somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

বিনোদনের মোহে আমরা কি আমাদের সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছি?

৩০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমাদের সংস্কৃতিই আমাদের পরিচয়।
আমরা বাঙালি। বর্তমানে আমরা আমাদের সংস্কৃতি ভুলে গেছি। বিদেশি সংস্কৃতি নিয়ে আমরা লাফাচ্ছি। বর্তমান প্রজন্ম বড় বেশি নোংরামি করে বেড়াচ্ছে। ওদের কেউ থামাচ্ছে না। ভুল বিনোদনের মধ্যে ডুবে আছে জাতি। নির্লজ্জ প্রজন্ম। এদের আমার সকাল বিকাল দুইবেলা থাপড়াতে ইচ্ছা করে। এদের নিজেদের কোনো গুন নেই। নকল নাচ গান করে সেটাও ভালো ভাবে পারে না। এই প্রজন্ম ফেসবুক, টিকটক আর ইউটিউবকে বেছে নিয়েছে নোংরামি করার জন্য। কতিপয় সমাজের আগাছা- লায়লা, শিরিন, রবিন, শুভ্র, পুতুলপরী, নয়ন-মনি, প্রিন্স মামুন, টুইংকেল, প্রনমি, মোজাহেরভাই সহ ইত্যাদি নামের নির্লজ্জ বদ ভন্ড মূর্খ নারী পুরুষ। এদের পরিবারর গার্জিয়ানরাও চুপ। যেন তাদের ছেলেমেয়েরা মহৎ কাজ করছে। সমাজের কল্যান করছে। এদের বাবা মায়েরও শাস্তি হওয়া উচিত।

এই প্রজন্মের কয়েকটি নোংরা বিনোদনের কথা বলি:
বিশেষ বিশেষ দিন গুলোতে- যেমন ইদের দিন, পহেলা বৈশাখ, হ্যাপি নিউ ইয়ার ইত্যাদি দিন গুলোতে কিছু ছেলে একটা ইঞ্জিনওলা নৌকা ভাড়া করে। একটা বা দুটা পতিতা মেয়ে ভাড়া করে, সাউন্ড বক্সে বিকট গান বাজতে থাকে। নৌকা চলতে থাকে, সেই নৌকায় ভাড়া করা মেয়ে নিয়ে কুৎসিত নাচ গান চলে। এদের কেউ থামায় না, দাবড়ানি দেয় না। বাবা মা জম্ম দিয়ে এদের ছেড়ে দিয়েছে। খোজ রাখে না তাদের আদরের সন্তান কি করে বেড়াচ্ছে! কেউ কেউ পিকআপ ভাড়া করে। সাউন্ড সিস্টেম থাকে। উরাধুর নাচ গান চলতে থাকে। আরেক গ্রুপ আছে, তারা রাতে বের হয়। বাইক আর গাড়ি নিয়ে। তিনশ' ফিট গিয়ে তারা বাইক ও গাড়ির রেস লাগায়। মাওয়া রোডে প্রতিদিন একসিডেন্ট করছে। কিছু আছে মদের পাগল।

ঢাকার আশেপাশে অনেক শুটিং স্পট এবং গেস্ট হাউজ হয়েছে।
সেখানে সুইমিংপুল আছে। ডিজে আছে। ডিজে ম্যাডাম হাত পা বাকা করে নাচে। সুইমিংপুলে থাকা ছেলেমেয়েরা লাফালাফি করে। জড়াজড়ি করে নাচে। পুরো বিষয়টির মধ্যে সুন্দর কিছু নেই। নোংরা বিনোদন। এদেরকে কেউ থামায় না। আরেক শ্রেনী লঞ্চ ভাড়া করে। লঞ্চে ছেলেমেয়েরা আনন্দ ভ্রমণ নাম দিয়ে নোংরামি করে। ফাস্টফুড নাম দিয়ে ছোট ছোট খুপরি ঘর করা হয়েছে। সেখানে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা লটকালটকি করছে। তূরাগ নদীর পাড়ে খুপরি ব্যবসা খুব রমরমা। মূলত এই প্রজন্ম নোংরা প্রজন্ম। এরা শুধুমাত্র লেখাপড়া করে না। এই প্রজন্মের আছে শুরু নেশা ও নোংরামী। এবং মিথ্যার ফুলঝুড়ি।

টিকটক বাংলাদেশে নোংরামির পর্যায়ে চলে গেছে।
টিকটক বিনোদনের জন্য। অথচ এরা টিকটকে যা-তা করছে। কোনো লজ্জা নেই। কেউ সাবান, শ্যাম্পু আর ফর্সা হওয়ার ক্রিম বিক্রি করছে। কেউ নিজের শরীর দেখাচ্ছে। মূলত এরাই সমাজের আগাছা। আগাছার সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। এরাই জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এরা পরিবার থেকে সঠিক পারিবারিক শিক্ষা পায়নি। এরা আবার টিকটক মিলনমেলার আয়োজন করে। (সমাজের আগাছাদের মিলনমেলা) সবার কাছ থেকে চাদা নেয়। একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, ৭০ টাকা দামের ক্রেস্ট দেয়। ক্রেস্টের গায়ে লেখা থাকে সেলিব্রেটি। জ্ঞানে নয় ধান্দাবাজিতে এরা এগিয়ে। এদের নোংরামি প্রচার করে ইউটুবাররা। লাখ লাখ ভিউ হয়। তাদের কোনো হুশ জ্ঞান নেই। উপস্থাপিকা এদের দাওয়াত করে আনে, নোংরা প্রশ্ন করে। চোখ কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে, হাতে বেগুন ধরিয়ে দেয়। জিজ্ঞেস করে আপনার হাতে কি? রুচির এত অধপতন! ছিঃ।

আমাদের আসল সংস্কৃতি হারিয়ে গেছে।
আমরা সবাই মুখোশ পড়ে আছি। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। মুখোশ পরা বিনোদনের জন্য আমরা আমাদের সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলেছি। নৌকা বাইচ, বউচি, দাড়িয়াবান্ধা, পুথিপাঠ হারিয়ে গেছে। কানামাছি কেউ খেলে না। গ্রামে নবীন প্রবীনের ফুটবল খেলা হয় না। বাউলদের খুজে পাওয়া যায় না। এখন ভাত খেয়ে মায়ের শাড়ির আচলে মুখ মোছা হয় না। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে হিন্দি গানের সাথে নাচা হয়। হলুদ বাটো, মেন্দি বাটো গান গাওয়া হয় না। আমরা আসল রেখে নকলের পেছনে দৌড়াচ্ছি। পালা গান, সারি গান কোথায় আজ? এখন মেয়েরা পায়ে আলতা দেয় না। চুল জুটি করে বাধে না। কাচের চুড়ি পরে না। এখন শবে ররাতে রুটি হালুয়া বানায় না, দোকান থেকে কিনে আনে। দিনদিন বাঙ্গালী জাতি গজবের দিকে যাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×