somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

ভারত কি বাংলাদেশের বন্ধু?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অবশ্যই বাংলাদেশ ভারতের বন্ধু।
অনেক পুরোনো বন্ধু। ভালো বন্ধু। আগে তো বাংলাদেশ ভারত সব এক ছিলো। ৪৭ সাথে ইংরেজরা দেশ ভাগ করে দিলো। আমাদের কপাল পুড়লো। এখন ভারত যেতে আমাদের পাসপোর্ট লাগে! অবশ্য ভারত বাংলাদেশ আলাদা হয়েছে ধর্মের কারণে। ধর্ম একটা কুৎসিত বিষয়। ধর্ম মানুষের কোনো উপকার করে না। শুধু ক্যাচাল তৈরি করে। ধর্ম আবিস্কারের পর থেকেই ঝগড়া ফ্যাসাদ লেগেই আছে। ধর্মের কারণে দাংগা হাংগামা তো কম হয় নাই। বিশ্ব এগিয়ে গেছে, তবুও ধর্ম মানুষের ক্ষতি করে যাচ্ছে। যাইহোক, ভারত একটা মানবিক দেশ। পাকিস্তানের সাথে আমাদের সম্পর্ক না রাখলেও চলবে। কিন্তু ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক না রাখলে আমাদের ক্ষতি। শেখ হাসিনা আজ ক্ষমতায় নেই বলে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক ঠিকঠাক হয়ে যাবে।

এই কয়েক বছর আগের কথা।
শেখ হাসিনা মুজিব বর্ষ ঘোষণা করলেন। হাসিনা দেশ বিদেশের অনেক নামী দামী মানুষকে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিলেন। তখন সারা বিশ্বে করোনা মহামারী চলছিলো। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় এলেন। শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করলেন। আমাদের দেশের যে কোনো বিপদে আপদে সবার আগে এগিয়ে আসে ভারত। ১৯৭১ সাথে ভারত আমাদের সাহায্য না করলে আমাদের খবর ছিলো। ভারতের জন্যই আমরা নয় মাসে স্বাধীনতা লাভ করি। এই কারণে আজ পাকিস্তান ভারতের উপর রেগে আছে। যুদ্ধের দিন গুলোতে ভারত আমাদের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দেয়। এই এক কোটি মানুষের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে। কলকাতার সমস্ত সরকারি চাকরিজীবিরা তাদের একদিনের বেতনের টাকা শরনার্থীদের দেয়। সেই সব ইতিহাস আমরা ভুলে যাইনি। আসাম, উড়িষ্যা, পশ্চিম বঙ্গ আর আমরা আলাদা নই। দুই বাংলার মানুষ মিলেমিশে একাকার। বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় ভারত পর্যবেক্ষক পাঠায়। ৭১ ও ভারত সবার আগে আমাদের সীকৃতি দেয়।

ইন্দিরা গান্ধী আমাদের সবচেয়ে বড় বান্ধব।
৭১ এ তিনি আমাদের সব রকম সহায়তা করেন। বিশ্বের দরবারে গিয়ে তিনি আমাদের সাথে যে অন্যায় হয়েছে সেটা তুলে ধরেন। শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগারে আটক। দেশবাসী জানে না শেখ মুজিব বেচে আছেন না তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাজউদ্দীন আহমেদ ইন্দিরা গান্ধীকে সাথে নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখিয়েছেন বর্ডারে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থা। অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন ইন্দিরা গান্ধী। ট্রেনিং দিয়েছেন। খাবার দিয়েছেন। ভারত আমাদের কোনো ক্ষতি করে নাই। আমরাও ভারতের কোনো ক্ষতি করি নাই। আমরা ভারতকে ছায়া দেই, মায়া দেই, ভালোবাসা দেই। বিনিময়ে আমরাও সব রকম সুবিধা পাই। ভারত নিয়ে দু চারটি ভালো কথা বললেই, আমাদের দেশের এক শ্রেণীর মানুষ দালাল বলে। ভারতের সাথে সম্পর্ক অবনতির জন্য বিএনপি আর জামায়াত দায়ী। সেই সাথে কোমলমতিরাও দায়ী। অনেকে বলছেন, হাসিনা ভারতে বসে গুটি চালছেন। ইহা ভুল। তসলিমা নাসরিনকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনাকেও দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। হাসিনা এবং তসলিমা নাসরিন কিন্তু পালিয়ে যাননি।

আমাদের দেশে অল্প কিছু লোক ভারত বিরোধী।
এরা মূলত জামায়াত। কিছু আছে বিএনপির। আজ শেখ হাসিনা নেই বলে বিএনপি জামায়াত ভারতের সাথে খারাপ আচরণ করছে। হাসিনা থাকলে আজ এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। ভারত অবুঝ না। তারা আমাদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করবে না। আমরাও ভারতকে ছাড়বো না। আমরা চিকিৎসার জন্য ভারত যাই, লেখাপড়া করতে ভারত যাই, শপিং করতে ভারত যাই, ভ্রমণ করতে ভারত যাই। তাহলে কোন মুখে আমরা ভারতের নিন্দা করি? যারা ভারতের নিন্দা করে, তারা হারামী। আর যারা পাকিস্তান কে সাপোর্ট করে তারা বড় হারামী। দেশ ভাগের আগে বাংলাদেশের মানুষ কলকাতা, আসাম যেতো ব্যবসা করতে। কলকাতার বৈঠকখানা রোডে এখনও আমার দাদার একটা দোতলা বাড়ি আছে। এরকম বহু লোকের বাড়ি আছে কলকাতায়। আবার কলকাতার বহু মানুষের ঘরবাড়ি রয়েছে বাংলাদেশে। বাপ দাদার ভিটাকে অস্বীকার করা যায় না। দুই বাংলার মানুষ তো আলাদা নয়। আমাদের ভাষা এক। কলকাতা আর ঢাকার মধ্যে কোনো প্রার্থক্য নেই। ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট দোকানপাট, খাবারদাবার, মানুষ সব এক। ঢাকা থেকে কলকাতা গেলে মনে হয় না অন্য কোথাও গিয়েছি। নিজের দেশ বলেই মনে হয়। ভারত ভালো থাকুক। তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক অটুট থাকুক।

কিছু লোক ভারতকে নিয়ে উপহাস করেছে, কটু কথা বলেছে।
হয়তো ভারতের পতাকাকে অসম্মান করেছে। ভারতীয় শাড়ি পুড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সব লোক ভারতের বিপক্ষে নয়। গুটিকয়েক লোকের জন্য আশাকরি ভারতীয়রা বাংলাদেশকে ভুল বুঝবে না। এদিকে কলকাতার অনেক লোক বাংলাদেশকে গালমন্দ করেছে, নিন্দে করেছে, অতিমাত্রায় বাংলাদেশ কে হেয় করে কথা বলেছে, ইহা দুখজনক। ভারতকে আমরা সব সময় বন্ধু মনে করি। যে বন্ধু বিপদে আপদে আমাদের পাশে থাকবে। এখনও ভারতে যাওয়ার জন্য ভারত দূতাবাসে লম্বা লাইন হচ্ছে। পশ্চিম বঙ্গের এক নেতা বলেছেন, আমাদের ভারত যাওয়া বন্ধ। ভিসা দেবেন না। চিকিৎসার জন্যও যাওয়া যাবে না। ইহা দুখজনক। এরকম ছেলেমানুষী আচরণ একজন নিষ্ঠাবান মানুষ করতে পারেন না। নো নেভার। এদিকে কলকাতার হোটেল গুলো খালি, নিউমার্কেটে বেচাকেনা কম হচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ীর মাথায় হাত। এই সমস্যার সমাধান না হলে আমাদেরও সমস্যা, ভারতেরও সমস্যা। আর এই বিষয়কে মাথায় রেখে পাকিস্তান লাফাচ্ছে। তারা আমাদের কে ভাই বলছে। আরো বলছে আমাদের তারা সব রকম সুযোগ সুবিধা দিবে। প্রয়োজনে আমাদের হয়ে ভারতের সাথে যুদ্ধ করবে। পাকিস্তানের মনে রাখা উচিৎ ৭১ সালের কথা আমরা ভুলি নাই। তোমাদের ক্ষমা নাই।



সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:১৫
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুহূর্ত কথাঃ সময়

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



সামুতে সবসময় দেখেছি, কেমন জানি ভালো ব্লগাররা ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়! যারা নিয়মিত লেখে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রচণ্ড নেগেটিভ স্বভাবের মানুষ। অন্যকে ক্রমাগত খোঁচাচ্ছে, গারবেজ গারবেজ বলে মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×