somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

প্রসঙ্গ ব্লগার 'জুল ভার্ন'

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমি প্রথমেই বলতেই চাই-
শ্রদ্ধেয় জুল ভার্ন আপাতত সামুতে নেই। এজন্য বেশ কয়েকজন ব্লগার জোরজবরদস্তি করে শ্রদ্ধ্যেয় চাঁদগাজীর উপর দোষ চাপাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। ইহা দুঃখজন। এবং নিম্মমানের আচরণ। আমরা ধরে নিতে পারি জুল ভার্ন এবং চাঁদগাজী একই বয়সের মানুষ। অথবা কিছুটা কম বেশি হতে পারে। জুল ভার্ন অভিজ্ঞ মানুষ। অন্যদিকে চাঁদগাজীও দারুন অভিজ্ঞ মানুষ। দেশ, সমাজ, রাজনীতি এবং মানুষ সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা সীমাহীন। চাঁদগাজীর সমস্যা হলো- তিনি 'তেল' দিতে পারেন না। মিথ্যা কথা বলতে পারেন না। লেখার ভুলভাল থাকলে তিনি স্পষ্ট করে বলে দেন। এটা খুবই ভালো একটা দিক। আমি মনে করি, তার বক্তব্য যারা গ্রহন করতে পারে না, তাঁরা আসলে ঠকে গেলো। জুল ভার্ন আমি বিশ্বাস করি কারো উস্কানিতে আপনি নাচার মানুষ নন।

ব্লগার 'জুল ভার্ন' এর সমস্তব লেখা আমি মন দিয়ে পড়ি।
মন্তব্য করি। চাঁদগাজী, জুল ভার্নের লেখা গুলো মন দিয়ে খুটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন। জুল ভার্নের লেখায় কিছু তথ্যগত ভুল থাকতে পারে। সেই ভুল যদি চাঁদগাজীর চোখে পড়ে এবং সেটা যদি উনি বলেন, এখানে অন্যায় বা ভুল কিছু নেই। চাঁদগাজী যাদের লেখাই পড়েন, লেখায় সমস্যা থাকলে তিনি বলতে কার্পন্য করেন না। এটা অবশ্যই ভালো দিক। ব্লগারদের এরকমই হওয়া উচিৎ। আমার লেখায় যদি ভুল থাকে, কেউ ধরিয়ে দিলে আমি হাউকাউ করবো না। বা তাকে কমেন্ট করা থেকে বিরত রাখবো না। কিন্তু অনেকেই এই কাজটা করেন। কতিপয় ব্লগার আমার পোষ্টে এসে আমাকে চোর, ডাকাত বলে যায়। আমি তাদের কিচ্ছু বলি না। এইসব নির্বোধেরা কি ব্লগে আমার পরিসংখ্যান টা দেখে না? চুরী ডাকাতি করে কি ১৩ বছর টিকে থাকা যায়?

আমরা দেখেছি প্রয়াত নুরু সাহেব এবং চাঁদগাজীর আন্তরিকতা।
তাদের মধ্যে কোনো ফাটল দেখিনি। ছিলো গভীর বন্ধুত্ব। অথচ চাঁদ গাজী এবং নুরু সাহেব দুজন দুজনকে মন্তব্যে 'ছাড়' দিতেন না। তাদের দুজনের মধ্যে কেউ চিড় ধরাতে পারেনি। তাঁরা দুজন দুজকে বুঝতেন, মানতেন। তাদের মতো রসিকতা এই সামুতে খুব বেশি ব্লগার করতে পারেননি। জুল ভার্ন সামুতে নেই, এখন কতিপয় ব্লগার এই সুযোগে চাঁদগাজীর উপর একহাত নিয়ে নিচ্ছেন। সুযোগ টা কাজে লাগাচ্ছেন। তাদের এরকম আচরণ দেখলে জুল ভার্ন নিজেই লজ্জা পেতেন। জুলভার্ন বিচক্ষন মানুষ। উনি চিলের পেছনে দৌড়ানো মানুষ নন। উনি ফিরে আসবেন। আর যারা চাঁদগাজীর ক্ষতি করতে উঠেপরে লেগেছেন, তাঁরা মূলত বোকার স্বর্গে বাস করছেন। চাঁদগাজী অন্য জিনিস। তাকে হজম করা সম্ভব না। আমি তো সবাইকে 'ওস্তাদ' ডাকি না। তাকে ডাকি।

জুল ভার্ন আমাকে অত্যাধিক স্নেহ করেন।
তিনি আমার জন্য অনেক রকমের চা পাঠিয়েছেন। আমার কন্যার জন্য লন্ডন থেকে আনা চকলেট পাঠিয়েছেন। উনি আমার কন্যাকে পছন্দ করেন। ঘৃণা যেমন টের পাওয়া যায়, ঠিক তেমনি ভালোবাসাও টের পাওয়া যায়। আমার পরিবারের প্রতি জুল ভার্ন এর স্নেহ ও আন্তরিকতা রয়েছে। আমি চাই তিনি সামুতে ফিরে আসুক। অবশ্যই আসবেন। ভুল বুঝাবুঝির অবসান হোক। চাঁদগাজী ভালো মানুষ। বুদ্ধিমান মানুষ। সামুতে পিএইচডি করা লোক আর বোধ নেই। আশা করি এই রমজানে শ্রদ্ধেয় জুলভার্নের সাথে দেখা হবে। আমরা একসাথে ইফতারী করবো। ডিনার করবো। তিনি আমার কন্যার মাথায় হাত রেখে দোয়া করে দেবেন। তিনি একজন মানবিক মানুষ। একজন হৃদয়বান মানুষ। নতুন নতুন লেখা নিয়ে তিনি সামুতে আসবেন। আমি অপেক্ষায় আছি।

আবারো বলি, জুল ভার্ন আপনি ফিরে আসুন।
এবং আপনি হঠাত চলে যাওয়াতে যারা চাঁদগাজীর উপর দোষ চাপাচ্ছেন তাদের মুখে গোবর পড়ুক। তখন দেখি তাঁরা কোথায় মুখ লুকায়। ধরুন, কেউ একজন আমাকে 'এরশাদ' বলল, তাতে কি আমি এরশাদ হয়ে গেলাম? অথবা ধরুন কেউ একজন আমাকে 'বাদশা' বলল, তাতে কি আমি বাদশা হয়ে গেলাম। আমি জানি আমি কি। ঠিক তেমনি আপনি জানেন আপনি কি? চাঁদগাজী জানেন চাঁদগাজী কি। এই আমি সামুতে টানা ১৩ বছর ধরে আছি। যদি কোনো কারনে দুই সপ্তাহ সামুতে না আসি কেউ খোজ নেবে না। অতীতে বহু ব্লগার হারিয়ে গেছে। ক'জন তাদের খোজ নেয়? কাজেই নিজের জায়গা ছেড়ে যাওয়া যাবে না। কাউকে সুযোগ দেওয়া যাবে না। টিকে থাকতে হবে। দেখিয়ে দিতে হবে। আপনি, আমি এবং চাঁদগাজী কিন্তু নতুন ব্লগার নই। অনেক কিছুর সাক্ষী কিন্তু আমরা। আগামী শীতে আপনি আমি এবং চাঁদগাজী আমাদের গ্রামে যাবো। পুকুরে বরশী ফেলে মাছ ধরবো।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৫০
২১টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

পঁচে যাওয়া বাংলাদেশ আর্মি

লিখেছেন রিয়াজ হান্নান, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৫


একটা দেশের আর্মিদের বলা হয় দেশ রক্ষা কবজ,গোটা দেশের অব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে বহিরাগত দুশমনদের আতংকের নাম। ছোটবেলা থেকে এই ধারণা নিয়ে কয়েকটা জেনারেশন বড় হয়ে উঠলেও সেই জেনারেশনের কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×