somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

এই প্রজন্ম!

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



যে ছেলে প্রতিষ্ঠিত না হয়ে বিয়ে করবে, তার বিয়ে টিকবে না।
চারপাশে এত এত তালাকের কারণ হচ্ছে, বিয়ের পর সংসারে দেখা দেয় অভাব, মনোমালিন্য। এবং বিয়ের সময় ছেলেমেয়ে দুজনেই যে মিথ্যা গুলো বলে সেটা প্রকাশ পেয়ে যায় প্রথম বছরেই। ফলাফল ডির্ভোস। বর্তমান প্রজন্ম বিয়ের বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে করে ফেলে। মোহ কেটে যায়। তখন তালাক হয়ে যায়। কুরকুরানির কারনে অল্প বয়সে বিয়ে করে ফেলে। লেখাপড়া শেষ করে না। টাকা ইনকাম করে না। এদিকে বউয়ের ভরনপোষণ দিতে পারে না। ফলাফল ঝগড়া। ঝগড়া থেকে অশান্তি। অশান্তি থেকে তালাক।

এই প্রজন্ম মূলত নির্বোধ।
নির্বোধ গুলো ঠিক করে লেখাপড়া করে না। করে টিকটক। টিকটক মিলনমেলার আয়োজন করে ছাগলামি করে। সারাদিন পড়ে থাকে ফেসবুক নিয়ে। মেয়ে নিয়ে। কিভাবে প্রেম করবে। আরে ছাগল প্রেম ভালোবাসা করার আগে নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ তো করে নে। এই সহজ জিনিসটা বুঝিস না ক্যান? তোদের পাকনামির কারণে দুটা পরিবারের শান্তি নষ্ট হয়ে যায়। এই নির্বোধ প্রজন্ম জ্ঞানের সন্ধান করে না। ফেসবুকে মেয়ের সন্ধান করে। এগুলোকে ধরে সকাল বিকাল দুইবেলা থাপড়ানো দরকার। এদের বাবা মায়েরও দোষ আছে। তারা জন্ম দিয়েছে। দেখভাল করেনি, এবং সঠিক পারিবারিক শিক্ষা দেয়নি।

লেখাপড়া ছাড়া কোনো প্রজন্ম টিকে থাকতে পারবে না।
এই জেনারেশন হচ্ছে প্রশ্নফাস জেনারেশন। এরা নকল করে পাশ করে। রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে সিগারেট খায়। পাশ দিয়ে কোনো মেয়ে হেটে গেলে কুৎসিত ভাবে তাকায়। বাজে মন্তব্য করে। নতুন প্যান্ট কিনে, দর্জির কাছে যায়। প্যান্টকে চিপা করে সেলাই করে। ছাত্রলীগের নেতার সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে, আমার একমাত্র অভিভাবক। কত বড় ছাগল দেখুন নিজের বাপ মাকে অপমান করলো। সাইথ ইন্ডিয়ানদের মুভি দেখে নিজেকে নায়ক ভাবে। অল্প বয়স থেকেই বিড়ি খায়। ধীরে ধীরে একদম বখাটে হয়ে যায়। এদের বাপ মা এদের খোজ খবর রাখে না। মেয়ে গুলো আরো এক কাঠি সরস। লেখাপড়ায় মন না দিয়ে প্রেমে মন দেয়।

এই প্রজন্ম বুঝে না প্রেম ভালোবাসা কাকে বলে।
প্রেম ভালোবাসা বলতে তারা বুঝে শরীর। শরীরের স্বাদ মিটে গেলেই তখন আর বউকে ভালো লাগে না। তখন অন্য নারীর প্রতি আসক্ত হয়। মূলত মেয়েরা যত সচেতন হবে, যত শক্ত হবে তত বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়বে। মেয়েদের চোখমুখ বুঝে সহ্য করা উচিত হবে না। আর কতকাল সহ্য করবে? অবশ্যই মেয়েদের প্রতিবাদী হতে হবে। আর কোনো ছাড় নয়। দুষ গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল অনেক ভালো। আসল কথা হচ্ছে অল্প বয়সে বিয়ে করা যাবে না। আগে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। টাকা ইনকাম করা শিখতে হবে। মেয়েদের জীবনের লক্ষ্য যেন না হয়, শুধু বিয়ে করা। আগে লেখাপড়া শেষ করতে হবে। চাকরি বা বিজনেস করতে হবে। মেয়েরা আর কতকাল বিয়ের আগে বাবা আর বিয়ের পর স্বামীর উপর ভরসা করবে? তারা কি নিজের পায়ে দাঁড়াবে না?

আমাদের এলাকায় এক ছেলে প্রেম করে বিয়ে করেছে।
বিয়ের আগে প্রেম করার সময় মেয়েকে যা যা বলেছে, সবই মিথ্যা বলেছে। বিয়ের পর ছেলে ধরা খেয়ে যায়। তখন সেই ছেলে মেয়েকে বলে ইসলাম ধর্মের কথা। স্বামীকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা যাবে না। স্ত্রীর সম্পত্তিতে স্বামীর হক আছে। নবীজি তার স্ত্রীর ব্যবসা ও টাকা নিজের হাতে নিয়েছেন। বেকার ছেলে, প্রতারক ছেলে শেষ পর্যন্ত ধর্মের আশ্রয় নেয়। এদিকে ধর্ম তো মেয়েদের কোনঠাসা করে রেখেছে। মেয়েদের এখন পুরনো ধ্যান ধারণা থেকে মুক্ত হতে হবে। তাদের চিন্তা ভাবনা উন্নত করতে হবে। সাহসী হতে হবে। নিজে যোগ্য ও দক্ষ করে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। যেন কেউ উচু গলায় কথা বলতে না পারে। মূলত নারীরা হচ্ছেন ধরনী। তাদের মাঝেই আমাদের বসবাস। নারীকে সম্মান করতে হবে। শ্রদ্ধা করতে হবে। তবেই এগিয়ে যাবে মা মাটি ও দেশ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৬
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৯


ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।

ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×