somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজকের ডায়েরী- ১২৮

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

জিনিসপত্রের দাম বাড়লে জনগন হায়-হায় করে।
সহ্য করে না, ধৈর্য্য ধরে না। এই যে এখন ডিমের দাম কমে গেছে। এখন ১২০ টাকা ডজন। অথচ এই ডিমের দাম বেড়ে ১৭০ টাকা ডজন হয়ে গিয়েছিলো। অবাক ব্যাপার হচ্ছে গরুর মাংসের দামও কমে গেছে। এখন ৬ শ' টাকা কেজি। ৮ শ' টাকা কেজি ছিলো। এখন কেজিতে দুই শ' টাকা কম! লোকজন পাগলের মতো গরুর মাংস কিনছে। লম্বা লাইন ধরে গরুর মাংস কিনছে। খাসির মাংস ১২শ' টাকা কেজি ছিলো। এখন ৯শ' টাকা কেজি। ফার্মের মূরগীর দামও কমেছে। এখন ১৬০ টাকা কেজি। কেজিতে ৩০/৪০ টাকা করে কমেছে। জিনিসপত্রের দাম বেশি হলেও আমার কোনো সমস্যা নেই। কম হলেও সমস্যা নেই। আমি সব সময় ভাবি দরিদ্র অসহায় মানুষের কথা। কারন তাদের সংখ্যাই এই সমাজে অনেক বেশি। তারা ভালো থাকলেই আমি খুশি।

আমাদের সামু ব্লগে অশান্তি চলছে।
যেখানে শিক্ষিত মানুষের মিলনমেলা সেখানে অশান্তি কেন হবে? আমার কথা হচ্ছে- আমাদের কাম কাজ সেরে আমরা সামুতে আসি। সময় দেই। কিছু লিখি। কিছু মন্তব্য করি। ব্যস শেষ। কেন আরেকজনকে বাজে কথা বলতে যাবো? হ্যা জানি কিছু দুষ্টলোক সামুতে আসে। আমরা জানি কিছু দুষ্টলোক তো সারা দুনিয়া ভরেই আছে। এমনকি নবীজির দেশ মক্কা মদীনায়ও দুষ্টলোকের অভাব নেই। হজ্ব করতে গিয়েও সুযোগ পেলে কুনি দিয়ে গুতা দেয়। ব্লগ তো বাজার। এখানে অনেক রকম মানসিকতার লোক আছে। ভালো লোক আছে, মন্দ লোকও আছে। মন্দ লোকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন এডমিন। আমরা কেন মন্দ লোককে গালমন্দ করতে যাবো? আমার জীবনে আমি কাউকে কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দেই নাই। তার মানে এই না যে আমি গালি দিতে জানি না। আমি অনেক খারাপ খারাপ গালি জানি। সামু ব্লগের এখন এমন অবস্থা হয়েছে, কোনো কিছু ঘটলেই শেষমেষ সব দোষ গিয়ে পড়ে সোনাগাজীর উপর।

আমাদের পাশের বাসায় একটা পরিবার থাকে।
খুব অদ্ভুত একটা পরিবার। পরিবারের প্রধান ব্যাক্তি সকালবেলা সূরা মূলক পড়ছেন। উচ্চ স্বরে। তিনি তার বড় মেয়েকে বললেন, মা তুই সূরা ওয়াকিয়া পড়। এই সূরা পড়লে দারিদ্রতা গ্রাস করতে পারে না। খুব পাওয়ার ফুল সূরা। মেয়ে বলল, বাবা সূরা ওয়াকিয়া রাতে পড়া উত্তম। বাবা বললেন, তাহলে তুই সূরা লোকমানটা পড়। বাবা হাসিমুখে বললেন- আমি সকাল থেকে অলরেডি সূরা মূলক চল্লিশ বার পড়ে ফেলেছি। কবর আযাব থেকে নিশ্চয়ই মুক্তি পাব। তার একমাত্র ছেলে বলল, বাবা আমি সকাল থেকে ৫০ বার আয়াতুল কুরসি পড়ে ফেলেছি। বাবা মেয়ে দুইজনই একসাথে বলল- সুবাহানাল্লাহ। ভদ্র লোকের স্ত্রী মারা যান চিকিৎসার অভাবে। স্ত্রীর লাংস ইনফেকশন হয়। তাকে কোনো ডাক্তার দেখানো হয় না। স্বামী বলে, আমি মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি। এবার বাকিটুকু আল্লাহর মর্জি। আমার বিশ্বাস তুমি সুস্থ হয়ে উঠবে। স্ত্রী সেরে ওঠেনি। মারা গেছেন।

গতকাল আমি মিরপুর ১১ নম্বর বাজারটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম।
অনেক বড় বাজার। সব কিছুই এখানে পাওয়া যায়। মিরপুর এলাকায় যত বড় বড় দোকানপাট আছে তারা এখান থেকেই পাইকারী দামে জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যায়। ১১ নম্বরে বিহারী দিয়ে ভরা। তাদের সাথে মিশে গেছে বাঙ্গালীরা। বিহারীরা বাঙ্গালীদের সাথে বাংলায় কথা বলে। কিন্তু যখন নিজেদের সাথে কথা বলে তখন উর্দু ভাষায় কথা বলে। পুরান ঢাকার মতো এখানে অনেক ছোট ছোট বাড়ি আছে। এত ছোট ৩/৪ তলা বাড়ি, দেখলে আপনি নিজের অজান্তেই মাথায় হাত দিয়ে অবাক হয়ে যাবেন! কাল্লুর কাবাব নামে একটা দোকান আছে। বেশ জনপ্রিয়। সেখানে কাবাব খেলাম। আমার কাছে ভালো লাগেনি। দোকানটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নয়। একলোককে দেখলাম রাস্তায় নানান রকম পিঠা বিক্রি করছে। সেই পিঠারস সাথে ভর্তা ফ্রি। কমপক্ষে ত্রিশ রকমের ভর্তা আছে। যত পারো খাও।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩
৯টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×