বিএনপি আওয়ামীলীগ কেউ কারো চেয়ে উন্নত নয়।
এদের কর্মকাণ্ড একই রকম। এরাও দূর্নীতি করবে। এবং আওয়ামীলীগের চেয়ে বেশি করবে। গুম, খুন হত্যা এবং ক্ষমতার অপব্যবহার দুদলই করবে। ফালু মালু কালু এরা কেউই সৎ নয়। আরো নতুন নতুন ফালু মালু কালু তৈরি হবে। গত পনের বছর ধরে বিএনপি না খাওয়া। এবার ক্ষমতায় এসে পনের বছরের অভাব মিটিয়ে নেবে। পুষিয়ে নেবে। আচ্ছা আপনি কাকে ক্ষমতায় দেখতে চান? কোন সরকার এসে আপনার মনের ইচ্ছে গুলো পূরণ করবে? আছে কোনো এমন সরকার? সব রাজনৈতিক দল গুলোই আসলে একই রকম। মূদ্রার এপিঠ ওপিঠ। কাজেই গোলাম হোসেন উপায় নাই। তাই চুপ করে থাকো। পারলে বোবা হয়ে যাও। নইলে কপালে দুখ আছে।
কে ভালো? কোনো শালাই ভালো না।
যারা রাজনীতি করতে আসে, তারা মূলত ক্ষমতা এবং টাকার জন্যই রাজনীতি করে। দেশকে ভালোবেসে কেউ রাজনীতি করে না। ধৈর্য্য ধরুন, আর কিছুদিন পর বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। তারপর তারা তাদের খেল শুরু করবে। তখন এই সমস্ত সম্বয়কদের খুজে পাওয়া যাবে না। মাঝখান দিয়ে দেশের সাধারণ জনগণের, খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট হবে। সম্বনয়করা মূলত নির্বোধ। সম্বনয়কদের পরিচালনা কারা করছে? এদিকে জামায়াত শিবির তলে তলে নিজেদেরকে শক্তিশালী করছে। এবার তারা ক্ষমতায় আসার জন্য ভীষণ ভাবে মরিয়া হয়েছে। জামায়াত ৭১ সালে যেমন থাবা দিয়েছিল এবার তারা ক্ষমতায় আসার জন্য সেরকম থাবা দিবে।
বিএনপির অতীত ইতিহাস কি ভালো?
একটুও ভালো না। ছাত্রদলের অতীত ইতিহাস কি ভালো? একটুও ভালো না। আওয়ামী লীগ যেমন গত পনের বছর মুজিব মুজিব করেছে, বিএনপি করবে জিয়া জিয়া। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দেশে নতুন নতুন টিভি চ্যানেল আসবে। আসবে দৈনিক পত্রিকা। আর আওয়ামী লীগের লোকজনদের টিভি চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাবে। দৈনিক পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাবে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এরকমই হয়ে আসছে। হিংসার রাজনীতি। সবাই ক্ষমতায় যেতে চায় নিজের মনের খায়েশ মিটাতে। ইউনূস সাহেব সহ সব উপদেষ্টারা একবারও বলে নাই, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা দেশে ভাংচুর চালিয়েছে, আগুন দিয়েছে, দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে, তাদের গ্রেফতার করা হবে, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
শেখ হাসিনার আমলে জংগী মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে নাই।
কেউ গ্রেনেড হামলা করতে পারে নাই। বিএনপি আমল মানেই বাংলা ভাই সৃষ্টি। জংগীরা মাথাচারা দিয়ে উঠবে। বিএনপি বা আওয়ামী লীগ যেই ক্ষমতায় আসুক সাধারণ জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না। ফুটপাত দখল চলবেই, চাদাবাজী চলবেই, দূর্নীতি চলবেই। নোংরা কাজ গুলো বাংলাদেশে কোনোদিন বন্ধ হবে না। কেউ বন্ধ করবে না। শেখ হাসিনা অনেক বছর সময় পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি দূর্নীতি বন্ধ করতে পারেন নাই। সবার জন্য শিক্ষা ফ্রি করেন নাই। কৃষকদের পাশে দাড়ান নাই। তার দলের লোকজন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব করেছেন। মানুষের জমি জোর করে দখল নিয়েছেন। সামান্য ছাত্রলীগের পোলাপান পর্যন্ত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। শেখ হাসিনা তাদের থামান নাই। আগামীতে ছাত্রদলও একই কাজ করবে। এমনকি যদি জামাত ক্ষমতায় আসে তাহলে শিবিরও একই কাজ করবে।
শেখ হাসিনা রাজনীতি করেছেন তার বাবার খুনীদের বিচার করার জন্য।
সেটা তিনি করেছেন। এরপর তিনি রাজাকারদের বিচার করেছেন। এ পর্যন্ত ঠিকঠাক ছিলো। এরপর তার লোভ হয়ে গেলো ক্ষমতার প্রতি। নিজে পথ হারালেন। তার দলে জায়গা পেলেন অযোগ্যরা এবং অসৎ লোকেরা। তারা মুখে উন্নয়ন উন্নয়ন করে, আসলে দেশের বারোটা বাজিয়েছে। মূলত আওয়ামী লীগের লোকজন শুধু নিজের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এবার সময় বদলেছে, এবার রাজত্ব করবে বিএনপি। তারা দীর্ঘদিন ভূখা ছিলো। আওয়ামী লীগের আজ যারা কারাগারে। তারা জামিনে বের হবে। তারপর চলে যাবে লন্ডন, আমেরিকা আর কানাডা। সব নেতারাই উন্নত দেশে সেকেন্ড হোম প্রস্তুত রেখেছেন। যে দলই ক্ষমতায় আসুক, দেশে বেকার সমস্যার সমাধান হবে না। সরকারি হাসপাতাল থেকে দালান দূর হবে না। ফুটপাত দখল মুক্ত হবে না। চাদাবাজী বন্ধ হবে না। দূর্নীতি বন্ধ হবে না। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যেই ক্ষমতায় থাকুক দেশ পরিবর্তন হইবে না।
আওয়ামী লীগ যে ভুল গুলো করেছে,
বিএনপি সেই একই ভুল গুলো করবে। তারপর একসময় বিএনপির অবস্থা হবে আওয়ামী লীগের মতো। কারণ ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের দরকার জ্ঞানী সৎ ও নিরপেক্ষ মানুষ। নিরপেক্ষ দল। তারপরও আমি মনে করি, বিএনপি ক্ষমতায় আসুক। কারণ জামায়াত ইসলাম ক্ষমতায় এলে দেশ আফগান হবে। নারীদের তখন দুখ কষ্টের শেষ থাকবে না। জামায়াত ভয়ংকর। ছাত্রলীগের চেয়ে বেশি ভয়ংকর। দেশের দু:সময়ে বুদ্ধিজীবীদের কথা বলতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীরা দেশের দুসময়ে দালান হয়ে যায়। ধান্দাবাজ হয়ে যায়। আমাদের দেশে খাটি মানুষের বড় অভাব। বেশির ভাগই দালাল চাটুকার টাইপ। আমাদের দেশে ভালো কিছু হবে না। ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্যে দিয়ে পুরো জাতির কপাল পুড়ে গেছে।