ব্লগার শেরজা তপন আজ একটা পোষ্ট দিয়েছেন।
ক্যাচাল পোষ্ট। উনার কাছে আমি এরকম পোস্ট আশা করি নাই। আমি মনে মনে ভেবেছিলাম- শেরজা সাহেব একজন বিচক্ষণ ব্লগার।যাইহোক, প্রচুর মন্তব্য পাবার আশায় কিনা জানি না। শেরজা চাঁদগাজী/সোনাগাজীকে নিয়ে পোস্ট দিলেন। সেই পোষ্টের মুল উদ্দ্যেশ্য চাঁদগাজী/সোনাগাজীকে হেয় করা। এরকম পোস্ট পেলে কতিপয় ব্লগার উজিয়ে যায়। যা-তা বলে। একজন সম্মানিত মানুষকে (সোনাগাজী) নিয়ে এরকম থার্ডক্লাশ পোস্ট করা ভালো কাজ নয়। বিষয়টা আমার কাছে খারাপ লেগেছে। এবং আমি ব্লগার শেরজা'র সেই পোষ্টে দুঃখ প্রকাশ করেছি। আফসোস করেছি। খারাপ কিছু লিখিনি। কাউকে গালিও দেইনি। তুই তুকারিও করিনি। মডারেটর সাহেব এসে আমাকে কমেন্ট ব্যান করে দিলেন।
আমাকে কমেন্ট ব্যান করার মতো- কিচ্ছু মন্তব্য করিনি।
আমার সাথে শেরজা সাহেবও একমত হবেন। আমার ধারনা আমাকে কমেন্ট ব্যান করাতে শেরজা সাহেবও ভীষন অবাক হয়েছেন। কারণ, এমন মন্তব্য করিনি যে- মডারেটর সাহেব রেগেমেগে আগুন হয়ে যাবেন। অথবা এমন মন্তব্য করিনি যাতে ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হয়। সম্পূর্ন অপ্রত্যাশিত ভাবে আমাকে কমেন্ট করলেন। ইহা দুঃখজনক। গত ২/৩ বছরে বহুবার কমেন্ট ব্যান হয়েছি। ফ্রন্টপেজ ব্যান হয়েছি। তাই অভ্যাস হয়ে গেছে। এখন আর গায়ে লাগে না। অবশ্য আমি মডারেটর হলে অনেককে ব্যান করে দিতাম। নীতিমালার ধার ধারতাম না। নিজের রাগ জিদ পোষায়ে নিতাম। যাইহোক, আমার কপাল ভালো মডারেটর সাহেব আমাকে শুধু কমেন্ট ব্যান করছেন। আরো কঠিন সব ব্যান করেন নাই এজন্য তাকে ধন্যবাদ। পোষ্ট লিখতে পারছি। নিজের পোষ্টে মন্তব্য করতে পারছি, এতেই আমি অনেক খুশি। মডারেটর সাহেব চাইলে যে কোনো ব্লগারের অগ্রতি থামিয়ে দিতে পারেন।
দেশ আসলেই অনেক এগিয়ে গেছে।
একজন ভিক্ষুক পর্যন্ত ভাংতি টাকা না থাকলে এখন বিকাশ এ ভিক্ষা নিচ্ছে। আচ্ছা, ধরুন আগামীকাল থেকে পুরো বিশ্বে ধর্ম বলে কিছু থাকলো না। তাহলে কি বিশ্বের কোনো অসুবিধা হবে? না কোনো অসুবিধা হবে না। এবার ধরুন, আগামীকাল থেকে বিশ্বে বিজ্ঞান বলে কিছুই থাকবে না। তাহলে বিশ্বের কি রকম অবস্থা আছে? পুরো বিশ্ব থেমে যাবে। ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন একজন নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক ছিলেন। সাদ্দামের পুত্র উদয় হোসেন একজন দানব ছিল। সে অসংখ্য ধর্ষন, হত্যা, নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। অনেকদিন আগে বিমল মুখার্জির 'দু চাকায় দুনিয়া' বইটি পড়েছিলাম। বইটি পড়ে ভালো লেগেছিলো।
হিন্দু বা বৌদ্ধরা না খেয়ে থাকলে তাকে বলা হয় 'উপবাস'।
খ্রিস্টানরা না খেয়ে থাকলে তাকে বলা হয় 'ফাস্টিং'। মুসলিমরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় 'সিয়াম'। বিপ্লবীরা না খেয়ে থাকলে তাকে বলা হয় 'অনশন'। আর মেডিক্যাল সাইন্সে উপবাস করলে, তাকে বলা হয় 'অটোফেজি'। হয়তো অনেকে ভাবছেন কি আবোল তাবোল লিখছি। এক কথা থেকে আরেক কথায় চলে যাচ্ছি। হ্যাঁ সত্যি। আমাকে কমেন্ট ব্যান করা হয়েছে। এই রাগে দুঃখে আবোল তাবোল লিখছি। আমার যা মন চায় আমি তা-ই লিখব। কাউকে তো আর গালি দিচ্ছি না। ব্লগ নীতিমালাও ভঙ্গ হচ্ছে না। কোডার নামে এক ব্লগার নিজের ছবির জায়গায় পাকিস্তানের পতাকা দিয়েছেন। উক্ত ব্লগারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে মডারেটর আমার মতো একজন নিরীহ ও একটিভ ব্লগারকে কমেন্ট ব্যান করে দিলেন। স্বাধীন দেশে যে বাঙ্গালী পাকিস্তান সাপোর্ট করবে সে অবশ্যই রাজাকারদের বংশধর।
ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ খুন, হত্যা, জুলুম, ধর্ষণ-
একে অন্যে মারামারি-বিবাদ এবং যুদ্ধ এসব লেগেই ছিল। আবার ইসলাম আসার পরে খুন, হত্যা, জুলুম, ধর্ষণ, একে অন্যে মারামারি-বিবাদ এবং যুদ্ধ এসব চালিয়েই গেছে। কোন পার্থক্য নেই। বর্তমান সভ্য জগতের সৃষ্টিতে ইসলাম কোন ভুমিকা রাখেনি। বরং মানুষ নিজের তাগিদে এবং সভ্যতার উন্নতিতে আজকের সভ্য সমাজে রূপান্তর হয়েছে। একটা সময় ছিল যখন শুক্রবার দুপুরের পর বিটিভি'তে কোরআন পাঠ, গীতা পাঠ, ত্রিপিটক পাঠ শুনলে বুকের ভেতরটা মোচড় দিতো। এই বুঝি শেষ হলো, হার্টবিট বেড়ে যেতো। অতঃপর হাসিমুখে উপস্থিত হতেন সুন্দরী উপস্থাপিকা। আমন্ত্রণ জানাচ্ছি পূর্নদৈঘ্য বাংলা ছায়াছবি দেখার জন্য, আমাদের আজকের ছায়াছবি 'ক্ষমতার দাপট'। শ্রেষ্টাংশে.......!
উক্ত পোস্ট খানা মডারেটর সাহেব সরিয়ে দিয়েছেন-
না শেরজা নিজেই সরিয়েছেন। সেটা জানি না। পোস্ট নাই। মন্তব্য গুলো নাই। মাঝখান দিয়ে আমি কমেন্ট ব্যান। বাহ কি সুন্দর! এজন্য আমি কাকে দায়ী করবো? শেরজাকে? মডারেটর সাহেবকে? না আমার ভাগ্যকে? উক্ত পোষ্টে বেশ কয়েকজন তেরা-বাঁকা মন্তব্য করেছেন। তাদেরও কি কমেন্ট ব্যান করা হয়েছে? নাকি শুধু আমাকেই?