
বাংলাদেশের মানুষ গুলো মূলত ইতর শ্রেনীর।
দেশের ৭৫% লোক ইতর। এই ইতর গুলো নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, সেই সাথে সব রকম ধর্মকর্মও করে। অর্থ্যাৎ কেউ ধর্মকর্ম করলেই তাকে ভালো মানুষ বলা যাবে না। এক হিসেবে দুষ্ট লোকেরাই ধর্মকর্ম বেশি করে। ধর্ম মানুষকে সঠিক পথে আনতে পারে না। পারার কোনো কারনও নেই। আসল কথা হলো আমাদের খাঁটি ইমানদার নেই। সব ভন্ড। সব লোক দেখানো। বহু লোক আছে অন্যের কাছে ধার্মিক সাঁজার জন্য নামাজ রোজা করে। মূলত কারো মধ্যে পরকালের ভয় নেই। পরকাল নিয়ে কেউ ভাবে না। হয়তো তাঁরা জেনে গেছে, বুঝে গেছে আসলে পরকাল বলে কিচ্ছু নেই।
আমাদের দেশে মসজিদের অভাব নেই।
প্রতিটা মহল্লায় তিনটা চারটা করে মসজিদ। মসজিদ আমাদের দেশে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি আছে। আমাদের লাইব্রেরীর খুব অভাব। মসজিদের চেয়ে আমাদের লাইব্রেরী খুব বেশি দরকার। ধর্মীয় জ্ঞান মানুষকে সুপথে আনতে পারে না। বরং পেছনে টেনে ধরে। মানুষের দরকার আধুনিক শিক্ষা। ধর্মের রুপকথা মানুষকে সঠিক পথ দেখাতে পারে না। আমি প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজ ঢাকা শহরের বিভিন্ন মসজিদে পড়ে থাকি। হুজুরেরা খুৎবার সময় স্পষ্ট করে বলে দেন, মসজিদের জন্য টাকা দেন। এই কাজ করবো, সেই কাজ করবো। যুগ যুগ ধরে মসজিদের জন্য টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। মসজিদ নির্মান কি শেষ হয় না? মূলত ব্যবসা। বিনা পূঁজির ব্যবসা। সেই লাল সালু উন্যাসের কথা মনে পড়ে যায়।
যে শিশু পরিবার থেকে সঠিক শিক্ষা পাবে, সে বড় হয়ে নীতিহীন কাজ করতে পারবে না।
এইবার সেই শিশু ধর্মকর্ম করুক আর না করুক। সমাজে ধার্মিকেরাই মন্দ কাজ বেশি করে। একটা উদাহরণ দেই। আমাদের গ্রামের এক চাচা আছেন। ব্যবসা করেন। উনি মানুষকে মিথ্যা কথা বলে কাস্টমারকে ঠকান। কাস্টমারকে বলেন, মিথ্যা বলব না, মাত্রই নামাজ পড়ে এলাম। এই দেখুন নামাজের পড়তে পড়তে আমার কপালে স্থায়ী দাগ বসে গেছে। কাস্টমার তার কথা বিশ্বাস করে নকল প্রোডাক্ট নিয়ে যায়। দেখলেন একজন ধার্মিকের অবস্থা। ধার্মিকেরা শুধু ঠকবাজ নয় সেই সাথে প্রচন্ড হিংস্র হয়। মাদ্রাসা গুলোতে হুজুরেরা কি করে তা তো সকলেই জানেন। ক'দিন পরপর পত্রিকায় দেখা যায়। ওয়াজে হুজুরেরা মিথ্যা বলে। আইন করে আমাদের দেশে ওয়াজ বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।
দেশের উন্নতির জন্য দরকার ভালো মানুষ।
আমাদের দেশে ভালো মানুষের খুব অভাব। হাতে গোনা কয়েকজন ভালো মানুষের নাম আমি আপনাদের বলি- শেখ মুজিব, মাওলা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদ, এ কে ফজলুল হক প্রমুখ। এরকম খাটি মানুষ আমাদের দেশে আর জন্ম নেয়নি। এখন, আমাদের দেশ হচ্ছে চোরের দেশ। আমলারা চুরী করছে, এমপি, মন্ত্রী, কাউন্সিলর, ছাত্রলীগ, সিটি কর্পোরেশন সহ সকলেই চোর। এই চোরেরা চুরী করে আর নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়। অসৎ পথের টাকা দিয়ে হজ্বে যায়। অসৎ টাকা দিয়ে মসজিদ, মাদ্রাসা আর এতিমখানা বানায়। মাদ্রাসা পাশ দিয়ে কি হবে? মসজিদে আযান দেবে, কেউ মারা গেলে কোরআন খতম দেবে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কায়দা, আমপাড়া শেখাবে। এই তো? মাদ্রাসায় লেখাপড়া করলে ভালো চাকরি পাবে না। তাকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে।
তুলনামূলক এই দেশে নাস্তিকেরা মানবিক এবং হৃদয়বান হয়।
নাস্তিকেরা মসজিদে যায় না তবু তারা সহজ সরল সুন্দর জীবনযাপন করে। আমাদের দেশে সত্যিকারের উন্নতির জন্য মাদ্রাসা গুলো বন্ধ করে দিতে হবে। সব ছেলেমেয়ে স্কুলে পড়বে। নো মাদ্রাসা। সরকারের উচিত লেখাপড়া সম্পূর্ণ ফ্রি করে দেওয়া। এই কাজটা স্বাধীনতার পরই করা উচিত ছিলো। তাহলে দেশ আজ অনেক উন্নতি করতে সক্ষম হতো। দেশে বিজ্ঞানী নেই। আছে শুধু কোরানে হাফেজ। এত এত কোরানে হাফেজ, এত এত কোরানের পাখি দিয়ে জাতি কি করিবে? কোরআন মূখস্ত করা সহজ। মূলত দুটা গ্রন্থ কোরআন এবং হাদীস। আর বিজ্ঞানের অসংখ্য বই।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




