বিশ্বব্রহ্মাণ্ড হল রহস্য ও সম্ভাবনার বিশাল সাগর।
মানুষ অনেক রহস্য জেনে ফেলেছে। যা বাকি আছে, সেটাও মানুষের জানা হয়ে যাবে। মানুষের অক্লান্ত শ্রমে আজকের এই আধুনিক বিশ্ব তৈরি হয়েছে। কোনো নবী, রাসূল, ফেরেশতা, জ্বীন, যীশু, দেবতা বা দেবী এসে কোনো কিছু আবিস্কার করে দিয়ে যায়নি। তাদের রুপকথার কর্মকান্ড কিতাবেই সীমাবদ্ধ। আধুনিক পৃথিবীতে মানুষ ভালো আছে। গুহা থেকে বের হয়ে মানুষ তার পৃথিবীটাকে নিজের মনের মতো করে বানিয়ে নিয়েছে। কোনো প্রভু এসে আজকের আধুনিক পৃথিবী তৈরি করে দিয়ে যায়নি। অথচ বোকা মানুষেরা ইশ্বরের আরাধনা নিয়ে ব্যস্ত। কষ্ট করবে মানুষ, আর বাহবা নিবে ঈশ্বর।
আমরা যারা এ যুগে জন্মেছি তারা খুবই ভাগ্যবান।
ভাগ্যবান নানা কারনে। তার মধ্যে একটা বড় কারণ হলো এই যে, মানুষ এত হাজার হাজার বছর ধরে সভ্য হয়ে উঠেছে, এত কথা জেনেছ, এত রকম কলকব্জা আবিষ্কার করেছে তার সব আজ আমাদের হাতের কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। জীবন হয়ে গেছে সহজ এবং আনন্দময়। নবী রাসূল আউলিয়া, জ্বীন, ফেরেশতা শিব, রাম, যীশু, গৌতম বুদ্ধ সহ অনেকেই মোবাইল, ইন্টারনেট, টিভি, উড়োজাহাজ, ফ্রিজ, গাড়ি ইত্যাদির সুযোগ সুবিধা পাননি। তারা কেউ উন্নত চিকিৎসা পাননি। কোনো ধর্ম নয়, মানুষ বিশ্ব বিধানের অন্তগত এক মহা জীবনের অংশ, মনুষ্যত্ব ও ভালবাসার তাই কোনো ক্ষয় নেই, মনুষ্য ধর্ম ঠিক মতো বিকশিত হলে ধূলিময় পৃথিবীতেই স্বর্গরাজ্য আনা সম্ভব।
সভ্যতার সূচনাপর্ব থেকেই মানুষ জানতে চেয়েছে তার সৃষ্টির আদি রহস্য।
মানুষ সফল হয়েছে। মহাভারতের আদিপর্বের সৃষ্টিবর্ণন অংশের- সৃষ্টি তত্ত্ব থেকে যে ধারণা পাই তা কিছুটা আধুনিক বিজ্ঞানের সমার্থক বলেই বোধ হয় কি? আধুনিক বিজ্ঞান বলে- আদিতে বস্তুপুঞ্জ একত্রিত হয়ে একটি পিণ্ডের সৃষ্টি হয়েছিল। উক্ত পিণ্ডের বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে বর্তমান মহাবিশ্বের জন্ম হয়েছিল। বহুকাল আগেই ধর্ম অনুসারে মানুষের মধ্যে কতগুলো জাতের উদ্ভব ঘটেছে, মুসলমান, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি। রুপকথার গল্প তৈরিতে কেউ পিছিয়ে নেই। সব কিছুর একটা লজিক থাকে। ধর্মের কোনো লজিক নেই। আছে বিশ্বাস। অন্ধ বিশ্বাস। মূলত ধর্ম দিয়ে বিভক্ত হয়েছে মানুষ। তাতে মানুষের ক্ষতি হয়েছে বিস্তর।
ধর্ম নিয়ে আলোচনার কিছু নেই।
ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা মানে সময়ের অপচয় করা। আমি ধর্ম নিয়ে কোনো আলোচনায় যেতে চাই না। তবু কেন জানি অবধারিতভাবে ধর্ম এসেই যায়। যাইহোক, আসল কথায় আসি। রাজনীতির চক্রে আমাদের ভাগ করা হয়েছিল ধর্মের দোহাই দিয়ে। আরও পরে ভাষা আন্দোলন, শেষে মুক্তিযুদ্ধ হয়। হত্যা করা হয় অসংখ্য মানুষকে। হয় লুটপাট এবং ধর্ষন। অনেক কিছু ত্যাগের পর আমরা এই বাংলাদেশ পেলাম, শুরু হলো নতুন যাত্রা। নতুন অধ্যায়। নতুন দেশ পেলাম কিন্তু বিভেদ গেল না। শুরু হলো অন্য অশান্তি। অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে দেশটি টিকে আছে। এবং আশার কথা হচ্ছে- দেশটি ভালোর দিকে যাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০৯