somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজকের ডায়েরী- ১৫৪

২০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমাদের বাসার বুয়া কাচ্চি বিরানী খুব পছন্দ করে।
সে বলেই রেখেছে, যেদিন বাসায় কাচ্চি রান্না করা হবে তাকে যেন স্পেশাল ভাবে দাওয়াত দেওয়া হয়। সুরভি তাকে দাওয়াত দেয়। সে তার ছেলেমেয়ে নিয়ে সুন্দর জামা কাপড় পড়ে কাচ্চি খেতে আসে। কাচ্চি টাচ্চি আমার পছন্দ না। আসলে কোনো খাবার-দাবারই আমার পছন্দ না। আজকাল আমার কোনো খাবারই ভালো লাগে না। তবু বেঁচে থাকার জন্য খেতে হয়। আজকাল আমার পছন্দ সাদা ভাত। ঝরঝরা সাদা ভাত। সাথে লাল শাক ভাজি। ব্যস। তাতেই আমি খুশি। আমাদের বাসায় সাতজন বাচ্চাকাচ্চা আছে। তারা শুধু পোলাও পোলাও করে। এজন্য বাসায় প্রতি সপ্তাহে ২/৩ বার পোলাও রান্না করা হয়। কিন্তু পোলাও টোলাও আমার পছন্দ না। সুরভি এই বিষয়টা বুঝেই না। আমি সাদা ভাতের কথা বললেই, সে বলে পোলাও খেতে হবে।

ছোটবেলা আমার পোলাও খুব পছন্দ ছিলো।
কিন্তু এখন সাদা ভাত পছন্দ। বাসার মানুষ বুঝে না। আমার কথা বুঝে না। গতকাল দুপুরে খেতে বসে দেখি পোলাও, মূরগী আর গরুর মাংস। সামান্য পোলাও প্লেটে নিয়ে নাড়াচাড়া করছি। সুরভিকে বললাম, রাতে আমাকে ভাত দিও। ব্যস কথা শেষ। রাতে খেতে গিয়ে দেখি আমাকে পোলাও দিয়েছে। বললাম, আমাকে ভাত দাও। সুরভি বলল, আমি জানি তুমি পোলাও পছন্দ করো। মায়ের কাছে শুনেছি। সুরভি আমাকে বুঝলো না! আফসোস। এখন আমি বিয়ে বাড়ি গেলেও ভাত খুঁজি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের রুচি বদলে যায়। ত্রিশ বছর থেকেই সুস্থ থাকার জন্য খাবার বুঝেসুঝে খাওয়া উচিৎ।

দারুন সব খাবার আমি জীবনে খাইনি।
কোনোদিন খাবোও না। যে খাবার আমি ছোটবেলা খাইনি, সে খাবার আমি বড় বেলাতেও খাবো না। যেমন বোরহানী। আমার জীবনে আমি কোনোদিন বোরহানী খাইনি। অথচ বিয়ে বাড়িতে গেলেই মানুষ আগে দুই গ্লাস বোরহানি খেয়ে নেয়। পিজা আমি খাইনি। একটুও ভালো লাগে না। অথচ আমার ছোট মেয়ে ফারাজা পাগলের মতো পিজা খায়। চায়নিজ ভেজিটেবল আমি জীবনেও খাইনি। অথচ সবাই সবজি খুব পছন্দ করে। এটা খাই না, ওটা খাই না। এই অভ্যাস ভালো নয়। এজন্য বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই সব ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হয়। আমার কন্যা ফারাজা সব খাবার খায়। ছোটবেলা আমার প্রিয় খাবার ছিলো গুড়ো দুধ। একটা প্লেটে ভাত নিতাম। দশ চামচ গুড়ো দুধ। পাচ চামচ চিনি। এই খাবারটা আমার আজও ভীষন প্রিয়।

আসলে আজ আমার আলসেমি পেয়েছে।
কিচ্ছু ভালো লাগছে না। তাই হাবিজাবি লিখছি। ক্ষমাপ্রার্থী। আমার ইচ্ছা করতেছে ঘুমিয়ে থাকতে। কেউ ডিস্টার্ব করবে না। কেউ বিরক্ত করবে এবং কেউ শব্দ করবে না। আমি ঘর অন্ধকার করে ঘুমাবো। কেউ আমাকে ঘুম থেকে ডাকতে পারবে না। ঘুম যখন ভাঙবে তখন ঘুম থেকে উঠবো। কেউ বিরক্ত না করলে একটানা সাত ঘন্টা ঘুমাবো নিশ্চিত। ঘুম থেকে উঠে সবাইকে ধন্যবাদ জানাবো। কারন কেউ বিরক্ত করেনি বলেই একটানা লম্বা সময় ধরে ঘুমাতে পেরেছি। মেয়েকে আইসক্রিম কিনে দিবো। কারন, আমি ঘুমালেই মেয়ে ঘুম থেকে ডেকে তুলে জিজ্ঞেস করবে, আমি ঘুমিয়েছি কিনা! কোনো এক বিচিত্র কারণে ফারাজা চায় না আমি ঘুমাই।

আমি ঘুমের মধ্যে এরকম একটা স্বপ্ন দেখতে চাই-
শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছেন। চারিদিকে আনন্দের বাধ ভেঙ্গেছে। সম্বনয়ক, বৈষম্যবিরোধী যে যেখানে পারছে পালাচ্ছে। এনসিপি'র হাসনাত, নাহিদ আর সারজিসকে প্রেসক্লাবের সামনে ন্যাংটা করে পিটাচ্ছে জননতা। জামাত শিবির পালাচ্ছে। জামাতের আমির পাকিস্তান পালিয়েছে। ইউনুস পালিয়ে গেছেন আমেরিকা। সমস্ত উপদেষ্টারা পালিয়েছে। পালাতে গিয়ে আসিফ নজরুল আর ফারুকী ধরা খেয়েছে জনতার হাতে। যারা জুলাইতে ভুল আন্দোলন করেছিলো, থানায় আগুন দিয়েছিলো, শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভেঙ্গেছিলো এবং যারা ৩২ নম্বর গুড়িয়ে দিয়েছে তারা পুরো জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছে। বিএনপি আওয়ামীলীগকে স্বাগত জানাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×