রাজনৈতিক নেতাদের আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ- দেশের মানুষের সেবা করা।
দেশের উন্নয়ন করা। কিন্তু অধিকাংশ রাজনীতিবিদ হয় দূর্নীতিবাজ। হোক সে আওয়ামীলীগের অথবা বিএনপির। চারপাশের অবস্থা দেখে মনে হয়- লোকজন রাজনীতি করে ক্ষমতা ও টাকার জন্য। দেশের প্রতি কারো ভালোবাসা নেই। অতি সামান্য যে ছাত্রলীগ নেতা। তারাও আজ ইচ্ছা মতো দূর্নীতি করছে। এক ছাত্রলীগ নেতা তার নতুন ফ্ল্যাটের জন্য একসাথে ৮০ লাখ টাকার ফার্নিচার কিনলো। এদিকে স্বিদ্ধেশ্বরী কলেজের এক নেতা বউ নিয়ে আমেরিকা ভ্রমনে গেলো। এর আগে ইউরোপ ট্যুর দিলো। মাঝে মাঝে মনে হয় শেখ হাসিনা ওদের দুর্নীতি করার জন্য সুযোগ দিয়েছেন। নইলে এত সাহস হয় কি করে?
বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাস কি করছে? কত টাকা দূর্নীতি করেছে?
ফালু কত টাকা দুর্নীতি করেছে? ক্ষমতায় থাকা আওয়ামীলীগের নেতারা এখন কত টাকার মালিক? এবং তাদের দ্বারা কত লোক ধনী হয়েছে, সে হিসাব শেখ হাসিনা জানেন? একটা দেশে দূর্নীতিবাজ ধরা সবচেয়ে সহজ। শেখ হাসিনা একবার শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছিলেন। সাত দিন পর সেই অভিযান অফ হয়ে যায়। কেন? আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা রাস্তার জ্যাম নয়। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি নয়। প্রধান সমস্যা দূর্নীতি। এই দুর্নীতিই দেশটারে খাইলো। সমস্ত মন্ত্রী এমপি এবং আমলারা বিদেশে গাড়ি বাড়ি করে রেখেছে। সেকেন্ড হোম রেডি। দেশে ক্যাচাল লাগলে উড়াল দেবে। আমেরিকা দেখছে, আমাদের দেশের নেতারা চোর। কিন্তু শেখ হাসিনা দেখেন না।
আগামী নির্বাচনে এমপি হওয়ার জন্য তিন শ' লোক দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।
এই তিন শ' লোকের মধ্যে যারা এমপি হবে তাঁরা দেশের সব টাকা লুট করে নিবে। এরা এমপি হতেই চাচ্ছে শুধু মাত্র লুটপাট করার জন্য। এমনকি তাঁরা রাজনীতিবিদদের ছাত্রছায়ায় থেকেই ধনী হয়েছেন। শেখ হাসিনা তার বাবার খুনীদের বিচার করেছেন। রাজাকারদের বিচার করছেন। দেশের জন্য পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল আরো বহু কিছু করেছেন। শুধু পারছেন না- দুর্নীতি বন্ধ করতে। অবশ্য দেশের ৮৫% লোক দূর্নীতি করে ও হাসিমুখে মেনে নেয়। সামান্য ট্রেড লাইসেন্স করাতে গেলেও ঘুষ দিতে হয়। সরকারী অফিস মানেই ঘুষ। আসলে আমাদের দেশে যোগ্য ও দক্ষ লোকের ভাব। যারা দেশ পরিচালনা করছেন- তাঁরা মগজহীন।
আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের জবাবদিহিতা করতে হয় না।
এজন্য তাঁরা যা খুশি তাই করতে পারেন। নেতারা বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। অথচ উনারা নিজেরাই সাধারন চেকাপের জন্য যান সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাভেথ হাসপাতালে। সরকারী হাসপাতালে গেলে কান্না আসে। এত অনিয়ম। এত দূর্ভোগ। দালাল দিয়ে ভরা। এই দেশে ফুটপাত দিয়েও আরাম করে হাঁটাচলা করা যায় না। ফুটপাতে দোকানপাট। ফুটপাত দিয়ে বাইক চলে। চিপা রাস্তার গলির মধ্যে ভ্যান গাড়িতে করে সবজি বিক্রি করছে। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত জ্যাম লেগেই থাকে। তাদের কিছু বলাও যাবে না। কারণ তাঁরা নিয়মিত স্থানীয় নেতা ও স্থানীয় থানায় টাকা দিচ্ছে। শুধু মাত্র পুলিশ যদি ঘুষ নেওয়া বন্ধ করে, তাহলে দেশের অর্ধেক সমস্যা কেটে যাবে।
এখন যারা রাজনীতি করছেন, এখন যারা নেতা আছেন, তাঁরা সকলে নকল নেতা।
নকল রাজনীতিবিদ। আসল নেতা ছিলেন- শেখ মুজিব, মাওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদ, একে ফজলুল হক। এরকম খাঁটি নেতা দেশে আর একজন নেই। এখন যারা রাজনীতি করছেন তাঁরা লোভী। চোর। ভন্ড। অযোগ্য, অদক্ষ। এবং যারা নতুন করে রাজনীতিতে নামতে চাচ্ছেন- তাঁরা ডাকাতী করার জন্য নামতে চাচ্ছেন। এই বাংলাদেশে কোনো সৎ লোক নেই। কাউন্সিলর, ছাত্রলীগ, মেয়র, এমপি, মন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারী চাকরীজীবি সবাই চোর। এদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই। এরা চায় ক্ষমতা ও টাকা। যদি বলা হয়- যারা রাজনীতি করবে তাদের কোনো ব্যাংক ব্যালেন্স থাকতে পারবে না। তাহলে কেউ রাজনীতি করবে না এই দেশে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৯