somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সোশ্যাল মিডিয়া এবং আমরা

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিচরণ নাই এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। মানুষ এখানে সময় দেয় মূলত বিনোদন পাবার আশায়, নতুন কিছু জানার জন্য এবং নতুন মানুষদের সাথে পরিচিত হবার জন্য। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু বিষয় নিয়ে মানুষ এমন কচলানো শুরু করে যা গলদঃকরণ করতে কষ্ট হয়ে যায়।

তেমনি একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এক ডাক্তারের আত্মহত্যার কাহিনী। আমি মনে করি আমাদের সকল ব্যার্থতার দায় আমাদের নিজেদের, কেউ যদি আমাদের ঠকিয়েও যায় তবুও। একজনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে দেশের আপামর জনগণের যে উৎসাহ, আর জাতীয় পত্রিকা গুলির এই সংবাদ প্রচারের যে উদ্দীপনা তা সত্যিই লজ্জার।

যে মানুষ নিজের সামর্থ্য না বুঝে কাউকে প্রতিজ্ঞা দেয়, যে নিজের কাছের মানুষকে বছরের পর বছর ধরে চিনতে পারেনা এমনকি নিজের প্রতি অন্যায় হতে দেখেও সহ্য করতে বাধ্য হয় তার আসলেই বেঁচে থাকার কোন মানে নাই। এমন অথর্ব মানুষ যারা নিজের জীবনে শান্তি আনতে পারেনা তারা অপরের জন্য কি করবে? অনেকেই দেনমোহরের টাকার প্রশ্ন তুলেছে, আচ্ছা আমরা যখন কিছু বিক্রি করতে যাই তখন কি ইচ্ছে করে কম দামে বিক্রি করি? আবার যখন কিনতে যাই তখন কি ইচ্ছে করে বেশি দামে কিনে আনি? এবার সবাই আমার মুণ্ডুপাত করবে আর বলে বিয়ে কোন বেচাকেনা না, তাহলে ভাই এই লাখ লাখ টাকার মানে কি? আর যার এই টাকা দেয়ার ক্ষমতা নাই সে কেন মেনে নেয়?

আমাদের এই নাবালক জাতি এখনো নিজেদের সংস্কারের দিকে মন না দিয়ে অপরের ভুল নিয়ে গল্প করতে পছন্দ করে, যা আমাদের দিনে দিনে উন্নতির দিকে না নিয়ে অবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পরিবার এবং সমাজ ছোট বেলা থেকেই আমাদের পরনির্ভরশীলতা শিখায়। এখনো একটা মেয়ে এই মানসিকতা নিয়ে বড় হয় যে একদিন সে আরেক জনের বউ হয়ে সংসার করবে। তার নিজের জীবন বলতে কিছু যে আছে সেটা মনে রাখেনা। এই পরনির্ভরশীলতা আমাদের মাঝ থেকে যতদিন বিলুপ্ত না হবে, সবাই নিজের ভার নিজে না বহন করবো ততদিনে এমন সব ঘটনা বন্ধ হবেনা।

আমাদের সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, অপরের না নিজেদের ভালোমন্দ নিয়ে চিন্তা করার আলোচনা করার ইচ্ছে হোক।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×