somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আমাদের শাহেদ জামাল- ৬৭

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি চিন্তিত।
তাদের ঘুম এবং খাওয়া দাওয়া হারাম হয়ে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে একেক পর এক টেলিফোন আসছে। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং তিন বাহিনীর প্রধানগণ বেশ কয়েক দফা মিটিং করেছেন। মিটিংয়ের ফলাফল শূন্য। মহান বিজ্ঞানী আসাদ চৌধুরীকে অপহরণ করা হয়েছে। আসাদ সাহেব একটা কনফারেন্সে শিকাগো গিয়েছিলেন। সেখানে বিশ্বের সব জ্ঞানীগুনীরা একত্রিত হয়েছিলেন। কারন, আগামী কয়েক বছরে পৃথিবীতে কিছু বিপদ দেখা দিবে। সেই আসন্ন বিপদ থেকে মুক্তির উপায় খুজতে কতিপয় বিজ্ঞানী একটা জরুরী কনফারেন্সে ডেকেছিলো মিশিগান এলাকায়। সেই কনফারেন্সে যোগ দিতে আসাদ চৌধুরী গিয়েছিলো। কিন্তু এয়ারপোর্ট থেকে বের হতেই 'আল-শাবাব' নামে এক জঙ্গী সংগঠন আসাদ চৌধুরীকে অপহরণ করে। 'আল-শাবাব' থেকে বলা হয়েছে, তারা একশ কোটি টাকা চায় এবং আমেরিকাতে আটক তাদের সংগঠনের দুই নেতার মুক্তি চায়। যাদের সোমালিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। গত সপ্তাহে আসাদ চৌধুরী বিশ্বের সমস্ত জঙ্গী সংগঠন গুলোকে ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়েছিলেন আমেরিকাকে।

আসাদ চৌধুরীকে একটা ঘরে বন্ধী করে রাখা হয়েছে।
তবে তার সাথে কেউ খারাপ ব্যবহার করছে না। ভালো ভালো খাবার খেতে দিচ্ছে। আসাদ চৌধুরী বাঙ্গালী মানুষ। তার পছন্দ ধবধবে সাদা ভাত। কিন্তু 'আল-শাবাব' এর সদস্যরা তাকে ভাত দিচ্ছে না। দিচ্ছে রুটি আর নানান রকম কাবাব। শুকনো রুটি আর কাবাব কত ভালো লাগে! সে একজনের কাছে বলেছে আমাকে ভাত দাও। সাথে লাল শাক ভাজি আর আর দেশী কই মাছ। মুখোশ পরা আর হাতে একে ফোরটি সেভেন গান, লোকটা বলেছে- এটা কোনো হোটেল নয়। আর তুমি কোনো জমিদার নও। তোমাকে বন্ধী করা হয়েছে। আমাদের দাবী না মানা হলে বিসমিল্লাহ্‌ বলে তোমার গলা কাটা হবে। আসাদ চৌধুরী বলল, গলা যখন কাটবে, তখন দেখা যাবে। গলা কাটার আগ পর্যন্ত আমার পছন্দের খাবার দেওয়া তোমাদের কর্তব্য। যাইহোক, এখন শুধু বল আমি কোথায় আছি। লোকটা বলল, তুমি 'গোবী' নামক স্থানে আছে। আসাদ সাহেব বললেন, এটা বিশাল এক মরুভূমি। তাই তো? এ জায়গায় আশে পাশে কোনো মানুষ বা বাড়িঘর নেই। আছে ভয়ঙ্কর হিংস্র পশু। সাপ, চিতা বাঘ, বিষাক্ত বিছা। যা একজন মানুষকে মুহুর্তের মধ্যে মের এফেলতে পারে। আসাদ সাহেব বললেন, একটু হেসে বললেন, এইসব প্রানী গুলো কি- আল-শাবাব থেকেও বিষাক্ত?

প্রধানমন্ত্রী বললেন, আমাদের আর্মি আছে।
অথচ এরা কোনো কাজের না। এরা আসাদ চৌধুরীকে উদ্ধার করতে পারছে না। স্পষ্ট বলে দিলো, 'আল-শাবাব' কঠিন জঙ্গী সংগঠন। এদের অনেক ক্ষমতা। রাশিয়ার কাছে যে পিস্তল বা বোমা নেই তাদের কাছে আছে। আর আল-শাবাব এর সদস্য পৃথিবীর সব দেশে আছে। হয়তো আমাদের আর্মিতেও আছে। প্রধানমন্ত্রী রেগে গিয়ে সেনা কর্মকর্তা কে বললেন, তাহলে যুগ যুগ ধরে তোমাদের লালন পালন করে লাভ কি? এই কথাতে সেনা প্রধান সামান্য হাসলেন। সেনা প্রধান বললেন, পুরান ঢাকার আগামসি লেনে এক ছেলে থাকে তার নাম শাহেদ জামাল। দারুন বুদ্ধিমান ছেলে। রাশিয়া, আমেরিকা এবং ফিলিপাইনের কমান্ডো টেনিং তার আছে। সবচেয়ে বড় কথা সে পিস্তল ব্যবহার করে না। সে ব্যবহার করে তার বুদ্ধি। একমাত্র সে চাইলে আসাদ চৌধুরীকে উদ্ধার করে আনতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ উজ্জ্বল হলো। তিনি বললেন, শাহেদ জামালকে 'গোবী' মরুভূমিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করো। বিনিময়ে সে যা চায় তাকে তাই দাও। প্রয়োজনে তাকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানাবো অথবা রাষ্ট্রপতি। এছাড়া আমৃত্যু তার সকল খরচ বহন করবে রাষ্ট্র। নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোতালেব বললেন, লোভ দেখিয়ে শাহেদ জামালকে কাবু করা যাবে না। সে অন্য সবার মতো না। সে আলাদা।

শাহেদ জামাল রমনা পার্কে ঘুমাচ্ছিলো।
তিন বাহিনীর প্রধান মিলে তার ঘুম ভাঙ্গালেন। তারা বললেন, শাহেদ আপনার গোবী মরুভূমিতে যেতে হবে। ইটস আর্জেন্ট। ভেরি আর্জেন্ট। শাহেদ বলল, আমি সব জানি। গ্রেট আসাদ চৌধুরীকে অপহরণ করা হয়েছে। কারন, তিনি এক ওষুধ আবিস্কার করে ফেলেছেন। যে ওষুধ খেলে মানুষের কোনো দিন মৃত্যু হবে না। এছাড়া আসাদ সাহেব জানেন কি করে পৃথিবীর তারমাত্রা কমিয়ে আনা যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, ভূমিকপম্প, অতি বন্যা, অতি খড়া কি করে কাটানো যাবে। উত্তর মেরুর বরফ দ্রুত গলে যাচ্ছে। সেটা কি ভাবে থামানো যাবে। মূলত সব তথ্য ও আবিস্কার উদ্ধারের জন্য আসাদ চৌধুরীকে অপহরণ করা হয়েছে। শাহেদ জামাল তিন বাহিনীর প্রধানকে বললেন, আমি আজ রাতেই রওনা দিবো। আমার একটা কার্গো বিমান লাগবে। একটা হেলিকাপ্টার লাগবে এবং একটা প্যারাসুট লাগবে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুজিবর বললেন, বন্ধুক লাগবে না? হ্যান্ড গ্রেনেড লাগবে না? অন্ততপক্ষে পিস্তল? শাহেদ বলল, না আমার কিচ্ছু লাগবে না। আমি প্রথমে কার্গো বিমানে করে চীন যাবো। চীন থেকে হেলিকাপ্টারে করে গোবী মরুভূমি যাবো। তারপর প্যারাসুটে করে গোবী মরুভূমির উত্তর প্রান্তে নেমে যাবো। যেখানে 'আল-শাবাব' এর সদর দফতর। সেখান থেকে আসাদ চৌধুরীকে উদ্ধার করে আনবো। খুব কঠিন কিছু না। এর আগে আফগানিস্তান থেকে তালেবানের দুই জঙ্গীকে আটক করি নাই? তিন বাহিনীর প্রধান একসাথে মাথা নাড়লেন।

সংসদ ভবন এলাকায় তিন ধারনের জায়গা নাই।
মানুষ আর মানুষ। লাখ লাখ মানুষ। ছেলে বুড়ো সবাই। আজ সংসদ ভবনের সামনে বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মঞ্চ বসে আছেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি। তাদের সাথে বসে আছেন আরো তেরটি দেশের রাষ্ট্রপতি। আরো আছেন বিভিন্ন দেশের সেনা প্রধান ও বিজ্ঞানীরা। ব্রাইডেন এবং পুতিনকে কে অনুষ্ঠানে আসার জন্য দাওয়াত দেওয়া হয় নাই। কিন্তু তারাও এসেছেন। তারা দুজনেই শাহেদ জামালকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন। শাহেদ জামাল গোবী মরুভূমি থেকে আসাদ চৌধুরীকে সম্পূন্ন অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। দেশ বিদেশের সকল পত্রিকায় আজ শাহেদ জামালের ছবি বড় করে ছাপানো হয়েছে। টাইম ম্যাগাজিন শাহেদ জামালকে নিয়ে বিশাল এক আর্টিকেল লিখেছে। কিম জং শাহেদ জামালকে তাদের দেশে নাগরিত্ব দিতে চায়। শাহেদ জামাল এটা হাসিমুখে প্রত্যাখান করেছে। প্রধানমন্ত্রী শাহেদ জামালকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পদ দিতে চান। কিন্তু শাহেদ জামাল সেটা হাসিমুখে প্রত্যাখ্যান করেছে। গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রণালয় শাহেদ জামালকে উত্তরাতে দশ কাঠা জমি দিতে চেয়েছে, শাহেদ জামাল সেটাও গ্রহন করে নাই। রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনায় শাহেদ জামাল বলল, আমি দেশকে ভালোবাসি। বিশ্বকে ভালোবাসি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২০
৩৮টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খালেদা জিয়ার মৃত্যু রাজনীতির মাঠে বিরাট শূন্যতা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৯

 
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া এক উল্লেখযোগ্য চরিত্র। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির টালমাটাল পরিস্থিতিতে তিনি দলটির হাল ধরেন। সেনানিবাসে গড়ে উঠা দলটাকে রাজপথে বেড়ে উঠতে গৃহবধূ থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

"তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।"

লিখেছেন এমএলজি, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৩০

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।" বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় এ কাজটি করা হয়নি বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যাচ্ছে।

বিষয়টি সত্য কিনা তা তদন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

ইয়াতিমদের সাথে ইফতার অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া, ছবি https://www.risingbd.com/ থেকে সংগৃহিত।

তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রীও তিনি। তাকেই তার বৈধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বছরশেষের ভাবনা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮


এসএসসি পাস করে তখন একাদশ শ্রেণিতে উঠেছি। সেই সময়ে, এখন গাজায় যেমন ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে, তখন বসনিয়া নামে ইউরোপের ছোট একটা দেশে এরকম এক গণহত্যা চলছিল। গাজার গণহত্যার সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

উৎসর্গ : জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮



খিচুড়ি

হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল “হাঁসজারু” কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপে—“বাহবা কি ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।”
টিয়ামুখো গিরগিটি মনে ভারি শঙ্কা—
পোকা ছেড়ে শেষে কিগো খাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×