
যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন আমরা ভারতবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।
ভারতের মানুষের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। আমরা বাংলাদেশি তোমরা ভারতীয়। আমরা মিলেমিশে থাকতে চাই। ভারতের বাংলাদেশের সাথে সাংস্কৃতিক, সামাজিক, এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। হ্যা জানি, ভারতের সাথে আমাদের কয়েকটা বিষয় নিয়ে সমস্যা আছে দীর্ঘদিন ধরে। যেমন- ফারাক্কা বাঁধ, তিনবিঘা করিডোর, শিলিগুড়ি করিডোর এবং তিস্তা চুক্তি। অন্যদিকে ভারতের সাথে আমাদের ৭ শ' কোটি টাকার বানিজ্য হয়। বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং জামাত শিবির চায় না ভারত আর বাংলাদেশের সুন্দর সম্পর্ক থাকুক। হাসিনা থাকতে ভারতের সাথে আমাদের সুন্দর সম্পর্ক ছিলো। আমরা ভারতে যেতাম। ইউনুস সাহেব এসে ভারতের সাথে গ্যাঞ্জাম লাগিয়ে দিয়েছেন। এখন অসুস্থ মানুষেরা চিকিৎসার জন্য ভারত যেতে পারছে না।
ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
ভারতের প্রাচীন নাম ছিল জম্বুদ্বীপ। 'জম্বু'র আক্ষরিক অর্থ জাম। উনবিংশ শতাব্দীতে বিট্রিশরা ভারত দখল করে ফেলে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিট্রিশদের কাছ থেকে মুক্ত হয়। যাইহোক, ভারতের আয়তন ৩২,৮৭,২৬৩ বর্গকিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে ভারতের অবস্থান সপ্তম। এবং জনসংখ্যা ১৪৫ কোটি ৮২ লাখ ৬৮ হাজার ৯১০। চীনকে হারিয়ে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হয়েছে। যিশুর প্রায় দশ লক্ষ বছর আগে ভারতে মানব সভ্যতার উত্পত্তি হয়। পাকিস্তানের চেয়ে ভারত ভালো। পাকিস্তান আজও আমাদের ক্ষতি চায়। ভারতের জন্যই পাকিস্তান আমাদের উপর হামলা চালাতে পারে না। ভারতের তুলনায় আমাদের দেশ অনেক ছোট। তবু ভারত আমাদের সমীহ করে। ভালোবাসে। শেখ হাসিনা না থাকাতে জামাত শিবির আর বিএনপি প্যাচ লাগিয়ে দিয়েছে।
ভারতে শিক্ষার মান উন্নত।
বিশ্বের সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং অতিথিপরায়ণ লোক রয়েছে ভারতে। অর্থনীতির দিক থেকে বিবেচনা করলে বর্তমানে ভারতের স্থান পঞ্চম। ভারতের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে অনেক এগিয়ে গেছে। তারা আজ বিশ্বের বড় বড় শহরে কর্পোরেট অফিস গুলোতে দাপটের সাথে কাজ করছে। বাংলাদেশ কখনোই ভারতের সঙ্গে বৈরিতা চায় না। কিন্তু ভারত আর বাংলাদেশের কতিপয় ক্রিমিনাল দুই দেশের মধ্যে গন্ডগোল লাগিয়ে দিতে চায়। শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতকে আমাদের খুব প্রয়োজন। আমরা জানি, বাংলাদেশ ভারতে বর্ডারে ঝামেলা হচ্ছে। সেটা আলোচনা করে সমাধান সম্ভব। কতিপয় লোক অযথাই ক্যাচাল করে দুই দেশের মধ্যে সমস্যা তৈরি করছে। এদের গ্রেফতার করা দরকার। তাতে দুই দেশের জন্য ভালো হবে।
বিশ্বের যে কোনো দেশের বিপদে আপদে সব সময় ভারত এগিয়ে যায়।
এই তো কিছুদিন আগে ভারত ফিলিস্তিনে সাহায্য পাঠিয়েছে। ৩০ টন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে। ভারত আমাদের জন্য যা করেছে, সেটা আমরা ভুলে যাইনি। ১৯৭১ ভারতের মানুষ কম খেয়ে শরণার্থীদের খাইয়েছে। ভারত আমাদের সহযোগিতা না করলে আমাদের খবর ছিলো। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকেরা ভারতের অবদান কখনও ভুলব না। নো নেভার। জামাত শিবির ইদানিং অযথাই লাফাচ্ছে। এরা আগামী এক বছরের মধ্যে শান্ত হয়ে যাবে। অর্থ্যাত আগের মতো গর্তে লুকাবে। আসলে হাসিনা আজ দেশে নেই বলে- এই সমস্ত ক্রিমিনাল গুলো উজাইছে। গত ১৬ বছর শেখের বেটি এদের ফটর ফটর করতে দেয়নি। অনেকদিন পর তারা সুযোগ পেয়েছে। তাই তেরিং বেরিং করে চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলছে।
যে যেখানে আছেন ভালো থাকুন।
সবাই সবাইকে ভালোবাসুন, শ্রদ্ধা করুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



