আমি প্রথমেই বলতেই চাই-
শ্রদ্ধেয় জুল ভার্ন আপাতত সামুতে নেই। এজন্য বেশ কয়েকজন ব্লগার জোরজবরদস্তি করে শ্রদ্ধ্যেয় চাঁদগাজীর উপর দোষ চাপাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। ইহা দুঃখজন। এবং নিম্মমানের আচরণ। আমরা ধরে নিতে পারি জুল ভার্ন এবং চাঁদগাজী একই বয়সের মানুষ। অথবা কিছুটা কম বেশি হতে পারে। জুল ভার্ন অভিজ্ঞ মানুষ। অন্যদিকে চাঁদগাজীও দারুন অভিজ্ঞ মানুষ। দেশ, সমাজ, রাজনীতি এবং মানুষ সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা সীমাহীন। চাঁদগাজীর সমস্যা হলো- তিনি 'তেল' দিতে পারেন না। মিথ্যা কথা বলতে পারেন না। লেখার ভুলভাল থাকলে তিনি স্পষ্ট করে বলে দেন। এটা খুবই ভালো একটা দিক। আমি মনে করি, তার বক্তব্য যারা গ্রহন করতে পারে না, তাঁরা আসলে ঠকে গেলো। জুল ভার্ন আমি বিশ্বাস করি কারো উস্কানিতে আপনি নাচার মানুষ নন।
ব্লগার 'জুল ভার্ন' এর সমস্তব লেখা আমি মন দিয়ে পড়ি।
মন্তব্য করি। চাঁদগাজী, জুল ভার্নের লেখা গুলো মন দিয়ে খুটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন। জুল ভার্নের লেখায় কিছু তথ্যগত ভুল থাকতে পারে। সেই ভুল যদি চাঁদগাজীর চোখে পড়ে এবং সেটা যদি উনি বলেন, এখানে অন্যায় বা ভুল কিছু নেই। চাঁদগাজী যাদের লেখাই পড়েন, লেখায় সমস্যা থাকলে তিনি বলতে কার্পন্য করেন না। এটা অবশ্যই ভালো দিক। ব্লগারদের এরকমই হওয়া উচিৎ। আমার লেখায় যদি ভুল থাকে, কেউ ধরিয়ে দিলে আমি হাউকাউ করবো না। বা তাকে কমেন্ট করা থেকে বিরত রাখবো না। কিন্তু অনেকেই এই কাজটা করেন। কতিপয় ব্লগার আমার পোষ্টে এসে আমাকে চোর, ডাকাত বলে যায়। আমি তাদের কিচ্ছু বলি না। এইসব নির্বোধেরা কি ব্লগে আমার পরিসংখ্যান টা দেখে না? চুরী ডাকাতি করে কি ১৩ বছর টিকে থাকা যায়?
আমরা দেখেছি প্রয়াত নুরু সাহেব এবং চাঁদগাজীর আন্তরিকতা।
তাদের মধ্যে কোনো ফাটল দেখিনি। ছিলো গভীর বন্ধুত্ব। অথচ চাঁদ গাজী এবং নুরু সাহেব দুজন দুজনকে মন্তব্যে 'ছাড়' দিতেন না। তাদের দুজনের মধ্যে কেউ চিড় ধরাতে পারেনি। তাঁরা দুজন দুজকে বুঝতেন, মানতেন। তাদের মতো রসিকতা এই সামুতে খুব বেশি ব্লগার করতে পারেননি। জুল ভার্ন সামুতে নেই, এখন কতিপয় ব্লগার এই সুযোগে চাঁদগাজীর উপর একহাত নিয়ে নিচ্ছেন। সুযোগ টা কাজে লাগাচ্ছেন। তাদের এরকম আচরণ দেখলে জুল ভার্ন নিজেই লজ্জা পেতেন। জুলভার্ন বিচক্ষন মানুষ। উনি চিলের পেছনে দৌড়ানো মানুষ নন। উনি ফিরে আসবেন। আর যারা চাঁদগাজীর ক্ষতি করতে উঠেপরে লেগেছেন, তাঁরা মূলত বোকার স্বর্গে বাস করছেন। চাঁদগাজী অন্য জিনিস। তাকে হজম করা সম্ভব না। আমি তো সবাইকে 'ওস্তাদ' ডাকি না। তাকে ডাকি।
জুল ভার্ন আমাকে অত্যাধিক স্নেহ করেন।
তিনি আমার জন্য অনেক রকমের চা পাঠিয়েছেন। আমার কন্যার জন্য লন্ডন থেকে আনা চকলেট পাঠিয়েছেন। উনি আমার কন্যাকে পছন্দ করেন। ঘৃণা যেমন টের পাওয়া যায়, ঠিক তেমনি ভালোবাসাও টের পাওয়া যায়। আমার পরিবারের প্রতি জুল ভার্ন এর স্নেহ ও আন্তরিকতা রয়েছে। আমি চাই তিনি সামুতে ফিরে আসুক। অবশ্যই আসবেন। ভুল বুঝাবুঝির অবসান হোক। চাঁদগাজী ভালো মানুষ। বুদ্ধিমান মানুষ। সামুতে পিএইচডি করা লোক আর বোধ নেই। আশা করি এই রমজানে শ্রদ্ধেয় জুলভার্নের সাথে দেখা হবে। আমরা একসাথে ইফতারী করবো। ডিনার করবো। তিনি আমার কন্যার মাথায় হাত রেখে দোয়া করে দেবেন। তিনি একজন মানবিক মানুষ। একজন হৃদয়বান মানুষ। নতুন নতুন লেখা নিয়ে তিনি সামুতে আসবেন। আমি অপেক্ষায় আছি।
আবারো বলি, জুল ভার্ন আপনি ফিরে আসুন।
এবং আপনি হঠাত চলে যাওয়াতে যারা চাঁদগাজীর উপর দোষ চাপাচ্ছেন তাদের মুখে গোবর পড়ুক। তখন দেখি তাঁরা কোথায় মুখ লুকায়। ধরুন, কেউ একজন আমাকে 'এরশাদ' বলল, তাতে কি আমি এরশাদ হয়ে গেলাম? অথবা ধরুন কেউ একজন আমাকে 'বাদশা' বলল, তাতে কি আমি বাদশা হয়ে গেলাম। আমি জানি আমি কি। ঠিক তেমনি আপনি জানেন আপনি কি? চাঁদগাজী জানেন চাঁদগাজী কি। এই আমি সামুতে টানা ১৩ বছর ধরে আছি। যদি কোনো কারনে দুই সপ্তাহ সামুতে না আসি কেউ খোজ নেবে না। অতীতে বহু ব্লগার হারিয়ে গেছে। ক'জন তাদের খোজ নেয়? কাজেই নিজের জায়গা ছেড়ে যাওয়া যাবে না। কাউকে সুযোগ দেওয়া যাবে না। টিকে থাকতে হবে। দেখিয়ে দিতে হবে। আপনি, আমি এবং চাঁদগাজী কিন্তু নতুন ব্লগার নই। অনেক কিছুর সাক্ষী কিন্তু আমরা। আগামী শীতে আপনি আমি এবং চাঁদগাজী আমাদের গ্রামে যাবো। পুকুরে বরশী ফেলে মাছ ধরবো।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৫০