
জাতির কাছে আজ কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ?
১ . কর্ণফুলী নদীর নিচে দেশের প্রথম টানেল উদ্বোধন? দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশে প্রথম সড়ক টানেল এটি।
২ . নয়া পল্টনে বিএনপির সরকার বিরোধী সমাবেশ?
৩। বায়তুল মোকাররমে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ?
৪। নাকি বাংলাদেশ - ন্যাদারল্যান্ডের ক্রিকেট ম্যাচ?
আপনার কাছে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ?
সকালে ঘুম থেকে উঠে আশে পাশের এলাকা হেঁটে এলাম।
মনে হচ্ছে আজ ছুটির দিন। রাস্তা কেমন খালি খালি। গাড়ী, সিএনজি এবং বাসের সংখ্যা অনেক কম। তবে রিকশা আছে অনেক। আজ অনেকেই নিজের ব্যাক্তিগত গাড়ি বের করেননি। বহু লোক আজ অঘোষিত ছুটি কাটাচ্ছেন। মানুষ বাইরে যাবে কিভাবে? বাস চলছে না। আওয়ামীলীগের ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন- ২৮ অক্টোবর আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে ওবায়দুল কাদের পক্ষান্তরে মুক্তিযুদ্ধকে সস্তা করে ফেললেন না তো? তিনি আজকাল কী বলছেন এসব?
জামায়াত একটা গান ছেড়ে বুস্ট করেছে, 'চলো চলো ঢাকা চলো'।
কথা সেটা না, এত বছর শুনলাম, বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার হারাম, একেবারে হারামরে বুস্ট করে দিল! শাপলা চত্বরে প্রবেশ করতে উন্মুখ হাজার হাজার জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী। তবে শাপলা চত্বর পুলিশের দখলে। এত সবের পরেও, জামাতের সাহস দেখে আশ্চর্য হলাম। সুনশান শাপলা চত্বর। পুলিশের দখলে। ওদিকে আরামবাগে জড়ো হচ্ছে জামাত-শিবির। শান্তিনগর, কাকরাইল, মৎসভবন এইসব এরিয়াতে মিছিলে মিছিলে লোকে লোকারণ্য।হাঁটার জায়গা পর্যন্ত নাই।
সমাবেশ করে কখনো সরকারপতন ঘটানো যায় না।
স্বৈরতন্ত্রের পতন ঘটে গণঅভ্যুত্থানে। ধরি, বিএনপি এবার কঠিন আন্দোলন করল আর সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারকে বাধ্য করল। নির্বাচন ঠিক ভাবে হলে বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমরা কী আশা করতে পারি? আমার বাসার কাছে মির্জা আব্বাসের অফিস। এখানে এই মুহুর্তে কোনো লোকজন নেই। তবে পুলিশের একটা গাড়ি আছে। গাড়িতে ৪/৫ জন পুলিশ বসে আছে। মানুষের লড়াইগুলো মূলত স্বাধীনতারই, অর্থাৎ, সাম্য, ইনসাফ এবং মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই।
নগরবাসী আজ টিভির সামনে বসে আছে।
প্রতিটা টিভি চ্যানেল লাইভ দেখাচ্ছে। অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলো ফেসবুকে লাইভ দেখাচ্ছে। জামাতের কয়েকজন অলরেডি গ্রেফতার। বিএনপির সাথে পুলিশের হাতাহাতি হয়েছে কয়েক দফা। মূলত দিন শেষে ফয়াফল শূন্য হবে। আওয়ামীলীগের একটা চুলও কেউ ফেলতে পারবে না। বিশেষ করে যতদিন শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন। এবং তিনিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।
এক রসিক ব্যাক্তিকে বলছেন-
তেজগাঁও দিয়ে একটা মিছিল যাচ্ছে "জয় বাংলা" স্লোগান দিয়ে। পুলিশ আপনা লোক ভেবে ছেড়ে দিলো। পরে জানা গেলো, সেটা ছিলো জামায়াতের মিছিল। পুলিশ খুব ক্ষুব্ধ হলো নিজেদের উপর। কিছুক্ষণ পর আওয়ামিলীগের একটা ছোট্ট মিছিল "জয় বাংলা" স্লোগান দিয়ে যাচ্ছিলো পুলিশের সামনে দিয়ে। পুলিশ সেটাকে জামায়াত ভেবে ধাওয়া দিয়ে এলোমেলো করে দিলো। আওয়ামিলীগের এক ত্যাগী কর্মী ধাওয়া খেয়ে হতবাক। সে দৌড়াচ্ছে আর বলছে "পুলিশ ঘুষ খাইসে রে!

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




