somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজকের ডায়েরী- ১২৬

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

হিন্দুদের পূজো শেষ। শারদীয় উৎসব শেষ।
শীত শীত আসি আসি করছে। শীতের একটা আমেজ আছে, আছে একটা গন্ধ। আমি সেই গন্ধ টের পাই। আজ শুক্রবার। এই মুহুর্তে আমি আছি মিরপুর ১৪ নম্বরে। জুম্মার নামাজ এখানেই পড়বো। যাইহোক, অনেকে মোবাইল নাম্বার চায়, বাড়ির ঠিকানা চায়। তাদের আমি বলি- হ্যা পেতে পারেন। নাম্বার কোনো ব্যাপার না। শুধু নাম্বার কেন আপনি আমার বাসার ঠিকানাও পেতে পারেন। নাম্বার বাসার ঠিকানা দিতে আমার কোনো সমস্যা নাই। আমি তো কোনো লাটবাহাদুর নই। নই কোনো মন্ত্রী, এমপি বা সিনেমার নায়ক। নই গায়ক বা বড় ব্যবসায়ী।

অনুরোধ করি কিন্তু আমাকে বিরক্ত করতে পারবেন না।
রাত ৮ টার পর আমাকে ফোন করবেন না। মানে খুব প্রয়োজন ছাড়া ফোন দিবেন না। বা বাসায় আসবেন না। খেজুরে আলাপে আমি নাই। সময় খুব মূল্যবান। নিজের কন্যাকে সময় দেওয়া সবচেয়ে মূল্যবান। একটা দুখের কথা বলি- একটা অফিসে আমি সাড়ে ছয় বছর চাকরি করেছি। সবার সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো। কত সৃতি তাদের সাথে। চাকরি ছাড়ার পর ওই অফিসের কোনো কলিগ আমার সাথে যোগাযোগ করেন নি। কেউ একটা ফোন পর্যন্ত করেনি। এমনকি ফেসবুকে একটা ম্যাসেজ পর্যন্ত দেয়নি। সামান্য সৌজন্য কেউ দেখায়নি। বিষয়টা আমাকে দুখ দিয়েছে। ভাবিয়েছে, মন খারাপ করে দিয়েছে।

এক অখ্যাত প্রকাশক আছেন ব্লগে।
একবার আমি তার নাম্বার চাইলাম। তিনি বললেন তার নাম্বার কেন চাইছি। আমি বললাম, আপনার সম্পর্কে জানার জন্য। প্রকাশক ভাব নিয়ে বললেন গুগল করে আমার সম্পর্কে জেনে নিবেন। আমি গুগল করলাম। তার সম্পর্কে কিছুই পেলাম না। শুধু পেলাম তার করা একটা সংগঠন এর নাম। প্রকাশক এই সংগঠন দেখিয়ে লোকজনের কাছ থেকে টাকা নেয়। এটাই তার ধান্দা। ফালতু লোকজন যখন ভাব নেয়, আমার মেজাজই প্রচন্ড খারাপ হয়। যেহেতু আমি ভদ্র মানুষ। তাই কাউকে গালি দিতে পারি না। বাজে আচরণ করতে পারি না। অথচ মানুষ এগুলো আমার সাথেঅবলীলায় করে যায়। কম দু:খে বলি না, বাংলাদেশের মানুষ গুলি ইতর শ্রেণীর।

একটা বয়সে চ্যাংড়া পোলাপান কোনো মেয়ের নাম্বার পেলে রাতের বেলা ফোন দেয়।
ম্যাসেজ পাঠায়। বিরক্তির করে। কিছু মেয়েও এরকম করে। বাজে অভ্যাস। এইসব অভ্যাস থেকে আমি চিরকাল দূরে থেকেছি। যখন আমি স্কুলে পড়তাম। আমাদের সাথে একটা মেয়ে পড়তো লাবনী নাম। মেয়েটা খুব সুন্দর ছিলো। বাড়ি তার যশোর। নওয়াপাড়া। লজ্জার কারনে লাবনী কে কখনও বলতে পারিনি তাকে আমার ভালো লাগে। আড়াল থেকে তাকে আমি লুকিয়ে দেখি। একদিন হঠাৎ লাবনীদের বাসার ফোন নম্বর পেয়ে যাই। এক আকাশ সাহস সঞ্চয় করে লাবনীকে ফোন দিয়েই দিলাম। লাবনী ফোন ধরলে কি বলব আমি জানি না। লাবনী বুদ্ধিমতী মেয়ে। সে ম্যানেজ করে নিবে অবশ্যই।

আমার পোড়া কপাল। ফোন ধরলেন লাবনীর বাবা।
লাবনীর বাবা আবার পুলিশের বড় কর্মকর্তা। তিনি গম্ভীর গলায় বললেন তুমি কে? আমি ভড়কে গেলাম। আমি মিথ্যা বলতে পারি না। বলে দিলাম আমার নাম। ঠিকানা। তিনি বললেন, আমার মেয়েকে চাচ্ছো কেন? এই প্রশ্নে আমি ঘাবড়ে গেলাম। শুধু বললাম, স্যরি। যাইহোক, পরের দিন স্কুলে লাবনী বলল, ফোন করেছিলে কেন? আমায় ভালোবাসো? অজানা এক ভুবনের সমস্ত লজ্জা আর ভয় আমায় ঘিরে ধরলো। সেদিন লাবনী আমাকে বার্গার আর কোক খাওয়ালো। এরপর থেকে কোক আর বার্গার আমার প্রিয় খাবার হয়ে গেলো। বাইরে থাকলে, ক্ষুধা পেলে- কোক আর বার্গার খেয়ে নিই। যাইহোক, আমি জানি না লাবনী এখন কোথায়! লাবনীকে দেখতে ইচ্ছে করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাদ্রাসা শিক্ষা, বৈশ্বিক রাজনীতি, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৫


লেখাটির শুরুতে একটি ভূমিকা দেওয়া যাক। সর্বশেষ দেশে গিয়ে কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। উত্তরবঙ্গে, নিতান্ত অনুন্নত আমাদের সেই গ্রামে এতগুলো কওমি মাদ্রাসা হয়েছে দেখে অবাক হয়েছিলাম। আগে গ্রামে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চোখের জল

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৬


সুদীর্ঘ ১৭ বছরের জমে থাকা
বিনম্র চোখের এক কোণে জল!
প্রকাশে এলো এই জনসমুদ্রে-
জনসমুদ্র তুলছে আনন্দাশ্রুর
ঢেউ- দেখছে নতুন ফুলের গন্ধ;
এ নৈঃশব্দের আর্তনাদ বুঝতে
হবে শুধু তোমাকে- আমাকে
গড়ে তুলতে হবে মনুষ্যের প্রণয়ে
সূর্য ভোর- যেখানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকার মানুষের জীবন

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪


ঢাকাতে মানুষ বড় বিচিত্র ভাবে বেঁচে থাকে। নিয়মিত ঢাকার রাস্তার ঘুরে বেড়ানোর কারণে এই রকম অনেক কিছু আমার চোখে পড়ে। সেগুলো দেখে মনে হয় মানুষ কত ভাবেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?



পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছরই বৃষ্টিপাত হয়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকার কিছু দেশ এবং দক্ষিন আমেরিকার কিছু দেশ ও অঞ্চলে বছরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ কখনো এমন করে বলতে পেরেছে কি?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


ভারতে গরু ও গোমাংস নিয়ে হত্যা বা সহিংসতার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন কারণ এটি রাজ্য, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং 'গরু রক্ষা' বাহিনী ইত্যাদীর কারণে একেক যায়গাতে একেক রকম। ভারত গোমাংস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×