------------- ড. রমিত আজাদ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর থেকে)
(অককোধেন জিনে কোধং অসাধুং সাধুনা জিনে,
জিনে কদরিয়ং দানেন সচচেন অলিকবাদিনং। ২২৩)
মৈত্রীর দ্বারা ক্রোধ জয় করিবে; সাধুতা দ্বারা অসাধুকে জয় করিবে;
ত্যাগের দ্বারা কৃপণকে জয় করিবে ও সত্যের দ্বারা মিথ্যাবাদীকে জয় করিবে।
-- ধম্মপদ থেকে গৃহিত
বজ্রযানঃ
পূর্বেই বলা হয়েছে যে বজ্রযান মহাযানেরই একটি শাখা। তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মের মন্ত্রযানের সঙ্গে মহাসুখবাদের সংযোগের ফলে উদ্ভূত এ মতবাদ বাংলার সমতট অঞ্চলে বিশেষ প্রসার লাভ করেছিল। বজ্রযানমতে নির্বাণের পর শূন্য, বিজ্ঞান ও মহাসুখ লাভ হয়। শূন্যতার পরম জ্ঞানই নির্বাণ। এই জ্ঞানকে বলে নৈরাত্মা। নৈরাত্মার মধ্যে আত্মা লয়প্রাপ্ত হয়। বোধিচিত্ত যখন নৈরাত্মার আলিঙ্গনবদ্ধ হয়ে নৈরাত্মাতেই লীন হয়, তখন উৎপন্ন হয় মহাসুখ। চিত্তের যে পরমানন্দ ভাব, যে এককেন্দ্রিক ধ্যান, তা-ই বোধিচিত্ত। বোধিচিত্তই বজ্র। কঠোর যোগের দ্বারা ইন্দ্রিয় দমিত হলে চিত্ত বজ্রের ন্যায় দৃঢ় হয়। এ অবস্থায় সাধক বোধিজ্ঞান লাভ করেন। বজ্রকে আশ্রয় করে যে যানে বা পথে নির্বাণ লাভ হয়, তা-ই বজ্রযান।
বজ্রযানে গুরু অপরিহার্য। অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের গুরু জেতারি ছিলেন বজ্রযানের অন্যতম গুরু। তিনি এ বিষয়ে বহু গ্রন্থও রচনা করেন। সপ্তম শতাব্দীর বৌদ্ধপন্ডিত শান্তিদেবও বজ্রযান বিষয়ে অনেক গ্রন্থ রচনা করেন বলে ইতিহাসে উল্লেখ আছে। বাঙালি তান্ত্রিক আচার্য শান্তরক্ষিতও বজ্রযান বিষয়ে তিনখানি তন্ত্রগ্রন্থ রচনা করেন।
বজ্রযানমতে এই ভৌতিক দেহ পঞ্চস্কন্ধ দ্বারা গঠিত। সাধকের দেহস্থ এই পঞ্চস্কন্ধের মধ্যে যেটি সবচেয়ে বেশি সক্রিয়, সে অনুযায়ী তার কুল নির্ণীত হয়। এই কুল দ্বারা সাধকের প্রাথমিক পরিচয় ছাড়াও অন্তর্নিহিত যোগশক্তির প্রভাব সম্পর্কেও জানা যায়। কুলগুলি হচ্ছে ডোম্বী, নটী, রজকী, চন্ডালী ও ব্রাহ্মণী। এই পঞ্চকুল আবার পাঁচটি শক্তি বা প্রজ্ঞার রূপ বিশেষ। বৈষ্ণব পদকর্তা চন্ডীদাসের রজকী বজ্রযান মতে তাঁর কুলেরই সূচক। বজ্রযানে সাধনমার্গ নানা দেব-দেবী, মন্ত্র, পূজা ও আচার-অনুষ্ঠানে আকীর্ণ।
বর্তমান বাংলাদেশে বজ্রযানী বৌদ্ধ মতাদর্শের বিদ্যমানতা নেই। বাংলাদেশী বৌদ্ধদের মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন থাকলেও এবং ভিক্ষুসংঘের মধ্যেও চিন্তার মতানৈক্যগত বিভিন্ন নিকায় থাকলেও প্রত্যেক নিকায় ও সংস্থা থেরবাদের অনুসারী। তাদের মধ্যে স্থান ও পাত্রভেদেও কোনোরূপ তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্মাচরণের সংস্কৃতি পরিলক্ষিত হয় না। [সুমন কান্তি বড়ুয়া]
অষ্টম শতকে বাংলা ও বিহারে (মগধে) মহাযান বৌদ্ধ ধর্ম পরিবর্তিত হয়ে ‘বজ্রযান’ নামে একটি মতবাদ গড়ে ওঠে। বিহারের বিক্রমশীলা মঠটি ছিল বজ্রযানী বৌদ্ধদের অন্যতম সাধনমার্গ। একাদশ শতকে এই মঠের বজ্রপন্থিগন তিব্বতে ধর্ম প্রচার করতে গিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে বাংলার অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান অন্যতম। বাংলার পাল রাজারা বজ্রযানী মতবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
এবার বাংলায় বজ্রযান মতের উদ্ভব সম্বন্ধে আলোচনা করব।
বৌদ্ধধর্মকে বাংলার আর্যপূর্ব লোকায়ত ভাবধারা প্রভাবিত করেছিল। শিকড়টি প্রাচীন সভ্যতায় নিহিত বলেই বাংলার লোকায়ত ভাবধারায় রয়েছে নারীপ্রাধান্য। এ কারণে বাংলাকে আজও আমরা বলি "মাতৃতান্ত্রিক বাংলা।" আমরা দেশকে মাতা বলি নদীকে মাতা বলি, ইত্যাদি।
কাজেই মাতৃতান্ত্রিক বাংলা অনিবার্যভাবেই মহাযানী বৌদ্ধধর্মকে প্রভাবিত করেছিল। মহাযানীপন্থার অন্যতমা দেবী ছিলেনপ্রজ্ঞাপারমিতা। তখন একবার বলেছি যে মহাযানীরা বুদ্ধত্ব লাভে আগ্রহী এবং বোধিসত্ত্ব মতবাদে বিশ্বাসী। বোধিসত্ত হচ্ছেন তিনি যিনি বারবার জন্মগ্রহন করেন এবং অপরের পাপ ও দুঃখভার গ্রহন করে তাদের আর্তি দূর করেন। মহাযানীপন্থায় কয়েক জন বোধিসত্ত্ব রয়েছেন। এঁদের মধ্যে অবলোকিতেশ্বর, মঞ্জুশ্রী এবং বজ্রপানি প্রধান। প্রজ্ঞাপারমিতা কে বোধিসত্ত্বেরই গুণাবালীর মূর্ত রূপ বলে মনে করা হত। বোধিসত্ত্বদের স্ত্রী কল্পনা করা হয়েছিল। এই দেবীই ছিলেন দেবতাদের প্রকৃত শক্তি। দেবতাকে মনে করা হত সদূর এবং অজ্ঞেয় এবং দেবীকে সক্রিয় মনে করা হত। এই ধারণার পিছনে, সাংখ্যদর্শনের প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়। সাংখ্যদর্শনের প্রবক্তা কপিল ছিলেন প্রাচীন বাংলার একজন দার্শনিক। কপিলের একটি বিখ্যাত উক্তি হল: ‘প্রকৃতি ত্রিগুণাত্বক চঞ্চলা, পুরুষ অপ্রধান।’ সে যাই হোক। মহাযানীরা বিশ্বাস করতেন যে: দেবতাকে পেতে হলে দেবীর সাহায্য নিতে হয়। সৃষ্টিকে ভাবা হত যৌনমিলনের প্রতীক। কাজেই কোনও কোনও মহাযানী সম্প্রদায়ে যৌনমিলন ধর্মীয় আচারে পরিণত হয়েছিল।
এই যৌনবোধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মরমী অতীন্দ্রিয়বাদ । হীনযানীরা বিশ্বাস করতেন মুক্তির উপায় হল ধ্যান এবং আত্মসংযম। পক্ষান্তরে, মহযানীরা মনে করতেন মুক্তি অর্জনে প্রয়োজন স্বয়ং বুদ্ধ এবং বোধিসত্ত্বর দাক্ষিণ্য। এভাবে উদ্ভব হয়বজ্রযানী মতবাদ। বজ্রযানীরা বিশ্বাস করতেন যে মোহিনী শক্তি আয়ত্ব করে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। এই শক্তিকে 'বজ্র' বলা হত। বজ্র নারীরই অন্যতম শক্তি। এ জন্য বৌদ্ধধর্মের নতুন শাখার নাম হয়েছিল বজ্রযান। তাহলে বজ্রযানের উদ্ভবস্থল হিসেবে কি আমরা বাংলাদেশের বিক্রমপুরের বজ্রযোগিনী গ্রামটিকে চিহ্নিত করতে পারি? যে গ্রামে দশম শতকে অতীশ দীপঙ্করের জন্ম হয়েছিল? ইদানিং বিক্রমপুরী বিহার আবিস্কৃত হয়েছে:
মুন্সীগঞ্জ সদরের রঘুরামপুরে হাজার বছেরর পুরেনা বৌদ্ধ বিহারের সন্ধান মিলেছে। আবিস্কৃত বৌদ্ধ বিহারটি মুন্সীগঞ্জ তথা বিক্রমপুর অঞ্চলের হাজার বছর আগের প্রাক-প্রাচীন সভ্যতার প্রথম বৌদ্ধ বিহার। আবিস্কৃত এ বৌদ্ধ বিহারটির নাম তৎসময় কালের বিক্রমপুরী বৌদ্ধ বিহার বলে ধারনা করা হচ্ছে। জেলা সদরের বজ্রযোগিনীর রঘুরামপুরে গত ২৩শে মার্চ ২০১৩ (শনিবার) এক সংবাদ সম্মেলনে এ পুরাকীর্তি তথা বৌদ্ধ বিহার আবিস্কৃত হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষনা করা হয়েছে । মাটির নীচে চাঁপা পড়ে থাকা আবিস্কৃত বৌদ্ধ বিহারটি ১২’শ থেকে ১৩’শ বছর আগের ঐতিহাসিক নিদর্শন বলে জানা যায়। এছাড়া প্রত্নতত্ম খননের মধ্য দিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ও রামপালে মাটির নীচে চাঁপা পড়া ৩ মিটার গভীর পর্যন্ত প্রাক-প্রাচীন সভ্যতার মানব বসতির চিহ্ন খুঁজে পাওয়া গেছে। সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় এ প্রকল্প কাজের অর্থায়ন ও সহযোগিতা করছে। বেলা ১২ টার দিকে বজ্রযোগিনীর রঘুরামপুরে আবিস্কৃত বৌদ্ধ বিহারের পাদদেশে বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্তিক খনন ও গবেষনা প্রকল্প আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন খনন ও গবেষনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নূহ-উল-আলম লেনিন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রত্নতত্ম খনন কাজের গবেষনা পরিচালক ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড, সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। যেভাবে আবিস্কৃত হয় : ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে খনন শুরুর প্রথম বছরেই বজ্রযোগিনীর রঘুরামপুরে ইট-নির্মিত দেয়ালাংশ আবিস্কৃত হয়। রঘুরামপুরে প্রত্নতত্ম খননের তৃতীয় সেশনে ইট-নির্মিত স্থাপত্যের ১০০ মিটার উত্তরে গর্ত পরিস্কার করতে প্রথম বারের মতো ক্ষতিগ্রস্ত ইটের দু’টি দেয়ালের চিহ্ন বেরিয়ে আসে। এ দেয়ালকে উদ্দেশ্য করে ৮০ মিটার গুন ৬০ মিটার জায়গা নিয়ে ২ গুন ২ বর্গমিটারে ১২’শ গ্রিডে ভাগ করে শুরু হয় বৌদ্ধ বিহার আবিস্কারের উৎখনন। দ্বিতীয় বছরের উৎখননের মধ্য দিয়ে পাওয়া যায় উত্তর-দক্ষিন প্রলম্বিত ২ দশমিক ৫ মিটার প্রসস্থ দু’টি ইটের প্রাচীর দেয়ালের অংশ বিশেষ। মাঝে মাঝে ২ মিটার প্রসস্থ ভিক্ষুক বিভাজন দেয়ালের অংশ বিশেষও শনাক্ত করা গিয়েছিল ওই বছর। তৃতীয় বছরের উৎখননে ৫ টি ভিক্ষু কক্ষের অস্তিত্ব খুজে পাওয়ার মধ্য দিয়ে বিক্রমপুর অঞ্চলের প্রথম এ বৌদ্ধ বিহারের আবিস্কার নিশ্চিত হন খননকারীরা। কথিত আছে অতীশ দীপঙ্করের সময় (৯৮২-১০৫৪ খ্রি.) বিক্রমপুরের বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্রে নেপাল, তিব্বত, চীন, থাইল্যান্ড ও অন্যান্য দেশ থেকে প্রায় ৮০০০ শিক্ষার্থী ও ১০০ জন শিক্ষক এসে ছিলেন। বলা হয়, অতীশ দীপঙ্কর ছিলেন ঐ শিক্ষাকেন্দ্রের অধ্যক্ষ।
কিন্তু, বাংলায় কারা প্রথম বজ্রযানের ধারণা conceive করেছিলেন?
মধ্যযুগের বাংলায় বৌদ্ধসমাজে স্থবিরবাদ নামে একটি দার্শনিক মতের উদ্ভব হয়েছিল । স্থবিরবাদীরা মনে করতেন: যে কেউ নিরাসক্তি এবং মানসিক অনুশীলনের উচ্চ স্তরে পৌঁছলে অতিপ্রাকৃতিক শক্তির অধিকারী হতে পারে। বুদ্ধ যাদুবিদ্যা চর্চার নিন্দা করতেন। অথচ বাংলার স্থবিরবাদীগণ যাদুবিদ্যা চর্চা করতেন। পাশাপাশি প্রত্যেক বৌদ্ধই যে মঠের সংযত জীবনে অভ্যস্ত ছিলেন, তা কিন্তু নয়। অনুমান করায় যায়, এই প্রতিষ্ঠানবিরোধীরাই বজ্রযানের ধারণা প্রথম conceive করেছিলেন ।
এর আগে একবার বলেছিলাম যে: পাল রাজারা বজ্রযানী মতবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন। পাল রাজারা বাংলায় বজ্রযানী মতবাদের একটি বিধিবদ্ধ রূপ দিয়েছিলেন। পাল যুগের বাংলায় বজ্রযানীদের প্রভূত সম্মান ছিল।
বজ্রযানীদের প্রধানা দেবী হলেন তারা। ইনি ছিলেন বুদ্ধ এবং বোধিসত্ত্বদের স্ত্রী। মাতঙ্গী পিশাচী ডাকিনী যোগীনি -প্রমূখ তুচ্ছ দেবীও বজ্রযানীদের আরাধ্য ছিল। বজ্রযানীগণ বিশ্বাস করতেন দেবদেবীদের করূণা ভিক্ষা করে লাভ নেই। এদের বাধ্য করতে হবে। যে গ্রন্থে এ কাজ করার উপায় তাদের বলা হত ‘তন্ত্র’। যে কারণে বজ্রযান কে বলা হয় তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম। মন্ত্র এবং যন্ত্র -এ দুই হল বজ্রযানের সাধনার উপকরণ। যন্ত্র হল মোহিনী প্রতীক, যা সঠিক ভাবে আঁকতে হয়। (মোহিনী প্রতীক হল religious symbolism. যা মার্কিন লেখক ড্যান ব্রাউন আধুনিক পাঠকে কাছে পরিচিত করেছেন । )
বজ্রযানের প্রধান মন্ত্র হল: 'ওম মনিপদ্মে হূম '
পূর্বে একবার উল্লেখ করেছি যে: বিহারের বিক্রমশীলা বিহারটি ছিল বজ্রযানী বৌদ্ধদের অন্যতম কেন্দ্র। একাদশ এই মঠের বজ্রযানী বৌদ্ধরা তিব্বতে ধর্ম প্রচার করতে গিয়েছিলেন । তিব্বতে আজও অসংখ্যবার ‘ওম মনিপদ্মে হূম’ জপ করা হয়। -এই মন্ত্রটি বুদ্ধ এবং প্রজ্ঞাপারমিতার এবং বোধিসত্ত্ব এবং তারা দেবীর যৌনমিলনের প্রতীক। তবে বজ্রযান কেবলি যৌন সাধনপন্থ নয়, বজ্রযান বৌদ্ধধর্মের একটি রহস্যময় রূপ।
এভাবে বজ্রযান হয়ে উঠেছিল যৌনঅতীন্দ্রিয়বাদী ...
তবে বজ্রযানে ধ্যানের গুরুত্বকে অবহেলা করা হয়নি। বজ্রযানীর উদ্দেশ্য ছিল যৌনচর্চার মাধ্যমে দেবীর কৃপা লাভ করে অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা অর্জন। যা একটি ধর্মীয় আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলা থেকে ভারতবর্ষের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। বজ্রযানী সাধকদের বলা হত সিদ্ধ অথবা সিদ্ধাচার্য। এঁদের সংখ্যা ছিল ৮৪। পূর্বে মহাযানপন্থার বইপুস্তক লেখা হয়েছিল সংস্কৃত ভাষায় । বজ্রযানী সিদ্ধাচার্যগণ লিখতেন বাংলায় । তাদের ভাবনার সঙ্কলনই- চর্যাচর্যবিনিশ্চয় বা চর্যাপদ। চর্যাপদই বাংলা ভাষার আদিরূপ।
(চলবে)
তথ্যসূত্র:
১। ইমন যুবায়েরের বাংলা ব্লগ (সামু)
২। ইন্টারনেটে প্রাপ্ড় বিভিন্ন আর্টিকেল
৩। Click This Link
৪। ( Click This Link )
৫। Wikipedia.org
OM MANIPADME HUM
--------- Dr. Ramit Azad
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:২৭