somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

শেখ হাসিনা চলে যাবার পর, দেশের কি অবস্থা?

১০ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শেখ হাসিনা চলে যেতে বাধ্য হলেন।
তারপর গত এক বছরে দেশের পরিস্থিতি ভালো হয়নি। ভারতের সাথে যোগাযোগ বন্ধ। ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ। অলরেডি দেশে ভারতীয় পন্যের অভাব দেখা দিয়েছে। জরুরী ওষুধ নেই। সেনেটারি ন্যাপকিন থেকে কসমেটিক কিছুই নেই। অসুস্থ লোকজন বিরাট বিপদে পড়েছেন। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ। অসুস্থ লোকেরা চিকিৎসার জন্য ভারত যেতে পারছে না। ভারতের জিনিসপত্রের জন্য দেশে নিরব হাহাকার চলছে। প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে হয়। ভারত আমাদের বন্ধু। শত্রু নয়। কিন্তু ইউনুস সাহেব জট পাকিয়ে ফেলেছেন।

শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর দেশে ফুটপাতে দোকানের সংখ্যা বেড়েছে।
এমনকি এখন ফ্লাইওভার ব্রীজের নিচে, ফুটপাত, সহ যেখানেই খালি জায়গা আছে সেখানেই হকার বসেছে। আগে যেটুকু ফুটপাত অবশিষ্ট ছিলো সেটাও এখন খালি নেই। পরিবহন চাদাবাজি বেড়েছে। যাত্রাবাড়ী দিতে হয় সবচেয়ে বেশি টাকা। মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সহ উন্নয়ন গুলো মানুষ ব্যবহার করছে। সুফল পাচ্ছে। সেটা বলা নিশ্চয়ই কোনো অপরাধ নয়। একটা ভালো কথা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ যেসমস্ত উন্নয়ন কাজ শুরু করেছিল, ইউনুস সাহেবের আমলে সেই উন্নয়ন কাজ গুলো বন্ধ হয়নি। এটা ভালো।

দূর্নীতি বন্ধ হয়নি। বরং বেড়েছে।
বিএনপি চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলতে শুরু করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। কারাগার গুলোতে ধারন ক্ষমতার তিন গুন বেশি কয়েদি। জুলাই মামলা নিয়ে রমরমা ব্যবসা চলছে। কারারক্ষী, পুলিশ এবং আইনজীবীদের ইনকাম বেড়েছে। দু:খজনক বিষয় হলো, অনেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে নাই। তারা কোনো রাজনীতিতে নাই, তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের পরিবার গুলো আজ চরম অসহায়। হাসিনা দুর্নীতি করে নাই। এটা সত্য। তার দলের কতিপয় লোক সীমাহীন দূর্নীতি করেছে। গত ১৬ বছরে বহু লোক দূর্নীতি করার জন্য আওয়ামী লীগে জয়েন করেছে। এরাই শেখ হাসিনার সর্বনাশ করেছে। জামাত শিবির ৭১ এ বেঈমান ছিলো আজও তারা বেঈমান। তাদের মানসিকতা বদলায় নি। শেখ হাসিনা জামাত শিবির কে দমিয়ে রাখতে পেরেছিলেন। এজন্য তাকে স্যলুট।

এখন আর ইউনুস সাহেবের প্রতি দেশের মানুষের কোনো আস্থা ভরসা নেই।
দেশের মানুষ বুঝে গেছে নোবেল পুরষ্কার পেলেই, সে মানুষ ভালো হয় না। আওয়ামীলীগের আমলে যেমন, ভিআইপি যন্ত্রণা মানুষকে ভোগ করতে হয়েছে। এখনো হচ্ছে। ইউনুস সাহেব যেখানে যান, তার আশেপাশের এলাকার মানুষ এবং গাড়ি বাস ট্রাক রিকশা সব কিছু থেমে থাকতে হয়। মানুষ ইউনুস সাহেব কে খারাপ গালি দেয়। চুরী, ডাকাতি, ছিনতাই এবং ধর্ষণ অনেক বেশি বেড়ে গেছে। একটা মেয়ে একা ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। মাদ্রাসার শিক্ষা দিয়ে ভালো চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়। মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে করতে হয়, মানবেতর জীবনযাপন। অলিগলিতে মাদ্রাসা। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অন্ধকারে। এই প্রজন্ম নিয়ে আশাবাদী হওয়া যাচ্ছে না।

ইউনুস সাহেবের উচিৎ ছিলো ক্ষমতা হাতে নিয়েই,
পুলিশ হত্যার বিচার করা, থানায় আগুন, অস্ত্র লুট, এবং মেট্রোরেল ভাংচুরের জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার করা। উপদেষ্টারা এবং এনসিপি এমন শুরু করেছে, যেন তারা ভালো। আকাশ থেকে নেমে আসা ফেরেশতা। আর আওয়ামী লীগ জন্মের খারাপ। যারা আওয়ামী লীগ সাপোর্টা করে তারাও খারাপ। আমি বলছি না, আওয়ামী লীগ দুধের ধোয়া তুলসিপাতা। তাদের অনেক দোষ আছে। কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং ছাত্রলীগ অনেক খারাপ কাজ করেছে। কিন্তু আমি বলতে চাই, মন্দের ভালো হলেও আওয়ামী লীগ ভালো। বিএনপির প্রধান সমস্যা হলো তারা উন্নয়ন বুঝে না। তারা বুঝে শুধু দূর্নীতি। জামাত শিবিরকে থামাতে না পারলে দেশ হবে আফগান, সিরিয়া। তারা এবার যে কোনো মূল্যে ক্ষমতা চায়। এজন্য পাকিস্তান তাদের সহযোগিতা করিবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা টাকা সংগ্রহ করছে। টাকা দিয়ে হলেও তারা ক্ষমতায় আসিবে।

এনসিপি যা করছে তারা জামাতের কথা মতো অভিনয় করে যাচ্ছে।
ইউনুস সাহেবের গোপন ইচ্ছে এনসিপি সংসদে যাক। এদিকে ছাত্রদল সদস্য হওয়ার জন্য তেজগাঁও কলেজে ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে। কলেজের নাম ঢেকে দিয়ে তারা ব্যানার লাগিয়েছে৷ সদস্য হওয়ার জন্য ফরম কিনুন। ব্যানারের এক মাথায় জিয়ার ছবি অন্য মাথায় খালেদা জিয়া এবং তারেকের ছবি। কি হবে ছাত্রদল করে? সন্ত্রাসী করার জন্য? চাদাবাজি করার জন্য? অল্প বয়সে কোটি টাকার মালিক হওয়ার জন্য? অতীতের ছাত্রলীগ চলে গেছে, এখন তাদের জায়গা দখল নিয়েছে ছাত্রদল। বাহ কি চমৎকার। এভাবে চললে দেশে শান্তি আসবে না। ছাত্ররা ভয়ংকর। হোক ছাত্রলীগ, ছাত্রদল বা শিবির। এরা ভালো কিছু করতে জানে না।

সব মিলিয়ে দেশ ভালো নেই।
যাদের সুযোগ আছে, তারা বিদেশ যাওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। আর আমার মতো যাদের বিদেশ যাওয়ার ব্যবস্থা নেই, তারা হায় হায় করছে। কপাল চাপড়াচ্ছে। দেশে যেহেতু সরকার নেই, তাই ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ওষুধের দাম বেড়েছে। প্রতিটা জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কেউ দেখার নেই। কেউ বলার নেই। সাধারণ মানুষ অসহায়। তাদের নিরব কান্না আমি অনুভব করি। দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে দেশের মানুষ। যারা দেশকে ভালোবাসে তারা আজ কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। ৭১ এর বীরেরা আজ অবহেলিত। রাজাকার এবং তাদের বাচ্চাদের আজ মারাত্মক আস্ফালন। জয় বাংলা বলতেও আজ বাধা। এই দুখ আমি কোথায় রাখি। একপাল শকুন আমাদের ইতিহাস মুছে দিতে মরিয়া।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০৬
২৯টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×