
এক কামিলদার হুজুর মসজিদে নামাজ পড়ে বের হয়ে এসে বলছেন, যা যা।
একলোক দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখলো। বলল, হুজুর এখানে তো কেউ নেই, আপনি কাকে যা যা বলছেন? হুজুর বললেন, আমি দেখলাম মক্কা শরীফের ভেতর একটা কুকুর ঢুকতে যাচ্ছিলো। আমি তাকে তাড়িয়ে দিলাম। লোকটা হুজুরের ক্ষমতায় মুগ্ধ হয়ে গেলো। তারপর অনেক অনুনয়-বিনয় করে বলল- হুজুর, আজ রাতে আপনি আমার বাসায় খানা খাবেন। প্লীজ মানা করবেন না। আল্লাহর দোহাই লাগে।
হুজুর খানা খেতে রাজী হলেন।
রাতে হুজুরকে খানা দেওয়া হলো। হুজুরর খেতে বসে দেখেন প্লেট উঁচু করে ভাত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো মাছ দেওয়া হয় নাই। তখন হুজুর বললেন, শুধু ভাত খাবো কি করে? মাছ কোথায়? মাছ? তখন লোকটার স্ত্রী এসে হুজুরকে বললো- হারামজাদা হাজার মাইল দূরে মক্কার ঘরে কুকুর প্রবেশ করে সেটা দেখে ফেলিস আর তোর ভাতের নিচে মাছ আছে, সেটা দেখিস না? আজকা তোরে খাইছি। তখন ভন্ড হুজুর এক দৌড়ে পালিয়ে গেলো।
ইসলাম নারীকে অনেক কিছু দিয়েছে। যা অন্য কোনো ধর্ম দেয়নি।
ধার্মিকেরা গায়ের জোরে অনেক কথা বলেন। আসলে ইসলাম নারীকে কোণঠাসা করে ফেলেছে। ইসলাম নারীদের অসম্মান করেছে। ইসলাম মনে করে নারীকে শুধু ভোগ করা যায়। স্রেফ দাসী বান্দী মনে করে ইসলাম নারীকে। নারীর বোরকা পড়ে থাকতে হবে। হাত মোজা পড়তে হবে। কেউ যেনে নারীকে না দেখে। দেখলেই পাপ হবে। এমনকি নারীর কন্ঠ যদি কেউ শুনে সেটাও পাপ বলে গন্য হয়। নারী যদি রান্নায় ব্যস্ত থাকে, এমন সময় যদি তার স্বামী তাকে সহবাস করার জন্য ডাকে তাহলে রান্না ফেলে স্বামীর কাছে দৌড়ে যেতে হবে। স্বামীকে বলা হয়েছে স্ত্রীকে প্রহার করো। আবার কিছুটা দয়াও দেখিয়েছে, খেয়াল রাখতে বলেছে, যেন প্রহারে শরীরে দাগ বসে না যায়। নারীকে অনেক সস্তা এবং এরা সংখ্যায় বেশি তাই অনেক গুলো করে বিয়ে করো। ইচ্ছা মতো ভোগ করো। ভোগেই শান্তি।
নারীকে তুলনা করা হয়েছে জমির সাথে।
বলা হয়েছে, তোমার জমিতে তুমি ইচ্ছা মতো চাষ করো। লাঙ্গল চালাও। যদিও আজকাল নারীরা আর চুপ থাকতে চাচ্ছে না। তাঁরা পুরুষের সাথে সমান তালে কাজ করছে। ধার্মিকেরা বুঝে না- নারীরা হচ্ছে ধরনী। তাদের মধ্যেই আমাদের বসবাস। নারীরা ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকবো। নারীরা ভালো থাকলে সারা বিশ্ব ভালো থাকবে। তবে এটা সত্য কথা- এই বিজ্ঞানের যুগে এসে ইসলাম সহ অন্যান্য সব ধর্ম চিপায় পড়ে গেছে। ধার্মিকেরা বেশ বেকায়দায় আছে। আপনিই চিন্তা করে দেখুন- আমাদের চারপাশে অসংখ্য মসজিদ। এই মসজিদ গুলো সমাজের জন্য কোনো অবদান রাখছে না। মুসলিমদের মাথায় ঢুকে গেছে, হজ্ব করো, পাপ মুক্ত হবে। আর মসজিদ নির্মান করো, তাহলে বেহেশত নিশ্চিত। বলা হয় মসজিদ আল্লাহর ঘর। আল্লাহ্ তো নিরাকার। তিনি ঘর দিয়ে কি করবেন? আল্লাহর ঘর খালি পড়ে থাকে। আর আল্লাহর বান্দারা ঘুমায় ফুটপাতে।
বাংলাদেশে মসজিদের অভাব নাই।
দেশে চাকরির অভাব। টোকাইদের থাকা-খাওয়ার অভাব। পাবলিক টয়লেটের অভাব। কিন্তু মসজিদের অভাব আমাদের নেই। অথচ ধার্মিকেরা মসজিদ নির্মানে পাগল হয়ে যায়। কারন মসজিদ হচ্ছে ধান্দার জায়গা। নামাজের আড়ালে ভালো ইনকাম। সেই ইনকামের কোনো হিসাব তাদের দিতে হয় না। এখন বাংলাদেশে অনেক মসজিদ- কিন্তু মুসল্লীর বড় অভাব। আমাদের দরকার মডেল স্কুল, মডেল ক্লিনিক, মডেল লাইব্রেরী, মডেল রাস্তাঘাট। আমাদের দরকার চাকরী। মসজিদ নয়। বাংলাদেশে প্রয়োজনের চেয়ে মসজিদ অনেক বেশী। মুসলিম জাতি পেছনে পড়ে আছে, কারণ তাদের জীবনটা অনেক ভুল ধারণায় ভর্তি। ধার্মিকদের বুঝতে হবে- মানুষ ধর্মের থেকে বড়। তাই এখন মানুষকে ধার্মিক হলে চলবে না। মানুষকে হতে হবে আধুনিক, কুসংস্কার মুক্ত এবং মানবিক ও হৃদয়বান।
এযুগে যারা জন্মেছেন তাঁরা ভাগ্যবান।
জন্মের পর তাঁরা সবকিছু হাতের কাছে পেয়ে গেছে। ধর্মীয় বিশ্বাসীরা আসলে আদি যুগের মানবের মতো থাকবে হাজার বছর। নবীজির যখন জন্ম হয়, তখন কম্পিউটার ছিলো না। ইন্টারনেট ছিলো না। উড়োজাহাজ ছিলো না। মোবাইল ফোন ছলো না। জাহাজ ছিলো না। উন্নত কিছুই ছিলো না। তাই তখন মানুষ রুপকথা বিশ্বাস করতো। এছাড়া তাদের আর উপায় ছিলো না। ধার্মিকেরা লজিক বুঝে না। তাদের আছে বিশ্বাস। যারা বিনা দ্বিধায় শুধু বিশ্বাস করে তাঁরা মূলত কমজ্ঞানী। মগজহীন। নবীজির বহু আগে জন্ম নিয়েছেন, মহামতি এরিস্টটল। প্লেটো। কনফুসিয়াস। গৌতম বুদ্ধ। পীথাগোরাস। তাঁরা নিজদের গবেষণা ও জ্ঞান দিয়ে বিশ্বের মঙ্গল করেছেন। তাঁরা কোনো রুপকথার গল্প শোনান নি। তাদের ছিলো সৎ চিন্তা। মহৎ চিন্তা। উন্নত চিন্তা। তাঁরা নারী ভোগ নিয়ে তাঁরা মাথা ঘামাতো না। দাসী রাখত না। অনেক গুলো বিয়ে করতো না। তাঁরা যুদ্ধের নাম দিয়ে লুটপাত করতো না। দাসী ভোগ করতো না।
যেখানে জ্ঞান নেই, সেখানেই বাসা বাঁধে কুসংস্কার আর রুপকথার দুনিয়া।
ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করার জন্য হাদীসের প্রয়োজন আছে। যেসব হাদীস একটু সাংঘর্ষিক সেগুলোকে হুজুরেরা চালাকি করে বলে দেন- এগুলো জাল হাদীস। আর যেসব হাদীস নিজেদের অনুকূলে সেগুলোকে বলেন এগুলো সহী হাদীস। কোরআনের নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্র চলে না। রাষ্ট্র চলে মানুষের তৈরি সংবিধান অনুযায়ী। আমাদের মতো মুসলিম দেশও কোরআনের নিয়মে চলে না। এক হিসেবে দেখা যায়- যারা নিজস্ব সংবিধান দিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন তাঁরা ভালো আছে। আর যারা কোরআনের নিয়ম মতে দেশ চালাচ্ছেন তাঁরা ভালো নেই। লোকজন কম শিক্ষা, অন্ধ বিশ্বাস ও নির্বোধ হওয়ার কারনে রুপকথা গুলো বিশ্বাস করে। যদি তাঁরা জ্ঞানী হতো তাহলে তাঁরা অলৌকিক ঘটনা গুলো বিশ্বাস করতো না। দুনিয়া চলে লজিকে। অন্ধ বিশ্বাসে নয়। হুজুরদের কাছ থেকে আমরা অনেক বিনোদন পাই। ইউটিউবে সার্চ দিলেই ভিডিও গুলো পেয়ে যাবেন।
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। আধুনিক যুগ।
এই যুগে মানুষ রুপকথা বিশ্বাস করে না। লাঠি সাপ হয়ে গেছে, একলোক মাছের পেটে ঢুকে গেছে, বোরাক নামের যান দিয়ে মহাকাশে যাওয়া যায়। খারাপ জ্বিন টয়লেটে থাকে। তাঁরা মৃত মানুষের হাড় খায়। শয়তান মানুষকে দিয়ে সকল মন্দ কাজ করিয়ে নেয়। ইত্যাদি। মূলত বিজ্ঞান ধর্মকে কোনঠাসা করে ফেলেছে। নবীজির সময় যদি ইন্টারনেট থাকতো, মোবাইল ফোন থাকতো, উড়োজাহাজ থাকতো, নাসা থাকতো, মানুষজন জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত থাকতো- তাহলে লোকজন রুপকথা বিশ্বাস করতো না। নবীজি অনেক কথা বলে গেছেন, আরবে যে তেলের খনি আছে সেই কথা বলে যাননি। মূলত অজ্ঞতা থেকে আসে কুসংস্কার। মিথ্যা ও বানোয়াট কাহিনী থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে শিক্ষা। সঠিক শিক্ষা। জ্ঞান মানুষকে উন্নত করে। মানবিক ও হৃদয়বান করে। ধর্ম মানুষকে নির্বোধে পরিনত করে।
(লেখাটি আমার নয়। আমি শুধু সংগ্রহ করে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। ধন্যবাদ।)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




