখন রাত এগারোটা। চারজন লোক শাহেদকে ধরলো। ভদ্রভাবে বলল, ম্যানিব্যাগ, হাতঘড়ি দিয়ে দাও। শাহেদ দিয়ে দিলো। ওরা দেখলে ম্যানিব্যাগে বেশি টাকা নেই। বেশ বিরক্ত হলো। বলল, যা ভাগ হারামজাদা। শাহেদ বলেছিলো- তাহলে আমার শার্ট প্যান্ট রেখে দাও। ওরা বলেছিলো, হারামজাদা ফাজলামো করিস? মাইর খাওয়ার আগে এখান থেকে পালা। শাহেদের বাসা কমলাপুরের দিকে। সে কমলাপুর না গিয়ে চলে গেলো ইন্দিরা রোড। দোতলা একটা বাসায় চলে গেলো। বেল টিপে দিলো। তখন রাত বারোটা।
দরজা খুললো নীলার বাবা।
বললেন, তুমি কে? এত রাতে কি চাও? শাহেদ সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। সে কিভাবে এখানে এলো সে নিজেই জানে না। এমন সময় নীলা চলে এলো। নীলার বাবা বললেন, আপদ বিদায় কর। আমি চাই না কোনো বাজে দৃশ্যের অবতারনা হোক। নীলা বলল, বাবা তুমি ভিতরে যাও। আমি দেখছি। নীলা শাহেদকে বসার ঘরে বসালো। শাহেদ বলল, স্যরি নীলা। আমি এখানে কেন এলাম আমি জানি না। আমি এখনই চলে যাচ্ছি। নীলা বলল, চুপ করে থাকো। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছো না। যাবে কি করে?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




