somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

পৃথিবীতে বুদ্ধ ধর্ম হচ্ছে প্রকৃত পক্ষে জ্ঞানীদের জন্য

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত, এ দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ।
কিন্তু কোনো ধর্ম সত্য, না মিথ্যা তা প্রমান করার জন্য আমাদেরকে সেই ধর্মের গ্রন্থগুলোর দিকে ফিরে যেতে হবে। যেহেতু সব ধর্মের মানুষই দাবী করে তাদের ধর্মগ্রন্থ তাদের ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে, কাজেই সেই ধর্মের গ্রন্থে সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই এমন কিছু দিয়ে দেবেন যার দ্বারা মানুষ বুঝতে পারবে যে ঐ ধর্মটা সন্দেহাতীত ভাবে সত্য। ধর্মীয় কিচ্ছা কাহিনীতে বহু গোজামিল বা উদ্ভটত্ব থাকলেও মানুষ সেটা থেকেই জীবনের মূল্য খুজতে চেষ্টা করে। যার ফলাফল শূন্য।

নাস্তিকতা শুধু যে একটি অযৌক্তিক ও অন্ধ-বিশ্বাস তা-ই নয়,
সেই সাথে সবচেয়ে অমানবিক ও বিপদজনক বিশ্বাস। কারণ নাস্তিকরা হিটলার ও স্ট্যালিনের মতো গণহত্যাকারি ও তাদের ভিকটিমদের ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে না। একথা সত্য বিজ্ঞানের প্রধান রহস্য গুলোর সমাধান হয়ে যাওয়ার পরেও মানবজীবনের কিছু প্রশ্ন অজানাই থেকে যাবে। ধর্ম যদি মানব প্রগতির বাধা হতো, তাহলে আজ বিজ্ঞানের এই অগ্রগতি হতো না। ধর্মীয় সংকীর্ণতা মানুষকে ছোট করে। ধর্মীয় রাজনীতি মানুষকে অসহিষ্ণু ও হিংস্র করে তোলে।

ধার্মিকেরা মনে করে- ধর্ম মানুষকে পুণ্যবান ও ধার্মিক করে।
উদার ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয় ধর্ম। ধর্ম পালন মানুষকে সত্যিকার মানুষে পরিণত করে। মানুষ ও মানবতার প্রকৃত শান্তি ও সার্বিক মুক্তি ধর্ম পালনের মাধ্যমেই অর্জিত হয়। বিদায় হজ্বের ভাষণে হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলে গেছেন ‘হে মানবমন্ডলী! সাবধান, তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। কেননা তোমাদের পূর্বের জাতি গুলো ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণেই ধ্বংস হয়ে গেছে'। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, সমুদ্র হোক বা সংসার, যে ধর্মের নৌকা প্রস্তুত করে সে ঠিকই পার হয়ে যায়।

আমি কে? জীবনের উদ্দেশ্য কি?
এই প্রশ্ন গুলি সবার মনেই থাকে। ঐতিহাসিক ভাবেই এই প্রশ্নের সন্ধানে লোকে গীতা, কোরান বা আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক দর্শনের মধ্যে এসবের উত্তর সন্ধান করে। ধর্ম মানুষের তৈরী সামাজিক ব্যবস্থা। আস্তিকতা হচ্ছে মনের বিকৃত অবস্থা। পৃথিবীতে প্রচলিত ধর্ম গুলোতে মানুষের যুক্তিবোধ ও বিবেক বোধ ছোটবেলা থেকেই নষ্ট করে দেয়া হয়। নাস্তিকতা মানুষের মনের স্বাভাবিক অবস্থা। আস্তিকতা হচ্ছে মনের বিকৃত অবস্থা। মানুষের অসহায়্ত্ব থেকেই ঈশ্বর ধারণার উৎপত্তি। আদিকালে আগুনকে মানুষ ভয় পেত কারণ তা নিয়ন্ত্রন করার সাধ্য মানুষের ছিল না। সে কারণে তখন আগুনকে পূজা করতো।

মানুষ যখনই জীবনের অর্থ খুজতে গীতা, বাইবেল-
অথবা কোরআনের মধ্যে ঢুকবে তখনই সে দিকভ্রান্ত হয়ে পড়বে। পড়তে বাধ্য আর তখনই তার ধর্ম পরিচয় আবার খুব চাগাড় দিয়ে উঠবে। মুক্তির জন্য মানুষকে নিজের'ই চেষ্টা করতে হবে। কোনো দৈব সাহায্য সে পাবে না। নো নেভার। প্রার্থনা একটা অন্তঃসার শূন্য ব্যাপার। উপাসনা নিরর্থক। 'ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেছেন' এই তত্ত্বটির মধ্যে রয়েছে ধর্মের সবচেয়ে বড় ফাঁকি। ধর্ম কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে না। ধর্মীয় ক্যাচাল কোনোদিন বন্ধ হবে না। যুগ যুগ ধরে নানান তর্ক বিতর্ক চলবেই।

ধর্ম এমন'ই এক অদ্ভুদ জিনিস-
যে হাজার মাইল দুরের ভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতির মানুষ একীভূত করলেও পাশের বাসার একই ভাষাভাষি, সংস্কৃতির মানুষকে এক করতে পারে না। সেই ধর্মই যখন মানবতার বানী শোনায়, তখন অবাকই হতে হয়। পৃথিবীতে প্রবর্তিত সব ধর্মের একটি অভিন্ন ও অবিচ্ছেদ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মানব কল্যাণ। মানুষ ও মানবতার অকল্যাণ কোনো ধর্মেরই লক্ষ্য বা মূলনীতি হতে পারে না। দুঃখের কথা হচ্ছে নারীকে সব ধর্মেই অবমাননা করা হয়েছে। তবুও নারী পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি ধর্মপরায়ণ।

মূলত পৃথিবীতে বুদ্ধ ধর্ম হচ্ছে প্রকৃত পক্ষে জ্ঞানীদের জন্য।
যাদের পূর্ণ জ্ঞান আছে তারাই বুঝতে পারবে বুদ্ধের অমৃত বাণী। পৃথিবী কিংবা পৃথিবীর বাইরে এমন কোন ব্যক্তি কিংবা মহাপুরুষ নাই যে বুদ্ধের বাণী গুলাকে মিথ্যা প্রমাণ করবে। সকল ধর্মেই কিন্তু মানবতার কথা বলে। যদি সব ধর্ম একসাথে বিবেচনা করেন তাহলে একটি মাত্র ধর্মের উদয় হবে এবং সেটিই হল মানব ধর্ম। মানব কুলে জন্মেছি বলেই আমরা মানব। ইতিহাস বলে এই পৃথিবীতে একমাত্র বুদ্ধ ধর্মেই বুদ্ধ তাঁর মৈত্রী প্রেমে সবাইকে আবদ্ধ করে জয় করেছিলেন রাজ সিংহাসন ত্যাগ করে তাও আবার বিনা যুদ্ধে। বুদ্ধ নিজে আঘাত সহ্য করেছেন কিন্তু কখনো অপরকে আঘাত করেন নাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০২
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×