somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

পৃথিবী ধ্বংশের মুখে

২৪ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ ফেসবুক।

গ্রাম কি সুন্দর। মাটি আছে। মাঠ আছে।
বিশাল আকাশ আছে। পুকুর আছে। তবু মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসে। একসময় প্রতিটা গ্রাম ছিলো স্বনির্ভর ও স্বয়ংসম্পূর্ণ। গ্রামে দারিদ্রতা থাকলেও লোকজনের মধ্যে আনন্দ ও ভালোবাসা ছিলো। কামার, কুমোর, তাতি, জোলা, জেলে, ওঝা, চাষা, কবিরাজ সব ছিলো গ্রামে। ইংরেজরা এসেই গ্রাম গুলো নষ্ট করে দিলো। লোভ খুব খারাপ একটা ব্যাপার। রাস্তাঘাট করলো, কলকারখানা করলো, ব্রীজ তৈরি করলো, পাকা দালান করলো। গ্রামকে নিঃস্ব করে দিলো। কাপড় তৈরি হয় মেশিনে, তাতিরা ক্ষতি গ্রস্ত হলো। বিদেশ থেকে আসতে শুরু করলো সকল পন্য। দেশের পন্য মার খেতে শুরু করলো। অর্থনীতির প্যাচে পড়লো গ্রাম গুলো। গ্রাম গ্রামই থাক। গ্রামকে শহর করার কোনো দরকার ছিলো না। দিন শেষে মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গ্রামের মানুষ চাইলে তাদের হারানো অতীত ফিরিয়ে আনতে পারে।
ইংরেজরা শেষ করে দিয়ে গেলো আমাদের। যতটুকু অবশিষ্ট ছিলো সেটা কেড়ে নিলো দেশভাগ। ফলাফল আমাদের মানুষ, আমাদের পরিবেশ সমস্ত কিছু দুষিত করে দিয়ে গেলো। গরীবের অনেক কষ্ট। তাই গরীবেরাই ভালো থাকে। যারা প্রতিদিন ভালো ভালো খাবার খায়, তারা খাবারের স্বাদ পায় না। আগামী ৬০ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে গজব নেমে আসবে। ভূমিকম্প হবে, বরফ গলে যাবে, নীচু দেশ গুলো তলিয়ে যাবে, তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাবে। ফলাফল প্রাকৃতিক দুর্যোগ। পৃথিবীর জনসংখ্যা অর্ধেক কমে যাবে। এজন্য অবশ্য মানুষই দায়ী। পৃথিবী জন্মের পর মানুষ শুধু পৃথিবীর ক্ষতিই করে গেছে, যত্ন নেয়নি। কলকারখানা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে গেছে। নদী অনেক বড় সম্পদ। আজ নদীতে মাছ নেই। গাছ নেই। বনজঙ্গল সব উজাড় করে ফেলেছে মানুষ।

ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা কেউ ভাবছে না।
কোথায় রেখে যাচ্ছেন আপনার আদরের ছেলেমেয়েকে? চারিদিকে ঠক প্রতারক। অন্যদিকে পৃথিবী ধ্বংসের মুখে। মানুষের সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করার জন্য এই গ্রহতে সব কিছুই ছিলো। অথচ মানুষ তিলে তিলে পৃথিবীকে ক্ষয় করে ফেলেছে। এখন বর্ষাকালে বৃষ্টি হয় না। নদী গুলো প্রায় মৃত। কলকারখানার ধোয়া সমস্ত কিছুকে দুষিত করে দিচ্ছে। মাটি হয়ে গেছে দুর্বল। মাটির রস ও শক্তি একদম ক্ষয় হয়ে গেছে। এখন নদীতে জাল ফেললেই মাছ আসে না। শ্বাস নেবার মতো সচ্ছ বাতাস নেই। কোনো মানুষ ভালো নেই। সবার কোনো না কোনো অসুখ আছেই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে হলেও- পৃথিবীকে সারিয়ে তুলতে হবে। গাছ দিয়ে সারা বিশ্ব ভরে দিতে হবে। কলকারখানা কমাতে হবে। নদী দুষন একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে। এছাড়া বাঁচার আর কোনো উপায় নাই। শুধু নিজের পরিবারের কথা ভাবলে হবে না, পুরো বিশ্বের কথা ভাবতে হবে।

আমার লেখা কেউ পড়ুক বা না পড়ুক-
তবু আমি লিখে যাবো। তবু আমি বলে যাবো। চিৎকার করে বলব। মানুষকে সহজ সত্য গুলো বুঝাতে হবে। সবচেয়ে ভালো হতো- স্কুলে গিয়ে গিয়ে ছেলেমেয়েদের বুঝানো। তাদের সচেতন করা। তাদের বুঝাতে হবে- মানুষ বাস করার জন্য একটাই গ্রহ আছে। ওজোন স্তর ভারী হচ্ছে, গাছ, মাটি আকাশ থেকে টেনে বৃষ্টি নামাতে পারছে না। তাই এই গ্রহের ক্ষতি হয় এরকম কোনো কাজ করা যাবে না। সরকার কিচ্ছু করবে না। তাদের আছে শুধু গালগল্প। তাঁরা আসল সত্যটা, আসল সমস্যাটা ইচ্ছা করেই অনুধাবন করছে না। বিশ্বকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচাতে হলে- নদী দুষন বন্ধ করতে হবে। কলকারখানা বন্ধ করতে হবে। গাছ লাগাতে হবে। পুরো পৃথিবী সবুজ করে দিতে হবে। পৃথিবী ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকবো। কি হবে কারি কারি টাকা পয়সা দিয়ে? যদি পৃথিবীটাই আমরা ধ্বংস করে দেই? এই পৃথিবীর সকল খারাপের জন্য দায়ী মানুষ। তাদের লোভ।

আজকাল মা বাপকে ছেলেমেয়েরা তেমন ভালোবাসতে পারে না।
ফলে কাউকেই ভালোবাসতে পারে না। এটা হলো একটা পিকিউলিয়ার লাভলেসনেসের যুগ। আজকাল মা বাপ মরলেও ছেলেমেয়ে তেমন কাদে না। সমস্যা হলো কোনো সংসারই পিসফুল নিয়। পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ত নয়, বিদ্বেষ, ঘৃনা আর জেলাসি। পরিবার থেকে এখন এটা সমাজে ছড়িয়ে গেছে। চারিদিকে কত রকমের ভালোবাসা। কিন্তু ভালোবাসা কাকে বলে সেটাই লোকে সঠিক বুঝে না। প্রেমিক প্রেমিকারা কত ভালোবাসার কথা বলে, বিয়ে করে। তারপর তাদের ঝগড়া দেখে পাড়াপ্রতিবেশি। ভালোবাসার গভীরতায় যেতেই পারে না। ভালোবাসা মানে ভালো করা। নিজের ভালো করা, অন্যের ভালো করা, সমাজের ভালো করা। দেশের ভালো করা। অর্থাৎ সকলকে নিয়ে ভালো থাকা। আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি সবসময় অনুকুল থাকবে না, তাই বলে নিজেকে পরিস্থিতির কাবু না করে- র্ধৈয্য, ভালবাসা এবং সহমর্মিতা নিয়ে পরিস্থিতিকে কাবু করতে হবে। সুখ সবসময় নিজেকেই তৈরি করে নিতে হয়।

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তোর কথা তুই লিখে সত‍্যতা প্রমান কর।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১



ব্লগ মনে হয় কারো কারো বাপ দাদার জমিদারি হয়ে গেছে। সব পোস্ট দালাল , রাজাকার, জঙ্গিদের অথবা লালবদরদের স্বপক্ষে হোতে হবে। সত‍্যের আগমনে মিথ্যা বিস্মৃতির অবসান হয় ।আদর্শের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে গুমের ঘটনা: শেখ হাসিনার শাসনকালের একটি কালো অধ্যায়

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৯

বাংলাদেশে গুমের ঘটনা: শেখ হাসিনার শাসনকালের একটি কালো অধ্যায়

গুমের শিকার ব্যক্তিদের অতি ক্ষুদ্র কক্ষের ছবিটি বিবিসি ডটকম থেকে নেওয়া।

পরিচিতি

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি'র লাখ লাখ কর্মী অপেক্ষা করছে, সর্দারের ১ম নতুন ডাকাতীর খবরের জন্য।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩১



আওয়ামী লীগের সময়, যারা ১৭ বছর ডাকাতী করে যা জমায়েছিলো, বিএনপি'র কয়েক লাখ লোজজন তাদের থেকে একটা বড় অংশ ছিনিয়ে নিয়েছে; সেই প্রসেস এখনো চলছে। তবে, বস... ...বাকিটুকু পড়ুন

=জোর যার, ক্ষমতা তার=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৪



কনুইয়ের গুতাতে কার, জায়গাটা দখলে
কে সে, জানো তো সকলে!
ক্ষমতার লড়াইয়ে, বল চাই-
দেহে বাপু জোর চাই
জোর যার, ক্ষমতা তার,
রাজনীতির ছল চাই।

ক্ষমতাটা নিতে চাও, জোর চাই
দেহ মাঝে বল চাই,
ধাক্কায় নির্বল, ফেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামপন্থী রাজনীতির বয়ান এবং জামাতের গাজওয়াতুল হিন্দ-এর প্রস্তুতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০


গোরা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ নিজে ব্রাহ্ম হয়েও, ব্রাহ্ম সমাজের আদর্শের বিপরীতে "গোরা" নামে একটি চরিত্র তৈরি করেন। গোরা খুব কট্টরপন্থী হিন্দু যুবক। হিন্দু পরিচয়ে বড় হলেও, আসলে সে আইরিশ দম্পতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

×