জিনিসপত্রের দাম বাড়লে জনগন হায়-হায় করে।
সহ্য করে না, ধৈর্য্য ধরে না। এই যে এখন ডিমের দাম কমে গেছে। এখন ১২০ টাকা ডজন। অথচ এই ডিমের দাম বেড়ে ১৭০ টাকা ডজন হয়ে গিয়েছিলো। অবাক ব্যাপার হচ্ছে গরুর মাংসের দামও কমে গেছে। এখন ৬ শ' টাকা কেজি। ৮ শ' টাকা কেজি ছিলো। এখন কেজিতে দুই শ' টাকা কম! লোকজন পাগলের মতো গরুর মাংস কিনছে। লম্বা লাইন ধরে গরুর মাংস কিনছে। খাসির মাংস ১২শ' টাকা কেজি ছিলো। এখন ৯শ' টাকা কেজি। ফার্মের মূরগীর দামও কমেছে। এখন ১৬০ টাকা কেজি। কেজিতে ৩০/৪০ টাকা করে কমেছে। জিনিসপত্রের দাম বেশি হলেও আমার কোনো সমস্যা নেই। কম হলেও সমস্যা নেই। আমি সব সময় ভাবি দরিদ্র অসহায় মানুষের কথা। কারন তাদের সংখ্যাই এই সমাজে অনেক বেশি। তারা ভালো থাকলেই আমি খুশি।
আমাদের সামু ব্লগে অশান্তি চলছে।
যেখানে শিক্ষিত মানুষের মিলনমেলা সেখানে অশান্তি কেন হবে? আমার কথা হচ্ছে- আমাদের কাম কাজ সেরে আমরা সামুতে আসি। সময় দেই। কিছু লিখি। কিছু মন্তব্য করি। ব্যস শেষ। কেন আরেকজনকে বাজে কথা বলতে যাবো? হ্যা জানি কিছু দুষ্টলোক সামুতে আসে। আমরা জানি কিছু দুষ্টলোক তো সারা দুনিয়া ভরেই আছে। এমনকি নবীজির দেশ মক্কা মদীনায়ও দুষ্টলোকের অভাব নেই। হজ্ব করতে গিয়েও সুযোগ পেলে কুনি দিয়ে গুতা দেয়। ব্লগ তো বাজার। এখানে অনেক রকম মানসিকতার লোক আছে। ভালো লোক আছে, মন্দ লোকও আছে। মন্দ লোকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন এডমিন। আমরা কেন মন্দ লোককে গালমন্দ করতে যাবো? আমার জীবনে আমি কাউকে কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দেই নাই। তার মানে এই না যে আমি গালি দিতে জানি না। আমি অনেক খারাপ খারাপ গালি জানি। সামু ব্লগের এখন এমন অবস্থা হয়েছে, কোনো কিছু ঘটলেই শেষমেষ সব দোষ গিয়ে পড়ে সোনাগাজীর উপর।
আমাদের পাশের বাসায় একটা পরিবার থাকে।
খুব অদ্ভুত একটা পরিবার। পরিবারের প্রধান ব্যাক্তি সকালবেলা সূরা মূলক পড়ছেন। উচ্চ স্বরে। তিনি তার বড় মেয়েকে বললেন, মা তুই সূরা ওয়াকিয়া পড়। এই সূরা পড়লে দারিদ্রতা গ্রাস করতে পারে না। খুব পাওয়ার ফুল সূরা। মেয়ে বলল, বাবা সূরা ওয়াকিয়া রাতে পড়া উত্তম। বাবা বললেন, তাহলে তুই সূরা লোকমানটা পড়। বাবা হাসিমুখে বললেন- আমি সকাল থেকে অলরেডি সূরা মূলক চল্লিশ বার পড়ে ফেলেছি। কবর আযাব থেকে নিশ্চয়ই মুক্তি পাব। তার একমাত্র ছেলে বলল, বাবা আমি সকাল থেকে ৫০ বার আয়াতুল কুরসি পড়ে ফেলেছি। বাবা মেয়ে দুইজনই একসাথে বলল- সুবাহানাল্লাহ। ভদ্র লোকের স্ত্রী মারা যান চিকিৎসার অভাবে। স্ত্রীর লাংস ইনফেকশন হয়। তাকে কোনো ডাক্তার দেখানো হয় না। স্বামী বলে, আমি মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি। এবার বাকিটুকু আল্লাহর মর্জি। আমার বিশ্বাস তুমি সুস্থ হয়ে উঠবে। স্ত্রী সেরে ওঠেনি। মারা গেছেন।
গতকাল আমি মিরপুর ১১ নম্বর বাজারটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম।
অনেক বড় বাজার। সব কিছুই এখানে পাওয়া যায়। মিরপুর এলাকায় যত বড় বড় দোকানপাট আছে তারা এখান থেকেই পাইকারী দামে জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যায়। ১১ নম্বরে বিহারী দিয়ে ভরা। তাদের সাথে মিশে গেছে বাঙ্গালীরা। বিহারীরা বাঙ্গালীদের সাথে বাংলায় কথা বলে। কিন্তু যখন নিজেদের সাথে কথা বলে তখন উর্দু ভাষায় কথা বলে। পুরান ঢাকার মতো এখানে অনেক ছোট ছোট বাড়ি আছে। এত ছোট ৩/৪ তলা বাড়ি, দেখলে আপনি নিজের অজান্তেই মাথায় হাত দিয়ে অবাক হয়ে যাবেন! কাল্লুর কাবাব নামে একটা দোকান আছে। বেশ জনপ্রিয়। সেখানে কাবাব খেলাম। আমার কাছে ভালো লাগেনি। দোকানটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নয়। একলোককে দেখলাম রাস্তায় নানান রকম পিঠা বিক্রি করছে। সেই পিঠারস সাথে ভর্তা ফ্রি। কমপক্ষে ত্রিশ রকমের ভর্তা আছে। যত পারো খাও।