
কেন জানি মন মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে।
কিছুই ভালো লাগছে না। ইচ্ছা করছে ঘোড়ায় চড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি। হাতে থাকবে চাবুক। যেখানে অন্যায় দেখবো লাগাবো দুই ঘা চাবুক। সমস্ত অন্যায়কারীকে চাবুক মারা হবে। যারা রাস্তা আটকে নামাজ পড়বে তাদেরও দুই করে চাবুক খেতে হবে। মসজিদ রেখে রাস্তায় নামাজ পড়া মানে ফাজলামো করা। ফাজিলদের অবশ্যই চাবুক খেতে হবে। লেখা আছে, বেসিনে পা তুলে ওজু করবেন না। তবু ধার্মিকেরা বেসিনের উপর পা তুলে ওজু করে। ওদেরও দুই ঘা চাবুক খেতে হবে। যারা রাস্তা আটকে মিছিল মিছিল সমাবেশ করবে তাদেরও চাবুক খেতে হবে। কোনো ছাড় হবে না। চাবুক ছাড়া এই প্রজন্মকে লাইনে আনা যাবে না।
আমাদের প্রানপ্রিয় নবীজির জন্মের অনেক আগে গ্রীসে এক রাজা ছিলেন।
রাজার নাম ফুনফুন। সেই রাজা প্রায়ই তার প্রিয় ঘোড়া নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে যেতেন। তার হাতে থাকতো চাবুক। রাজা ফুনফুন যেখানে অন্যায় দেখতেন, সেখানেই চাবুক ছুড়ে মারতেন। তার অঞ্চলের মানুষ চাবুকের মার খাওয়ার ভয়ে সবাই ভদ্র হয়ে গেলো। ভালো হয়ে গেলো। রাস্তায় থুথু পর্যন্ত কেউ ফেলে না। কেউ কারো সাথে ঝগড়া করে না। চাবুকের ভয়ে তার অঞ্চলের সমস্ত মানুষ ভালো হয়ে যায়। পাশের দেশের রাজা ফুনফুনের সাথে দেখা করতে আসেন। এবং তর্কে জড়িয়ে যান। ভুল তর্কের কারণে রাজা ফুনফুন তাকেও দুই ঘা চাবুক মেরে বসেন। চাবুকের বাড়ি থেকে মেহমানও ছাড় পায়নি।
আমি হাত পা নিয়ে চুপচাপ বসে আছি।
জামাত শিবিরকে দুই ঘা করে চাবুক মারতে পারছি না। আগে একজন একবার চাঁদা নিতো। এখন একদিনে তিনজন চাঁদা নিচ্ছে। কেউ কেউ চাঁদার ভয়ে দোকান বন্ধ রাখছে। চাঁদাবাজদের আমি চাবুক মারতে পারছি না। সরকারি অফিসে আগের চেয়ে তিন গুন বেশি ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। আমি চাঁদাবাজদের চাবুক মারতে পারছি না। আমার হাত নিশপিশ করছে। কেউ আমার সাথে বেঈমানি করলে আমি ক্ষমা করে দিবো। কিন্তু দেশের সাথে বেঈমানি করলে কোনো ক্ষমা নেই। এই প্রজন্ম হলো- গাধা ও নির্বোধ প্রজন্ম। এরা অথযাই লাফালাফি করে। কত বড় আহাম্মক মুক্তিযুদ্ধকে তুলনা করে জুলাই আন্দোলনের সাথে। এদের চাবুক না মারাটাই অন্যায় হবে।
ভয়াবহ গরম পড়েছে। রেকর্ড পরিমান গরম।
গরমে আমার কোনো কষ্ট করতে হচ্ছে না। আমি সারাদিন এসির মধ্যেই থাকি। বরং আমাকে রাতে কাঁথা গায়ে দিতে হয়। আমি চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বাইরের গরম দেখি মধ্য দুপুরবেলা। রাতে ঠান্ডায় হাত পা জমে যায়। প্রতি বছর হুহু করে দেশে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। যারা গরমে কষ্ট করছেন, তাদের জন্য আমার ভীষন মায়া হয়। এবং আমার অপরাধ বোধ হয়। আমি ঠান্ডায় বসে আছি। আর কত মানুষ গরমে ঘামছে। আহারে! হাসনাত সারজিস পর্যন্ত গরমের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিয়ে চিৎকার চ্যাঁচামেচি করছে। রাজা ফুনফুন বেঁচে থাকলে এই দুই ছাগলকে অবশ্যই চাবুক দিয়ে মারতো।
ফারাজার নানা হাসপাতালে ভরতি।
সকাল থেকেই সুরভি আর ফারাজা হাসপাতালে। হাসপাতাল আমার খুবই অপছন্দের জায়গা। যদিও এখন ঢাকায় কিছু হাসপাতাল ফাইফ স্টার হোটেলের মতোন। আমি বিকেলে হাসপাতালে গেলাম। না গেলে খারাপ দেখা যায়। আমাকে দেখে ফারাজা ভীষন খুশি। বলল, বাবা এই হাসপাতালে একটা খাবারের দোকান আছে। সেখানে আমি যেতে চাই। বললা, চলো। মেয়েকে বললাম, তোমার যেটা ভালো লাগে অর্ডার দাও। আমি বসি। পুরো ক্যাফেটেরিয়া ভিড়। বসার জায়গা পর্যন্ত নেই। একটা হাসপাতালের খাবারের দোকানে এত ভিড় থাকবে কেন? এত লোক হাসপাতালে খেতে এসেছে। আজিব! তাছাড়া খাবারের দাম অনেক বেশি।
যাইহোক, আমার ভাগ্য ভালো। যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম- সেই টেবিল খালি হলো।
টেবিল পরিস্কার করার আগেই আমি বসে পড়লাম। একটু পর ফারাজা এলো। সে একগাদা খাবারের অর্ডার দিয়েছে। বার্গার, পিজা, ফ্রাইড রাইস, আপেল জুস, চিকেন ফ্রাই। মেয়েকে বললাম, এত খাবার খেতে পারবে? মেয়ে বলল, বাবা না খেতে পারলে বাসায় নিয়ে যাবো। মা খাবে। আমি বললাম, ফারাজা আমার জন্য কিছু অর্ডার করলে না? মেয়ে বলল, তোমার খাবার তুমি পছন্দ করে নাও। আমার মন মেজাজ ভালো নেই। আমি কিচ্ছু খাবো না। হারামজাদারা আন্দোলনের নামে রাস্তা আটকে রেখেছে। এদের সকাল সন্ধ্যা দুইবেলা জুটা পিটা করা উচিৎ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






