somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

কোনটি সত্যিকারের সত্য বা সবচেয়ে সঠিক ধর্ম হতে পারে?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পৃথিবীতে কোনো সঠিক ধর্ম নেই।
ধর্ম সৃষ্টি করেছে কতিপয় চতুর লোক। সামন্ত যুগে লোকজন জ্ঞানে বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না। তখন মানুষ রসিকে সাপ মনে করতো। তখন কম্পিউটার ছিলো না, ইন্টারনেট ছিলো না। ছিলো না উড়োজাহাজ। গাড়ি, টিভি, মোবাইল কোনো কিছুই ছিলো না। বিশেষ করে বর্তমানের মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোর ছিলো গজব অবস্থা। আরব দেশ গুলো কেউ চিনতো না, তাঁরা জানতো না, চিনতো- তাদের বহু আগে জন্ম নেওয়া ওস্তাদদের। এরিষ্টটল, প্লেটো এমনকি তারা গৌতম বুদ্ধের নাম পর্যন্ত শুনেনি। তারা জানতো না তাদের মহামূল্য তেলের ক্ষনির কথা। নবীজিও তেলের কথা বলে যাননি।

সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষে মানুষে বিভেদ ছিল।
এক জাতি আরেক জাতিকে শত্রু মনে করতো। যেমন এক জাতি ছিলো তাদের কেউ মারা গেলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হতো। আবার আরেক জাতি মনে করতো- আমাদের কেউ মরে গেলে আমরা পুড়িয়ে ফেলব না। আমরা কবর দিবো। এভাবে মানুষ সব কিছুতেই নিজেদের ভাগ করে নিলো। কেউ হয়ে গেল হিন্দু, কেউ হয়ে গেল মুসলমান, কেউ খ্রিস্টান আর কেউ বৌদ্ধ। অর্থ্যাৎ ধর্ম সৃষ্টি হওয়ার পর মানুষ বিভিন্ন গোত্রে নিজেদের ভাগ করে নিলো। লেখা হলো ধর্মীয় কিতাব। মিলের দিক থেকে সব গুলো ধর্মীয় কিতাব উনিশ বিশ। সব গুলো কিতাব প্রায় একই রকম।

ইসলাম ধর্ম তো সবচেয়ে লেটেস্ট ধর্ম।
সনাতন ধর্ম আর বৌদ্ধ ধর্ম বহু পুরানা ধর্ম। ব্যাক্তিগত ভাবে আমার গৌতম বুদ্ধের ধর্মটাই সবচেয়ে ভালো লাগে। কোনো মারামারি কাটাকাটি নেই। রুপকথার গল্প নেই। হিন্দু ধর্মে রুপকথার শেষ নেই। ইসলাম ধর্মেও যথেষ্ট রুপকথা রয়েছে। যা সম্পূর্ণ লজিকহীন। সমস্ত ধর্মের রুপকথা গুলো এই আধুনিক যুগে হাস্যকর লাগে। চিন্তা করতে গেলে বুঝা যায় একসময় মানুষ কত অসহায় ছিলো। কত নির্বোধ ছিলো। সূর্যকে পূজা করতো। গ্রহ নক্ষত্র গুলোকে পূজা করতো। কাবাঘর নিয়ে বহু কাহিনী হয়েছে। একদল কাবা ঘরে মূর্তি রাখবে এবং পূজা করবে। আরেক দল কাবা ঘরে মূর্তি রাখতে দিবে না। লেগে গেলো যুদ্ধ। যুদ্ধের ইতিহাস মুসলমানদের পক্ষে। আচমকা আক্রমণ করে সব কিছু লুট করে নিতো। এমনকি নারী পর্যন্ত।

পৃথিবীটা মানুষের। মানুষের সীমাহীন পরিশ্রমের ফলে আজকের আধুনিক বিশ্ব গড়ে উঠেছে।
কোনো ধর্মের প্রভুই মানুষের জন্য ঘর বাড়ি, জাহাজ, প্লেন, কম্পিউটার, ফ্রিজ টিভি ইত্যাদি তৈরি করে দেয় নাই। মানুষ বন, গুহা থেকে বের হয়ে এসে সব কিছু তৈরি করেছে, সৃষ্টি করেছে। আকাশ থেকে ফেরেশতা নেমে এসে মানুষের জন্য কিছু করে দিয়ে যায়নি। আমেরিকার নাসাকে সাহায্য করেনি প্রভুর ফেরেশতারা। ধর্মীয় কিতাব গুলো অলৌকিক ভাবে আসেনি আসমান থেকে। মানুষই লিখেছে। কোটি কোটি মানুষ প্রতি বছর হজ্ব করে। সৌদি হজ্বের টাকা দিয়ে বেশ ভালো আছে। আমাদের দেশে যদি এরকম কাবা থাকতো। সারা বিশ্ব থেকে লোকজন হজ্ব করতে আসতো- তাহলে আমাদের দেশটা ধনী হয়ে যেতো। অথবা তেলের ক্ষনি থাকলেও চলতো। আল্লাহ আমাদের ঠকিয়েছেন।

সত্যিই একজন ঈশ্বর থাকলে-
পৃথিবীটা এত অনাচারে ভরে যেতো না। এই যে ইজরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধ হচ্ছে। ছোট ছোট বাচ্চারা মারা যাচ্ছে। মানবিক মানুষেরা এত এত শিশুর মৃত্যু সহ্য করতে পারছে না। একজন ঈশ্বর থাকলে এই যুদ্ধ অবশ্যই থামিয়ে দিতেন। হিটলার অসংখ্য মানুষকে হত্যা করতে পারতো না। আমাদের ত্রিশ লাখ লোক মারা বযেতো না। আমেরিকা ভিয়েতনামের সাথে যুদ্ধ করতো না। লাদেন টুইন টাওয়ারত গুড়িয়ে দিতে পারতো না। সত্যিই একজন ঈশ্বর থাকলে মায়ের পেট থেকেই প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হতো না। একজন ঈশ্বর থাকলে আফ্রিকার শিশুরা না খেয়ে মারা যেত না। পৃথিবীটা আনন্দময় হতো। করোনায় লাখ লাখ লোক মারা যেতো না। যদি সত্যিই একজন ঈশ্বর থাকতো তাহলে তিনি অবশ্যই তার অলৌকিক ক্ষমতা কিছু দেখাতেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৫২
২২টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাদ্রাসা শিক্ষা, বৈশ্বিক রাজনীতি, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৫


লেখাটির শুরুতে একটি ভূমিকা দেওয়া যাক। সর্বশেষ দেশে গিয়ে কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। উত্তরবঙ্গে, নিতান্ত অনুন্নত আমাদের সেই গ্রামে এতগুলো কওমি মাদ্রাসা হয়েছে দেখে অবাক হয়েছিলাম। আগে গ্রামে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চোখের জল

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৬


সুদীর্ঘ ১৭ বছরের জমে থাকা
বিনম্র চোখের এক কোণে জল!
প্রকাশে এলো এই জনসমুদ্রে-
জনসমুদ্র তুলছে আনন্দাশ্রুর
ঢেউ- দেখছে নতুন ফুলের গন্ধ;
এ নৈঃশব্দের আর্তনাদ বুঝতে
হবে শুধু তোমাকে- আমাকে
গড়ে তুলতে হবে মনুষ্যের প্রণয়ে
সূর্য ভোর- যেখানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকার মানুষের জীবন

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪


ঢাকাতে মানুষ বড় বিচিত্র ভাবে বেঁচে থাকে। নিয়মিত ঢাকার রাস্তার ঘুরে বেড়ানোর কারণে এই রকম অনেক কিছু আমার চোখে পড়ে। সেগুলো দেখে মনে হয় মানুষ কত ভাবেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?



পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছরই বৃষ্টিপাত হয়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকার কিছু দেশ এবং দক্ষিন আমেরিকার কিছু দেশ ও অঞ্চলে বছরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ কখনো এমন করে বলতে পেরেছে কি?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


ভারতে গরু ও গোমাংস নিয়ে হত্যা বা সহিংসতার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন কারণ এটি রাজ্য, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং 'গরু রক্ষা' বাহিনী ইত্যাদীর কারণে একেক যায়গাতে একেক রকম। ভারত গোমাংস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×