পিজা খাবারটা আপনার কাছে কেমন লাগে?
আমার কাছে খুবই ফালতু লাগে। এক কামড় খাওয়ার পর আমার আর দ্বিতীয় কামড় খেতে ইচ্ছা করে না। অথচ এই খাবারটা লোকজন পাগলের মতো খায়। আমাদের বাসার সকল সদস্য দেখি আরাম করে খায়। সাথে আবার সস নিয়ে নেয়। আমার ছোট ভাইয়ের ছেলে আরিশ। ৭ বছর। আরিশ পিজা পাগলের মতো খায়। সে আস্তো একটা পিজা একাই খেয়ে ফেলে। তার কাছে কোনো ব্যাপারই না। পিজা হাটে সারারাক্ষন পোলাপান পিজা খেতেই থাকে। ওদের পিজা খাওয়া দেখে আমি ভীষন অবাক হই। এই খাবারটা কেন আমার ভালো লাগে না? আবার আমি বার্গারটা আগ্রহ নিয়ে খাই। খেয়ে আরাম পাই। মজা পাই।
কথায় কথায় ''আলহামদুলিল্লাহ'', ''ইনশাআল্লাহ'', ''মাশাল্লাহ'' বলা-
মানুষ গুলো কি নীতিবান? মহৎ? মানবিক? ভালো? অবশ্যই না। এদের মধ্যে ব্যাপক ঘাপলা আছে। এসব কথা বলা ব্যাক্তির চরিত্রের মানদণ্ড নয়। এমনকি খুবই ধার্মিক ব্যাক্তি হওয়ার অর্থ এই নয়- সে ভাল মনের মানুষ। বরং যারা অতিরিক্ত ধর্মকর্ম করে তারা করাপ্ট হয়। এদের থেকে সাবধান থাকাই ভালো। আমার এক চাচী একসময় খুব ফ্যাশন করতেন। নাচ, গানও করতেন। গত ৩/৪ বছর ধরে ধার্মিক হয়েছেন। হিজাব পড়েন। অনলাইনে আরবী শব্দের উচ্চারণ শিখেন। চাচী খালি ধর্মের কথা বলেন। অথচ এই চাচী বিরাট বদ। আমি জানি তার আসল কুকীর্তি গুলো। মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে তার মুখোশটা খুলে দেই।
আজ দুপুরে সুরভি খিচুড়ি রান্না করেছে।
সকাল থেকেই আজ আকাশ মেঘলা। ঘুম থেকে উঠে দেখি রোদ নাই। আকাশ বেশ মেঘলা মেঘলা। যে কোনো সময় বৃষ্টি নামবে এমন- ভাব। আকাশ মেঘলা হলেই সুরভি খচুড়ি রান্না করে। আমি নিশ্চিত আজ দুপুরের খাবার হবে খিচুড়ি আর গরুর মাংস। দুপুরে খেতে বসে দেখি সুরভি খিচুড়ি রান্না করেছে। দারুন স্বাদ হয়েছে। একদম গরম গরম। ধোঁয়া উড়ছে। পর্যাপ্ত মাংস। আমি ইচ্ছা মতো খেলাম। প্রচুর খেলাম। সুরভিকে বললাম, আজ রান্নাটা দারুন হয়েছে। সামান্য একটা কথায় সুরভি খুশিতে ঝলমল করছে। বিকেলে সুরভি এক কাপ চা দিলো। মনে হলো- এত ভালো চা আগে কখনও খাই নাই।
আমাদের নবীজি দেখলেন-
একটা লোক অনেক গুলো কবুতরকে খাওয়াচ্ছে। খাবার খেয়ে কবুতর গুলো খুশিতে নাচছে, লাফাচ্ছে। খাওয়া শেষে লোকটা হাতে তালি দিয়ে কবুতর গুলোকে আকাশে উড়াচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে নবীজি বললেন, একটা শয়তান আরেকটা শয়তান নিয়ে খেলছে। এটা একটা হাদীস। আবু দাউদ শরীফের ৪৯৪০ নং হাদীস। এই হাদীসটি আরো একটি হাদীস বইতে আছে। বইটির নাম- সহীহ আল জামি। সেই বইয়ের ৩৭২৪ নং হাদীস এটি। হ্যাঁ অবশ্যই এটি সহী হাদীস। ইসলাম ধর্মে কবুতর নিয়ে খেলা করা কি হারাম? নবীজি মনে হয় উট আর বিড়াল ছাড়া আর কিছু পছন্দ করতেন না। তবে কবুতর পালা ও খাওয়া ধর্মে জায়েজ আছে।
আমার ধারনা- লোকটা নামাজের সময় নামাজ না পড়ে-
কবুতর নিয়ে খেলা করছিলো। তাই নবীজি এই কথা বলেছেন। সৌদির মসজিদুল হারামে অসংখ্য কবুতর দেখতে পাওয়া যায়। অনেকেই কবুতর গুলোকে খাবার দেয়। আমরা জানি, হিজরতের সময় সাওর পাহাড়ে নবীজি ও আবু বকর আশ্রয় নেয়। তখন একপাল কবুতর এসে গুহার মুখে বাসা বাঁধে। পুরস্কারস্বরূপ আল্লাহপাক এই কবুতর গুলোর বংশধরদের মক্কায় নিরাপদে বসবাসের সুযোগ দেন। সম্ভবত বিশেষ নিরাপত্তা পাওয়া এসব কবুতর আবাবিল পাখির বংশধর। কাবাঘর ভাঙতে আসা আবরাহা ও তার বাহিনীকে ধ্বংস করতে আল্লাহর পক্ষ থেকে আবাবিল পাখি পাঠানো হয়েছিল। পবিত্র কোরআনের সুরা ফিল-এ এই ঘটনার বিবরণ রয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৯