আগামী বছরটা বিশ্ববাসীর জন্য ভয়ঙ্কর হবে।
আগে আমাদের দেশের কথা বলি- অনেক লোক না খেয়ে মারা যাবে। তখনও সরকার বলবে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে দরিদ্র মানুষেরা। তখনও সরকার বলবে দেশ থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর হয়ে গেছে। জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়বে। জনগন মনে মনে রাগে ফুঁসবে। তবু মাঠে নামবে না। দেশে নব্য ধনীদের সংখ্যা বাড়বে। দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন গ্রেট শেখ হাসিনা। দেশে বেকারের সংখ্যা আরো বাড়বে। দেশে চারিদিকে এক ধরনের অদৃশ্য হাহাকার দেখা যাবে। দেশের এলিট শ্রেনীরা বিলাসিতায় মত্ত থাকিবে মদ, জুয়া ও নারীতে। আর দরিদ্রর শ্রেণীরা কোনো রকমে ডাল ভাত খেয়ে হলেও বেঁচে থাকতে চাইবে। শেখ হাসিনা বুঝতে পারছেনে না, শুধু মাত্র অবকাঠামো উন্নয়ন দিয়ে দেশের উন্নতি হয় না। দেশের মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হয়, চাকরি সৃষ্টি করতে হয়। দেশে লেখাপড়ার মান একদম তলানীতে। দেশের মানুষ শুধুমাত্র খেয়েপরে বেঁচে থাকার জন্য চাটুকারিতা করছে, দালালি করছে। ধনীরা চাটুকারিতা আর দালালি অনেক পছন্দ করে।
রাশিয়ার পুতিন আর দক্ষিন কোরিয়ার কিম জং বিশ্ববাসীর জন্য বিপদ ডেকে আনবে।
তাঁরা নিজেদের ক্ষমতা দেখার জন্য বিশ্বের ভয়ানক ক্ষতি করবে। আমেরিকা তাদের কিছুই করতে পারবে না। আমেরিকা শুধু পর্যবেক্ষন করে করেই সময় পার করবে। চীনের দীর্ঘদিনের গোপন ইচ্ছা তাঁরা বিশ্ব মোড়ল হবে। এজন্য তাঁরা পুতিন আর কিম জং এর সাথে হাত মিলাবে। পাকিস্তানে দরিদ্র লোকের সংখ্যা বাড়বে। শ্রীলঙ্কা তাদের বিপদ কাটিয়ে উঠবে। অন্যদিকে আফগানিস্তানের নারীরা ধর্মের কারনে কোণঠাসা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করবে। সৌদি তাদের প্রাচীন কুসংস্কার গুলো ভাঙতে শুরু করে দিয়েছে অলরেডি। সৌদির দেখাদেখি অন্য মুসলিম দেশ গুলো নিজেদের কুসংস্কার হয়তো দূর করবে। এদিকে উন্নত দেশ গুলোতে আমাদের দেশের কতিপয় লোকজন গাড়ি বাড়ি করবে। অর্থ্যাত সেকেন্ড হোম প্রস্তুত। বসুন্ধরা, সামিট গ্রুপ, এস আলম এবং রাজনীতিবিদেরা এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন ধীরে ধীরে দেশের টাকা পাচারে ব্যস্ত আছে। এবার রাজনীতিবিদদের ছাত্রছায়ায় থাকা বহু লোক এমপি হওয়ার জন্য মরিয়া হয়েছে। এইসব চোর গুলো এমপি হতে পারলে- পুরো দেশ ফাঁকা করে দেবে।
আগামী বছরে বিশ্বে কয়েকটা বড় ধরনের ভূমিকম্প হবে।
তাতে এক কোটি লোক মারা যাবে। কারণ, হচ্ছে মানুষ প্রকৃতির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। এজন্য প্রকৃতি নিজেকে টিকিয়ে রাখতে নিজেই ব্যবস্থা গ্রহন করবে। বিশ্বের অনেক দেশে খাদ্যাভাব দেখা দিবে। পৃথিবীর ওজোন রেকর্ড সংখ্যক বেড়ে যাবে। বায়ু মন্ডলের ওজোন স্তর ভারী হবে। পৃথিবীর অনেক শহর দুষিত শহরে পরিনত হবে। উত্তর মেরুর বরফ গলতে শুরু করবে। নীচু দেশ গুলো পানিতে ডুবে যাবে। ভূমিকম্পের পাশাপাশি বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়, বন্যায় দারুন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশ্বের বনাঞ্চল দারুন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশ্ব নেতারা একজোট হয়ে বিশ্ব সমস্যা নিয়ে মিটিং করবেন এবং সেলফি তুলবেন। দরিদ্র দেশ গুলোতে চুরী, ডাকাতি, খুন বেড়ে যাবে। আমাদের দেশের মানুষ গুলো একধাপ এগিয়ে যাবে মানবতাহীনের দিকে। আমাদের দেশের মানুষের মন থেকে বিশ্বাস একেবারে উঠেই যাবে। কেউ কাউকে বিশ্বাস করবে না। এমনকি বাবামা তার সন্তানকে পর্যন্ত বিশ্বাস করবে না। স্ত্রী স্বামীকে বিশ্বাস করবে না। সবর্ত্রই দেখা দিবে অরাজকতা। তবে ধর্ম ব্যবসায়ীদের আয় কমে আসবে।
আগামী বছর বিশ্বে অশ্লীলতার হার কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
নারী পুরুষ জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য নিজের উলঙ্গ ভিডিও নিজেই প্রকাশ করবে। ফেসবুক, টিকটক আর ইউটিউব হবে মিথ্যার সবচেয়ে বড় আখড়া। যেসব পেশাতে অসৎ পথে টাকা ইনকামের সুযোগ আছে, সেসব পেশায় যাওয়ার জন্য মানুষ হিংস্র হয়ে উঠবে। দেশে যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো তাঁরা দেশ ছেড়ে চলে যাবে। এই পোড়া দেশে কেউ থাকতে চাইবে না। ওবায়দুল কাদের চিবিয়ে চিবিয়ে বলবেন, দেশে এখন উন্নত মানের চিকিৎসা পাওয়া যায়। তারপরের দিন উনি চেকাপের জন্য সিঙ্গাপুর যাবেন। ক্ষমতাসীন লোকেরা বলবে, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে। তাই ক্ষমতাসীনদের ছেলেমেয়েরা উন্নত দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। আশার কথা হচ্ছে আগামী নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা দেশের দূর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করবেন এবং দেশে বিএনপির কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। মির্জা ফখরুল কপাল চাপড়াবেন এবং হায় হায় করবেন। অন্যদিকে ফালু, মির্জা আব্বাস হায় হায় করবেন না। কারণ তাঁরা অনেক কামিয়েছেন। তাদের কয়েক পুরুষ পায়ের উপর পা তুলে আরামে পার করে দিতে পারবেন।
আমাদের দেশের মানুষের ব্যাক্তিত্ব থাকবে না।
হোক সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী অথবা চাকরিজীবি। ধর্মের প্রতি মানুষের অনীহা বাড়বে। যে হুজুর ওয়াজে চিৎকার করে বলেছেন, অমুক সূরা পড়লে কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। সেই হুজুর দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভরতি থাকবে হবে। সূরায় কাজ হবে না। এসি লাগানো সুন্দর সুন্দর মসজিদ গুলো খালি পড়ে থাকবে। অন্যদিকে গান বাজনার অনুষ্ঠান গুলোতে লোকজন দিয়ে ঠাসা থাকিবে। জ্ঞানীরা কাজ করবে, অজ্ঞানীরা অযথাই হাউকাউ করে ক্যাচাল করে সময় পার করবে। ভারত অনেক দেশকে পেছনে পেলে এগিয়ে যাবে। ভারতের লোকজন উন্নত দেশ গুলোতে নিজেদের মেধার পরিচয় দেবে। আর বাংলাদেশের লোকজন ড্রাইভিং করবে, বাগান পরিস্কার করবে, ঝাড়ুমোছার কাজ করবে। তাতেও দেশের রেমিটেন্স আসবে। একসময় শুধু মাত্র মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলো থেকে বড় অংকের রেমিটেন্স আসতো। এখন আমেরিকা, ইতালি, মালোশিয়া, দুবাই থেকেও আসছে। এবছর তো ইতালি থেকে আসা রেমিটেন্স রেকর্ড করেছে।