সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি চারিদিকে কুয়াশা।
একটু পর মনে পড়লো, শীতকাল তো শেষ। তাহলে কুয়াশা হবে কেন? ভালো করে তাকিয়ে দেখি আকাশ ভরা মেঘ। এখন তো গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ভয়ের কিছু নেই। কবি বলেছেন, মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে। এক বললো, আজ আকাশের অবস্থা ভালো না। আজ বাইরে যাবো না। তখন তার বউ বলে, মেঘ দেখে ভয় পেও না। মেঘ কেটে যাবে। যাও, যাও অফিসে যাও। দেখা গেলো আর বৃষ্টি হয়নি। মেঘ কেটে গিয়ে রোদ উঠেছে।
সকাল সাত টায় লম্বা ট্রাফিক সিগনাল পড়ে।
বাসে দাড়িয়ে লোকজন গন্তব্যে যাচ্ছে। আমি এখন এক কাপ চা খাবো। তারপর দিন শুরু করবো। বাসা থেকে যখন বের হই সুরভি ঘুম, ফারাজা ঘুম। ফারাজা এগারোটার আগে ঘুম থেকে উঠবে না। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই বা কি করবে? বাসা থেকে চা খেয়ে বের হতে পারিনি। সুরভি ঘুম ঘুম চোখে বিছানা থেকে নেমে দরজা খুলল, আমি বের হলাম। সে দরজা লাগিয়ে দিলো। কোরআনে বলা হয়েছে ফযরের নামাজ পড়ে, ভোরবেলা কাজের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ো।
মানুষ যা ভাবে না, তাই হয়। তাই ঘটে।
খাবার খেতে গিয়ে আগুনে পুড়ে মরবে, কেউ কখনো ভেবেছে? হায়াত থাকতে মানুষ মরে যাচ্ছে। আমিও তো সেখানে থাকতে পারতাম। আগুনে পুড়ে মৃত্যু খুব কষ্টের। আমরা এক গজব শহরে বাস করি। যে কোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হতে পারে। এসব মৃত্যুর জন্য মূলত সরকার দায়ী। সরকার যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয় না। প্রতিটা সেক্টরে সরকারের গাফিলতি আছে। প্রতিদিন তদারকি করা প্রয়োজন। বছরে দুই একবার তদারকি করলে হবে না। সরকারী লোকজনের শরীরে তেল জমে গেছে।
দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। অথচ আমার নিশ্বাস নিতেই কষ্ট হয়।
রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক। চারিদিকে অসহায় ও দরিদ্র মানুষ। অসংখ্য বেকার। চারিদিকে অসংখ্য মানুষ হাত পেতে আছে। কেউ চিকিৎসার জন্য, কেউ মসজিদ বা মাদ্রাসার জন্য, কেউ অভাবের জন্য। কেউ স্বভাবের জন্য। আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। বেকারদের তুলনায় দেশের হুজুরেরা ভালো আছে। তারা কোনআন ও হাদীস মুখস্ত করে বেশ ভালো আছে। তাদের ইনকাম ভালো। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাচ্চাদের কায়দা, আমপাড়া আর কোরআন পড়িয়ে মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে। এছাড়াও তাদের আরো ইনকাম আছে।
বাংলাদেশের মানুষ গুলো মূলত ইতর শ্রেণীর।
লেখক ইতর, সাংবাদিক ইতর, ব্লগাররা ইতর, ব্যবসায়ী ইতর, চাকরিজীবী ইতর, বাসের হেল্পার- ড্রাইভার ইতর, রিকশা চালক ইতর, ট্রাফিক পুলিশ ইতর, ডাক্তার ইতর, দোকানদার ইতর, মন্ত্রী ইতর, এমপি ইতর, কাউন্সিলর ইতর, সরকারি চাকরীজিবী ইতর, সহকর্মীরা ইতর, ছাত্রলীগরা ইতর। হুজুরেরা ইতর। ইউটিউবাররা ইতর। ভিক্ষুকরাও ইতর। ইতরের দেশে বাস করছি আমরা। পুরো বাংলাদেশ জুড়ে ইতরের ছরাছড়ি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১৯