somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

২০২৪ সালটা ভয়ঙ্কর হবে!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আগামী বছরটা বিশ্ববাসীর জন্য ভয়ঙ্কর হবে।
আগে আমাদের দেশের কথা বলি- অনেক লোক না খেয়ে মারা যাবে। তখনও সরকার বলবে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে দরিদ্র মানুষেরা। তখনও সরকার বলবে দেশ থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর হয়ে গেছে। জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়বে। জনগন মনে মনে রাগে ফুঁসবে। তবু মাঠে নামবে না। দেশে নব্য ধনীদের সংখ্যা বাড়বে। দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন গ্রেট শেখ হাসিনা। দেশে বেকারের সংখ্যা আরো বাড়বে। দেশে চারিদিকে এক ধরনের অদৃশ্য হাহাকার দেখা যাবে। দেশের এলিট শ্রেনীরা বিলাসিতায় মত্ত থাকিবে মদ, জুয়া ও নারীতে। আর দরিদ্রর শ্রেণীরা কোনো রকমে ডাল ভাত খেয়ে হলেও বেঁচে থাকতে চাইবে। শেখ হাসিনা বুঝতে পারছেনে না, শুধু মাত্র অবকাঠামো উন্নয়ন দিয়ে দেশের উন্নতি হয় না। দেশের মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হয়, চাকরি সৃষ্টি করতে হয়। দেশে লেখাপড়ার মান একদম তলানীতে। দেশের মানুষ শুধুমাত্র খেয়েপরে বেঁচে থাকার জন্য চাটুকারিতা করছে, দালালি করছে। ধনীরা চাটুকারিতা আর দালালি অনেক পছন্দ করে।

রাশিয়ার পুতিন আর দক্ষিন কোরিয়ার কিম জং বিশ্ববাসীর জন্য বিপদ ডেকে আনবে।
তাঁরা নিজেদের ক্ষমতা দেখার জন্য বিশ্বের ভয়ানক ক্ষতি করবে। আমেরিকা তাদের কিছুই করতে পারবে না। আমেরিকা শুধু পর্যবেক্ষন করে করেই সময় পার করবে। চীনের দীর্ঘদিনের গোপন ইচ্ছা তাঁরা বিশ্ব মোড়ল হবে। এজন্য তাঁরা পুতিন আর কিম জং এর সাথে হাত মিলাবে। পাকিস্তানে দরিদ্র লোকের সংখ্যা বাড়বে। শ্রীলঙ্কা তাদের বিপদ কাটিয়ে উঠবে। অন্যদিকে আফগানিস্তানের নারীরা ধর্মের কারনে কোণঠাসা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করবে। সৌদি তাদের প্রাচীন কুসংস্কার গুলো ভাঙতে শুরু করে দিয়েছে অলরেডি। সৌদির দেখাদেখি অন্য মুসলিম দেশ গুলো নিজেদের কুসংস্কার হয়তো দূর করবে। এদিকে উন্নত দেশ গুলোতে আমাদের দেশের কতিপয় লোকজন গাড়ি বাড়ি করবে। অর্থ্যাত সেকেন্ড হোম প্রস্তুত। বসুন্ধরা, সামিট গ্রুপ, এস আলম এবং রাজনীতিবিদেরা এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন ধীরে ধীরে দেশের টাকা পাচারে ব্যস্ত আছে। এবার রাজনীতিবিদদের ছাত্রছায়ায় থাকা বহু লোক এমপি হওয়ার জন্য মরিয়া হয়েছে। এইসব চোর গুলো এমপি হতে পারলে- পুরো দেশ ফাঁকা করে দেবে।

আগামী বছরে বিশ্বে কয়েকটা বড় ধরনের ভূমিকম্প হবে।
তাতে এক কোটি লোক মারা যাবে। কারণ, হচ্ছে মানুষ প্রকৃতির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। এজন্য প্রকৃতি নিজেকে টিকিয়ে রাখতে নিজেই ব্যবস্থা গ্রহন করবে। বিশ্বের অনেক দেশে খাদ্যাভাব দেখা দিবে। পৃথিবীর ওজোন রেকর্ড সংখ্যক বেড়ে যাবে। বায়ু মন্ডলের ওজোন স্তর ভারী হবে। পৃথিবীর অনেক শহর দুষিত শহরে পরিনত হবে। উত্তর মেরুর বরফ গলতে শুরু করবে। নীচু দেশ গুলো পানিতে ডুবে যাবে। ভূমিকম্পের পাশাপাশি বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়, বন্যায় দারুন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশ্বের বনাঞ্চল দারুন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশ্ব নেতারা একজোট হয়ে বিশ্ব সমস্যা নিয়ে মিটিং করবেন এবং সেলফি তুলবেন। দরিদ্র দেশ গুলোতে চুরী, ডাকাতি, খুন বেড়ে যাবে। আমাদের দেশের মানুষ গুলো একধাপ এগিয়ে যাবে মানবতাহীনের দিকে। আমাদের দেশের মানুষের মন থেকে বিশ্বাস একেবারে উঠেই যাবে। কেউ কাউকে বিশ্বাস করবে না। এমনকি বাবামা তার সন্তানকে পর্যন্ত বিশ্বাস করবে না। স্ত্রী স্বামীকে বিশ্বাস করবে না। সবর্ত্রই দেখা দিবে অরাজকতা। তবে ধর্ম ব্যবসায়ীদের আয় কমে আসবে।

আগামী বছর বিশ্বে অশ্লীলতার হার কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
নারী পুরুষ জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য নিজের উলঙ্গ ভিডিও নিজেই প্রকাশ করবে। ফেসবুক, টিকটক আর ইউটিউব হবে মিথ্যার সবচেয়ে বড় আখড়া। যেসব পেশাতে অসৎ পথে টাকা ইনকামের সুযোগ আছে, সেসব পেশায় যাওয়ার জন্য মানুষ হিংস্র হয়ে উঠবে। দেশে যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো তাঁরা দেশ ছেড়ে চলে যাবে। এই পোড়া দেশে কেউ থাকতে চাইবে না। ওবায়দুল কাদের চিবিয়ে চিবিয়ে বলবেন, দেশে এখন উন্নত মানের চিকিৎসা পাওয়া যায়। তারপরের দিন উনি চেকাপের জন্য সিঙ্গাপুর যাবেন। ক্ষমতাসীন লোকেরা বলবে, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে। তাই ক্ষমতাসীনদের ছেলেমেয়েরা উন্নত দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। আশার কথা হচ্ছে আগামী নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা দেশের দূর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করবেন এবং দেশে বিএনপির কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। মির্জা ফখরুল কপাল চাপড়াবেন এবং হায় হায় করবেন। অন্যদিকে ফালু, মির্জা আব্বাস হায় হায় করবেন না। কারণ তাঁরা অনেক কামিয়েছেন। তাদের কয়েক পুরুষ পায়ের উপর পা তুলে আরামে পার করে দিতে পারবেন।

আমাদের দেশের মানুষের ব্যাক্তিত্ব থাকবে না।
হোক সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী অথবা চাকরিজীবি। ধর্মের প্রতি মানুষের অনীহা বাড়বে। যে হুজুর ওয়াজে চিৎকার করে বলেছেন, অমুক সূরা পড়লে কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। সেই হুজুর দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভরতি থাকবে হবে। সূরায় কাজ হবে না। এসি লাগানো সুন্দর সুন্দর মসজিদ গুলো খালি পড়ে থাকবে। অন্যদিকে গান বাজনার অনুষ্ঠান গুলোতে লোকজন দিয়ে ঠাসা থাকিবে। জ্ঞানীরা কাজ করবে, অজ্ঞানীরা অযথাই হাউকাউ করে ক্যাচাল করে সময় পার করবে। ভারত অনেক দেশকে পেছনে পেলে এগিয়ে যাবে। ভারতের লোকজন উন্নত দেশ গুলোতে নিজেদের মেধার পরিচয় দেবে। আর বাংলাদেশের লোকজন ড্রাইভিং করবে, বাগান পরিস্কার করবে, ঝাড়ুমোছার কাজ করবে। তাতেও দেশের রেমিটেন্স আসবে। একসময় শুধু মাত্র মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলো থেকে বড় অংকের রেমিটেন্স আসতো। এখন আমেরিকা, ইতালি, মালোশিয়া, দুবাই থেকেও আসছে। এবছর তো ইতালি থেকে আসা রেমিটেন্স রেকর্ড করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×