প্রথম প্রেমের স্মৃতি-----
ছায়া ছায়া অবয়বশুণ্য এক বোধ ----
ছায়াকাঁপা সবুজ অরণ্য যেনো
দূরাগত ফুলের-সুঘ্রাণ।
শুধু মনে পড়ে যায়
হাসলেই রক্তস্রোতে উত্তাল মেঘনার ঢেউ
আবর্তের মতো টোলে তিলকের মতো কালো টিপ
মনে হতো নীল জলরাশি মাঝে নির্জন যেনো কোন দ্বীপ!
সে হাসিতে আলো অন্ধকারের স্রোতে
জেগে ওঠা আমার জীবন
এখনো বিস্মৃতি থেকে
নিমিষেই ছিঁড়ে আনে মধুর মরণ।
হরিণী লাবণ্য তার কতদিন চাঁদের আগুনে
পুড়ে গেছে হেমন্তের হীম ঝরা মাঠে
আমার র্স্পশে
কতদিন উষ্ণ হয়েছিলো মাটি
হয়েছিলো উষ্ণ আকাশ !
প্রপাতের মতো বেয়ে ঝরেছিলো কোন একদিন
আমার সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে অস্তিত্বকে
করেছিলো লীন
বুকের বিস্তারে এসে মায়াবী কন্ঠে তোলা
পালকের রঙচঙে স্বাদ
এখনো পড়ছে মনে অপলকে চেয়ে থাকা
লেলিহান অগ্নিশিখা তার!
বড় দৌড়ে এসেছিলো বড় দৌড়ে চলে গেছে
রেখে গেছে আটপৌরে শাড়ির বিন্যাস
ক্রমবিকশিত নাভি
নিবীড় আঁধার ঘন চুল
অপূর্ব অলৌকিক অপরুপ কুসুিমত মন!
কি নামে ডেকেছি তাকে ? মহুয়া ? মলূয়া?
নাকি লাবণ্য---- নীলাঞ্জনা!
আজ আর মনে নেই
আছে শুধু স্মৃতির বেদনা!
মেঘের ব্যালকনিতে দোলা স্বর্ণসাথী
স্বর্ণালী দিনে
নীলমণিহার দিয়ে অমরত্ব পেয়ে আজ
সগৌরবে বসে আছে
আমার সমস্ত অস্তিত্ত্ব জুড়ে ।
তবু বহুদূর থেকে এখনো সে দুরত্বকে
আজো আমি ভেঙে করি চুর
আমারই কন্ঠে দোলে দখিনা হাওয়ার গান
শোনা যায় অলৌকিক সুর!
ঘিয়ে পাঞ্জাবীর হাওয়া
গোপন নিশ্বাস ফেলে এখনো কি সেই কামনায়?
সাঁঝের রুপসী তাই এখনো কি ফুটে যায়
অন্ধকারে দূর পাড়াগাঁয়!
লুপ্তনীল সন্ধ্যা বেলা
আরক্ত সূর্যের কালে
ফানুসের মতো আমি --চিত্রার্পিত
মনমুগ্ধ অন্তহীন স্থির
এখনো সে অস্তরাগে কতস্মৃতি ভেসে আসে
প্রকম্পিত হৃদয় কাঁদায়!
হয়তো আসবে চাঁদ
মাাঝরাতে একরাশ পাতার আড়ালে
হয়তো ভাঙবে ঘুম
অতৃপ্ত অস্থিরতা
কুরে কুরে খাবে অনুক্ষণ
মনে হবে
আবার অনিন্দ্য প্রেম
সৌরবৃত্ত ডুবে যাবে কৃষ্ণ গহ্বরে
হয়তো হবেই দেখা
তার সাথে
আবার বছর কুড়ি পরে!