somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

ধর্মীয় বিশ্বাস এবং অযৌক্তিকতা হচ্ছে- 'কুসংস্কার'

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মানুষ হবে আধুনিক এবং তার চিন্তা ভাবনা থাকবে উন্নত।
এখন মানুষ গুহায় বাস করে না। কাচা খাবারও খায় না। এখন মানুষ সভ্য সমাজে বাস করে। সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। মানুষের মধ্যে কেন গোঁড়ামি থাকবে? একবার কুমিল্লা গিয়েছিলাম এক বিয়ের অনুষ্ঠানে। দেখলাম- নতুন বউকে কোলে করে ঘরে আনছে, আর কোলে নিয়েছেন দুলা ভাই। এটাই তাদের রীতি রেওয়াজ। নইলে অকল্যাণ হইবে। কত রকমের ভুল বিশ্বাস নিয়ে মানুষ জীবন কাটিয়ে দেয়। তাদের ভুল গুলো কেউ ভাঙ্গিয়ে দেয় না। আমাদের এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেব বলেছেন- কুসংস্কার ইসলাম সমর্থন করে না। নো নেভার। কুসংস্কার বিশ্বাস করলে ইমান দুর্বল হয়ে যায়। সত্য কথা বলতে, ধর্ম এবং কুসংস্কার মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেয়। পুরো জাতিকে পেছনে টেনে নিয়ে যায়। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কুসংস্কার বিশ্বাস করে মুসলমানরা।

এই আধুনিক, জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগেও কুসংস্কার বিশ্বাসী মানুষের অভাব নেই।
বিশ্বে ধার্মিকেরা কুসংস্কার বিশ্বাসে এগিয়ে আছে। এমনকি এদের চিন্তা ভাবনাও মধ্যযুগের মানুষদের মতো। ধার্মিকদের জীবনযাপনে কুসংস্কার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। ধার্মিকদের কারনে, সেই আদিকাল থেকেই লোকমুখে প্রচলিত মিথ্যা ধারণা, কিছু বানোয়াট গল্পের মিথ্যা রটনা আজও বিদ্যমান আছে। যা রুপকথা কেও হার মানায়। একসময় মৃত স্বামীর সাথে স্ত্রীকে একই চিতায় পুড়িয়ে মারা হতো। মূলত ধর্মীয় গোঁড়ামি, অজ্ঞতা ও অশিক্ষা থেকে সৃষ্টি হয় যাবতীয় কুসংস্কারের। যারা কুসংস্কার বিশ্বাস করে তারা পুরো জাতির জন্য ক্ষতিকর। ধর্ম এবং ধার্মিকেরা পরিবেশ দুষিত করে দেয়। সরকারের উচিৎ বিজ্ঞান শিক্ষার দিকে বেশি নজর দেওয়া। কুসংস্কার ও ধর্মের ভিত্তিতে লোক ঠকানো বন্ধ করতে হবে সরকারকে। কুসংস্কারের নিরুদ্ধে নতুন আইন তৈরি করতে হবে।

জীবনযাপনের জন্য মানুষের দরকার সঠিক শিক্ষা।
খেলোয়াড়, রাজনৈতিক নেতা, লেখক, ইমাম, ব্লগারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকদের মধ্যে কুসংস্কার রয়েছে। বার্ট্রান্ড রাসেলের মতে, কুসংস্কারের মূল উৎস হলো- ধর্ম। জ্যোতিষীরা ভবিষ্যৎ বানী করেছেন, নবীরাও ভবিষ্যৎ বানী করেছেন। জ্ঞানী মানুষের ভাবনায় থাকে, লজিক ও এনালাইটিকেল জ্ঞান। যা দিয়ে তারা বিশ্বকে সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেন। ধর্ম এবং কুসংস্কার দুই ভাই। ধর্ম যারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তারা কুসংস্কারের আধার। ধার্মিকেরা মূলত 'সিজোফ্রেনিয়া' রোগী। একথা সত্য যে, ধর্ম সৃষ্টির আগে থেকেই নানান কুসংস্কারের জন্ম হয়। যেমনঃ যারা ভাগ্যে বিশ্বাস করে, তারা মনে করে যা কিছু ঘটছে সবই পূর্ব নির্ধারিত। অজ্ঞতা ও অশিক্ষা থেকে সৃষ্টি হয় যাবতীয় কুসংস্কারের। এখন সমস্ত মাওলানাদের দায়িত্ব তারা প্রতিটা পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে মাহফিল করবে। এবং চিল্লাইয়া কথা বলবে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে। কাটা দিয়েই কাটা তুলতে হবে। যুগ যুগ ধরে হুজুরেরা সর্বনাশ করেছে। এখন তাদের দিয়েই সুফল আনতে হবে।

প্রতিটা ধর্মের বানী গুলোর সাথে কুসংস্কার মিশে আছে।
শয়তান, ভূত, পিশাচ এবং জ্বীন ধর্মীয় কুসংস্কার। বর্তমান যুগে ধর্মীয় বিশ্বাস অপ্রয়োজনীয়। অলৌকিকতা ধর্ম বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে। তাই সব ধর্মে অনেক অলৌকিক ঘটনা আছে। যেমন, মাছের পেটে ঢুকে যাওয়া, লাঠি সাপ হয়ে যাওয়া, অন্ধকে আলো ফিরিয়ে দেওয়া, চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করা, বোরাকে করে মহাকাশ ভ্রমন করা, অদৃশ্য হয়ে যাওয়া, মানুষের মাথা কেটে হাতির মাথা লাগিয়ে দেওয়া, ইত্যাদি। ঠাকুরমার ঝুলি এসেছে ধর্মীয় রুপকথা থেকে। ধর্ম ব্যবসায়ীরা সব যুগেই ভালো থাকে। ধর্ম মানুষকে আধুনিক হতে বাঁধা দেয়। তাই নানান রকম ভয় দেখায়। হাশরের ময়দানে বিচার হবে, দাজ্জাল আসিবে। সূর্য থাকবে মাথার এক হাত উপরে- মগজ গলে গলে পড়বে। আরো কত কি! এযুগের মানুষ ধর্মের ধারধারে না। তারা সমানে মন্দ কাজ করে যাচ্ছে। মন্দ কাজ করে নামাজ পড়তে যায়। আবার মন্দ কাজ করে নামাজে দাঁড়ায়। বড় অদ্ভুত এই ধার্মিকরা।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৬
১৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×