
আমাদের নবীজি (সঃ) ৬২ বছর বয়সে মারা যান।
তিনি ৪০ বছর বয়সে 'পাওয়ার' পান। এরপর তিনি বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়ে, আল্লাহর কাছ থেকে (সমাধান) সূরা নিয়ে আসেন। সর্বমোট ১১৪ টি সূরা। বোরাকে করে নবীজি সাত আসমানে গিয়েছিলেন। বোরাক থেকে আমাদের জন্য নিয়ে এলেন নামাজ। এখন সারা বিশ্বের সমস্ত মুসলিমরা সেই পবিত্র গ্রন্থ বুকে ধারন করে আছেন। এবং নবীজির দুনিয়াতে যা যা করেছেন, যেভাবে চলেছেন- আমরা চেষ্টা করি নবীজির দেখানো পথে চলতে।
যীশু বেঁচে ছিলেন- মাত্র ৩২ বছর।
নবীজির বহু বহু বছর আগে যীশুর জন্ম হয়েছিলো। যীশুর বানী গুলো আজও মানুষ হৃদয়ে ধারন করে। আবার যীশুর জন্মের ছয় শ' বছর আগে জন্ম নেন মহামতি 'গৌতম বুদ্ধ'। বুদ্ধের অনুসারিদের সংখ্যাও কম নয়। কার্ল মার্কস ৬৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। ৫০ বছর বয়সে তার বিখ্যাত বইটি লেখেন যার নাম ‘ ডাস ক্যাপিটাল’ বা ‘পুঁজি’। অনেকে এই বইকে মানুষের লেখা শ্রেষ্ঠ 'বুদ্ধিবৃত্তিক বই' বলে মনে করেন। ধর্মকে কার্ল মার্কস 'আফিমের' সাথে তুলনা করেছিলেন। আমাদের রবীন্দ্রনাথ মারা যান ৮০ বছর বয়সে। তিনি যখন প্রথম ভারতীয় বাঙ্গালী হিসেবে নোবেল পুরষ্কার পান তখন তার বয়স ৫২ বছর।
কবি নজরুল ৭৭ বছর বেঁচে ছিলেন।
একজন দরিদ্র ও অসহায় কবি। মৃত্যুর আগে কবি নজরুল উন্নত চিকিৎসা পেয়েছিলেন শেখ মুজিব ও তাজ উদ্দীনের কারনে। অন্যদিকে সুকান্ত ভট্টাচার্য মাত্র ২১ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। সুকান্ত দীর্ঘদিন বেঁচে থাকলে আরো দারুন সব কবিতা পেতো বাঙ্গালীরা। ক্ষুদিরাম বসু দেশের জন্য ফাঁসিতে মারা যান। তখন তিনি ১৮ বছরের তরুণ। মহাত্মা গান্ধী হিংসার গুলিতে যখন নিহত হন তখন তার বয়স ৭৮ বছর। মহান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন ৭৬ বছর বয়সে মারা যান। আইজাক নিউটন ৮৪ বছর বেঁচে ছিলেন। আর স্টিফেন হকিংস ৭৬ বছর। আলেকজ্যান্ডার মাত্র ৩২ বছর বয়সের জীবন। মাত্র ৩২ বছরে প্রায় সারা পৃথিবী দখল করে ফেলেছিলেন এই গ্রিক বীর। আমি বলতে চাচ্ছি- 'যারা পারে, তাঁরা পারে। যারা পারে না, তারা কোনো কালেই পারে না'।
আমাদের নবীজি এবং যীশু জন্মের বহু আগে জন্মেছিলেন-
দার্শনিক সক্রেটিস। সক্রেটিস যখন হেমলক পান করেন তখন তার বয়স ৭১ বছর। তার ছাত্র প্লেটো বেঁচে ছিলেন ৮০ বছর আর তার ছাত্র অ্যারিস্টেটল বেঁচে ছিলেন ৬২ বছর। আজও তাঁরা অদৃশ্য ভাবে বেঁচে আছেন। যদিও তাঁরা কোনো ধর্মীয় গুরু নন। ভাবতে অবাক লাগে- ২৪০০ বছর ধরে টিকে আছেন এই তিন মনীষী। যাইহোক, গ্রেট লিডার শেখ মুজিব বেঁচে ছিলেন মাত্র ৫৫ বছর। এরপর তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। লোকটা সত্যিই দেশকে ভালোবেসেছিলেন। সত্যজিৎ রায় পথের পাচালী বানান ৩৫ বছর বয়সে। মারা যান ৭১ বছর বয়সে। মাদার তেরাসা ৮৭ বছরের পুরো জীবনকে মানব সেবায় লাগিয়েছেন।
আর আমাদের বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।
দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন মাত্র ২১ বছর বয়সে। আর বেগম রোকেয়া ৫২ বছরের জীবন পেয়েছিলেন নারীর শিক্ষা বিস্তারের আমৃত্যু কাজ করার জন্য। আমি শালা জীবনে কিছুই করতে পারলাম না। এদিকে ৩৫ টা বছর পার করে ফেলেছি। ভালো করে খুজলে অনেক গুলো সাদা চুল পাওয়া যাবে। রাগ হয়, খুব রাগ হয়। ইচ্ছা করে নিজের মাথার চুল নিজে টেনে টেনে ছিড়ে ফেলি। আমার মাঝে কি কোনো প্রতিভা নেই? জানি না আমি আর কতদিন বেঁচে থাকবো। মৃত্যুর আগে আমি কিছু করতে চাই। দেশের জন্য সমাজের জন্য আমি ভালো কিছু করতে চাই। কারো জন্য কিছু করতে না পারার একটা যন্ত্রনা আছে। সেই যন্ত্রনা আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে।
আমাদের সকলে প্রিয় কবি জীবনানন্দ মারা যান মাত্র ৫৫ বছর বয়সে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


