বুধবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সাইবার আইন লঙ্ঘনের জন্য চলতি সপ্তাহে জেদ্দা ক্রিমিনাল কোর্ট রাইফ বাদায়িকে এ সাজা দেয়। তিনি গত বছরের জুন মাস থেকে কারাগারে রয়েছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্যের উপ-পরিচালক নাদিম হাউরি বলেন, "ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন একজন মানুষ।যিনি ইতিমধ্যে এক বছর ধরে বন্দি রয়েছেন এবং এখন তাকে সাত বছরের জেল ও ৬০০ দোররার মুখোমুখি হতে হবে।"
বাদায়ির আইনজীবী আবু আল খায়ের ওয়ালিদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেন, “বিচারক আল হার্বি সোমবার এ রায় দেন। এ ব্যাপারে আগামী ৬ আগস্টের মধ্যে আসামিকে লিখিতভাবে জানানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
এছাড়া রায়ের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করা যাবে বলেও জানান এ আইনজীবী।
এদিকে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বাদায়ির স্ত্রী ইনসেফ হায়দর বলেন, "এখন কী করতে হবে আমি তা জানি না।”
তার স্বামী কোনো ‘ভুল’করেননি বলেও দাবি করেন তিনি। তিন সন্তান নিয়ে তিনি এখন লেবাননে বসবাস করছেনহায়দর।
তিনি আরও বলেন, “আমার সন্তানদের নিয়ে আর সৌদি আরবে ফেরা হবে না।”
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাদায়িকে মুক্তি দেয়ার জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল 'এ ধরনের বিচার’নিয়ে সৌদি মানবাধিকার কর্মীদের নীরবতার নিন্দা জানিয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালে ‘ফ্রি সৌদি লিবারেলস’ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরুর কয়েকদিনের মাথায় বাদায়িকে একদিনের জন্য আটক করা হয়। তখন তার কাছে সাইটের খুঁটিনাটি বিষয়ে জানাতে চাওয়া হয়। ওই সময় কয়েকজন ধর্মীয় নেতা তাকে 'অবিশ্বাসী ও ধর্মত্যাগী' বলে অভিহিতি করেন।
View this link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




