এনসিপি আওয়ামীলীগকে এত ভয় পাচ্ছে কেন?
অলরেডি আওয়ামীলীগের তো কোমর ভেঙ্গে গেছে। তবু রাতদুপুরে এত আন্দোলন কেন? দেশে ১৮/২০ কোটি মানুষ। তারা তো আওয়ামীগকে ভয় পাচ্ছে না। তাহলে এনসিপির এত ভয় পাওয়ার কারণ কি? দেশে তো এখন আওয়ামীলীগের মন্ত্রী, এমপি, ছাত্রলীগ- কেউ নেই। এনসিপির সমস্যাটা আসলে কোথায়? আওয়ামীলীগ থাকবে, কি থাকবে না, সেটা ঠিক করবে দেশের জনগন। এনসিপি আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করতে এত মরিয়া কেন? ধরে নিলাম, ইউনুস সাহেব ঘোষনা করলেন, আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ। তাহলেই কি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে? জনগন মেনে নিবে? এনসিপি মামা বাড়ির আবদার করে যাচ্ছে। এদের ধরে শক্ত মার দেওয়া দরকার। মূলত গুটি চালছে জামাত শিবির। অস্থায়ী এবং অপ্রত্যাশিত ভাবে ক্ষমতা পাওয়া উপদেষ্টারা কি কিছুই বুঝতে পারছেন না?
আজ মারাত্মক গরম পড়েছে।
রোদের তাপে হাত পা যেন পুড়ে যাচ্ছে। চারপাশ থেকে যেন আগুনের গোল্লা এসে গায়ে পড়ছে। এত গরম পড়ার কারন কি? এই গরমের মধ্যে এনসিপি চিৎকার করছে। অনেক লোক জমায়েত হয়েছে। গরমে যেন ওদের কষ্ট না হয়- এজন্য সিটি করপোরেশন থেকে ঠান্ডা পানি ছিটানো হচ্ছে। এদিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ গতকাল রাতে থাইল্যান্ড চলে গেছে। এই নিয়েও ক্যাচাল হচ্ছে। উনি নিজের ইচ্ছায় থাইল্যান্ড যাননি। ইউনুস সাহেব চেয়েছেন বলেই- হামিদ সাহেব থাইল্যান্ড যেতে পেরেছেন। এখন, হাউকাউ করার কি আছে? একটা ইস্যু পেলে লোকজন কচলিয়ে কচলিয়ে তিতা বানিয়ে ফেলে। সবচেয়ে বড় কথা আব্দুল হামিদ সাহেবের নামে দূর্নীতির অভিযোগ নেই। আওয়ামীলীগের সবাই যে খারাপ, তা তো না। হামিদ সাহেব রসিক মানুষ।
আইভি আপা। নারায়নগঞ্জের আইভি আপা।
আমি তার অফিসে অনেকবার গিয়েছি। যতবার তার সাথে দেখা হয়েছে, উনি যথেষ্ট খাতির যত্ন করেছেন। উনার নামেও কোনো দূর্নীতির অভিযোগ নেই। স্বচ্ছ রাজনীতি তার। উনি সব সময় নারায়নঞ্জের ভালো চেয়েছেন। অথচ গতকাল রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ উনাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে বিরাট বিপদে পড়ে। জনতা পুলিশোকে অবরুদ্ধ করে ফেলে। পুলিশকে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। মানবিক মানুষ আইভি আপা। তাকে গ্রেফতার করতে যাওয়া পুলিশদের উনি চা নাস্তা খেতে দিয়েছেন। আইভি আপা কোনো খুন- টুন করেন নাই। দূর্নীতিও করেন নাই। অথযাই গ্রেফতার করা হলো। এতে অবশ্যই ইউনুস সরকারের বদনাম হলো। ইউনুস সাহেব একের পর এক ভুল করে যাচ্ছেন। উনি নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনছেন।
এখন দেশের মানুষ ইউনুস সাহেবের উপর যথেষ্ঠ বিরক্ত।
কেউ তাকে এখন দেখতে পারে না। প্রথম প্রথম লোকজন উনার উপর আস্থা রেখেছিলেন। এখন দেশের মানুষ তাকে গালি দিচ্ছে। তার উপর আর কোনো আস্থা ভরসা নেই। একজন রিকশাচালক পর্যন্ত বলছে, ইউনুস লোক ভালো না। সে দেশের জন্য ক্ষতিকর। দেশের সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ দেশের পরিস্থিতি নিয়ে যেসব কথা বলেন, সেটাই আসল কথা, সেটাই খাটি কথা। কারাগারে অসংখ্য সাধারন মানুষ বিনা বিচারে সাজা খাটছে। তারা জামিন পাচ্ছে না। তাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তারা নাকি জুলাই আন্দোলনে আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করেছে। আসলে এসব মানুষ রাজনীতি বুঝে না, কোনো প্রকার আন্দোলনে ছিলো না। কিন্তু সাজা খাটছে। এজন্য দায়ী ইউনুস সাহেব। উনি মানুষের অভিশাপ কুড়াচ্ছেন।
ইউনুস সাহেব হাসিনা, খালেদার চেয়ে উন্নত নয়।
তার দেশ পরিচালনা আওয়ামীলীগ বিএনপির মতোই। বরং এদের চেয়ে খারাপ। গত ৯ মাসে ইউনুস সাহেব ভালো কিছু করে দেখাতে পারেন নাই। উনার কাজ যেন আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা আর বর্হি বিশ্বে কাদতে কাঁদতে আওয়ামীলীগের বদনাম করা। আওয়ামীলীগের উপর ইউনুস সাহেবের অনেক রাগ ক্ষোভ ছিলো। পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে- উনি আওয়ামীলীগের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন। অথচ দেশের মানুষ উনাকে নিরপেক্ষ মনে করেছিলেন। ভেবেছিলেন- সব কিছু ছাড়িয়ে উনি দেশকে এগিয়ে নেবেন। কিন্তু ভুল। উনি উনার মিশন পুরো করতে যেনে প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন। উনি উনার খায়েশ মিটিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যাবেন। মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ। দূর্নীতি এবং চাঁদাবাজি আগের চেয়ে তিন গুন বেড়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩