ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করা হলে বাংলাদেশসহ গোটা অঞ্চল সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পড়বে বলে মনে করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ।
এ বাঁধ হলে ভারত তাদের পছন্দমত পানি ছাড়বে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
বুধবার রাজধানীতে এক গোলটেবিলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "টিপাইমুখসহ উত্তরÑপূর্বাঞ্চলের ৭টি রাজ্যের বিভিন্ন নদীতে ৪৮টি বাঁধ দিয়ে ৫০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে ভারত। এ বিদ্যুৎ তারা বিদেশে রপ্তানি করতে চাচ্ছে। কিন্তু নদীতে বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গেলে গোটা অঞ্চলে অস্থির সামাজিক রাজনৈতিক অবস্থার সৃষ্টি হবে।"
'জলবায়ু পরিবর্তন: জনগণের অবস্থান' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের এক ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোজাফফর আহমদ।
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে কাপ্তাই নদীতে বাঁধ দিয়ে সামান্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে বিশাল জনগোষ্ঠী সেখান থেকে বিতাড়িত হয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেখানকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী এর বিরুদ্ধে মিছিল করছে।"
অধ্যাপক মোজাফফর বলেন, টিপাইমুখে বাঁধ হলে ভারত তাদের ইচ্ছেমতো বাংলাদেশে পানি দেবে বলে তাদের ধারণা। এর ফলে শীতের সময় বাংলাদেশের নদীগুলো আরো শুকনো এবং বর্ষায় আরো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন গড়ে তুলবেন জানিয়ে মোজাফফর আহমদ বলেন, টিপাইমুখ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য পরিকল্পিত বাঁধ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
এছাড়া পরিবেশ রক্ষায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সংখ্যা বাড়ানো, প্রাকৃতিক বনসহ নদী-নালা, খাল, বিল, জলাশয় পুনরুদ্ধার এবং একটি সমন্বিত নীতিমালা তৈরি করার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাির্ট আয়োজিত এ গোলটেবিল বৈঠকে দলের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তথ্যসূত্র : জুন ০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)--
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



