somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

হুমায়ূন আহমেদের কোন বইটি আপনার সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে?

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হুমায়ূন আহমেদের সব বই আমার ভালো লাগে।
কোন বইটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সেটা বাছাই করতে গেলে বিপদে পড়ে যাবো। কোনটা রেখে কোনটার নাম বলব! 'জনম জনম' বইটা আমার খুব ভালো লেগেছে। সহজ সরল সুন্দর হৃদয়বিদারক গল্প। বড় কষ্টের গল্প। কষ্টের মধ্যেও যেন কিছুটা আনন্দ আছে। বিনোদন আছে। 'জনম জনম' বইটার কাহিনী নিয়ে সিনেমা তৈরি করা হয়েছে। যা অতি নিম্মমানের হয়েছে। এই মুভিটা হুমায়ূন আহমেদ তৈরি করলে মাস্টারপিস হতো। 'আজ আমি কোথাও যাবো না' এই বইটার কথা না বললে অন্যায় হবে। চমৎকার একটা বই। শেষমেশ প্রধান চরিত্রটি আমেরিকা যেতে পারে। হুমায়ূন আহমেদ রসিকতা করার ওস্তাদ লোক। তার তুলনা হয় না।

'তিথির নীল তোয়ালে' এই বইটা অতি চমৎকার একটা প্রেমের উপন্যাস।
অনেকবার পড়েছি। এই বইটার কাহিনী নিয়েও সিনেমা করা হয়েছে। সিনেমাটি একদম ফালতু হয়েছে। মিসির আলিকে নিয়ে লেখা একটা বই আছে- 'নিশীথিনী' দারুন এক বই। আমি বলল, হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলিকে নিয়ে লেখা- এটা সেরা বই। লেখক খুব দরদ দিয়ে বইটা লিখেছেন। জাহানারা ইমাম বলেছেন, হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলীকে নিয়ে লেখা বই গুলো কোনো দিন হারিয়ে যাবে না। 'শুভ্র গেছে বনে' বইটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। হুমায়ূন আসলে খুব সুন্দর করে গল্প বলতে জানতেন। এজন্যই তার এত এত পাঠক। অনেক লেখকের বই পড়ে পাঠক বিরক্ত হয়। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের লেখা পাঠককে আকর্ষন করে। ধরে রাখে।

'তেতুল বনের জোছনা' খুব সুন্দর একটা বই।
বাংলাদেশের অন্য কোনো লেখক হুমায়ূন আহমেদের মতো সহজ ও সুন্দর করে লিখতে পারে না। হুমায়ূন আহমেদের লেখা বারবার পড়লেও বিরক্ত লাগে না। তিনি মানুষের জীবনের গল্প গুলো পরম মমতায় বলতে পারতেন। হুমায়ূন আহমেদের একটা উপন্যাস আছে- 'কবি'। অতি চমৎকার একটা উপন্যাস। 'মেঘ বলেছে যাব যাব' অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর একটি উপন্যাস। অবশ্যই প্রেমের উপন্যাস। পুতু পুতু টাইপ প্রেমে না। স্বছ পবিত্র প্রেম। যা মানুষকে মুগ্ধ করে। 'কৃষ্ণপক্ষ' নামে একটা বই আছে। এটাও চমৎকার একটা বই। আসলে আমি হুমায়ূন আহমেদের শুধু মাত্র একটা বই বাছাই করতে পারবো না। তাহলে অন্যায় হবে। অবিচার হবে।

'পেন্সিলে আঁকা পরী' এই বইটার কথা না বললে অন্যায় হবে।
আরেকটা বইয়ের কথা অবশ্যই বলতে হবে-'রূপার পালঙ্ক' এরকম বই বাংলাদেশের আর কেউ লিখতে পারেন নি। 'নক্ষত্রের রাত'অনেক সুন্দর একটা বই। এই বইতে একটা চিঠি আছে। চমৎকার এক চিঠি। বিশ বার পড়লেও মন ভরে না। বইটা ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে,।'চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক' এই বইটা পড়লে বুকের মধ্যে হাহাকার করে ওঠে। এটাও ইংরেজিতে অনুবাদ হয়েছে। 'ওমেগা পয়েন্ট'চমৎকার বই। বিজ্ঞান কল্প কাহিনী। লেখক সহজ ভাষায় বইটা লিখেছেন। একটা স্কুলের বাচ্চা ছেলেও বইটা পড়লে অতি সহজেই বুঝবে। 'আমার আপন আঁধার' নামে হুমায়ূন আহমেদ তার আত্মজীবনী লিখেছেন। যা একজন পাঠক পড়ে অবশ্যই মুগ্ধ হবেন।

'হোটেল গ্রভার ইন' নামে একটা বই আছে।
তখন হুমায়ূন আহমেদ আমেরিকায় পিএইচডি করতে গিয়েছিলেন। খুব সুন্দর বই। বাচ্চাদের জন্য একটা বই আছে- 'বোতল ভূত' নামে। এই বইটাও আমার অনেক ভালো লেগেছে। 'ছায়া সঙ্গী' নামে একটা বই আছে। দূর্দান্ত এক বই। বাংলাদেশে হুমায়ূন আহমেদের মতো আর কোনো লেখক নেই। হুমায়ূন লেখালেখি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। এখন যারা লেখালেখি করছেন, তাঁদের এরকম সাহস হবে না। এরকম আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশের আর কোনো লেখকের নাই। এখনকার লেখকেরা ফেসবুক নির্ভর লেখক। লেখক নিজেই নিজের লেখার গুনগান করেন। বর্তমান সময়ের লেখকদের লেখা নিয়ে পাঠকেরা হতাশ। এজন্য তাঁরা এখন কলকাতার লেখকদের বই পড়ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৩
৯টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×