somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘আটাশে জুন, এক অভিনব মানুষ ড. ইউনূসের জন্মদিন’

২৮ শে জুন, ২০০৮ রাত ১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


চট্টগ্রামের সম্ভ্রান্ত সওদাগর পরিবারে পিতা দুলা মিয়া সওদাগর ও মাতা সুফিয়া খাতুনের নয় সন্তানের মধ্যে তৃতীয় যে সন্তানটি ১৯৪০ সালের ২৮ জুন এই পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হলো, কেউ কি কল্পনায়ও ভাবতে পেরেছে তখন, এই ছেলেই একদিন স্বপ্নের বাতিঅলা হয়ে বিশ্বের শীর্ষ মর্যাদাসম্পন্ন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয় করে বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশকে নিমেষেই অভূতপূর্ব মর্যাদায় আসীন করে দেবে ! আর কেই বা বাঙালীর দ্বিধার জড়তা ভেঙে আবারও পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে সেই সাহসী মন্ত্র উচ্চারণ করবেন- আমরা পারি... !

তিনি প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আমাদের স্বাপ্নিক পুরুষ। মায়ের কড়া শাসনের মধ্যে শৈশবে তাঁর মধ্যে যে শৃঙ্খলাবোধ গড়ে ওঠে, আজীবন তাই তাঁকে একটা সুশৃঙ্খল কর্মে চিন্তায় ও জীবন যাপনে সার্থকভাবে চালিত করে। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য সংগীত চিত্রকলা ও বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর ছিলো তীব্র ঝোঁক। লামারবাজার অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় দিয়ে যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু, তারপর থেকে সব পর্যায়েই অসাধারণ মেধার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন তিনি। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে থাকতেই তেরো বছর বয়সে বয়স্কাউটের জাতীয় সমাবেশ জাম্বুরিতে যোগদানের জন্য ১৯৫৩ সালে করাচি ভ্রমন করেন। বয়স্কাউট হিসেবে ১৯৫৫ সালে কানাডা ও ১৯৫৯ সালে ফিলিপাইন ও জাপান সফর করেন। এভাবেই তাঁর মধ্যে নেতৃত্বগুনের বিকাশ ঘটে। ১৯৫৫তে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হয়ে ‘দু’পাতা’ নামে একটা লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদনা শুরু করেন। এ সময় তিনি কলেজের ‘সম্মিলিত ছাত্র প্রগতি সংঘের’ নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৬১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। এরই মধ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের যাবতীয় শিল্পজাত দ্রব্যের জন্য আবশ্যক প্যাকেজিং সামগ্রির পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আমদানি নির্ভরতা কমানোর জন্য ১৯৬৪ সালে একটি প্যাকেজিং শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন যা প্যাকেজিং সামগ্রির চাহিদা মেটাতে অনেকটা সক্ষম হয় এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৬৫ সালের মাঝামাঝি উচ্চশিক্ষার জন্য ফুলব্রাইট বৃত্তি নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমান এবং ভেন্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। আমেরিকায় থাকাকালীন তিনি কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় ও মধ্য টেনেসি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতায় নিযুক্ত থাকেন। এবং ১৯৭০ সালে তিনি রাশান বংশোদ্ভুত আমেরিকান নাগরিক ভিরা ফোরোস্টেনকোর সাথে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন।

১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি আমেরিকায মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আত্মনিয়োগকরেন। অর্থ সংগ্রহ আন্দোলন, প্রচারণা ও জনমত গঠনে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশ নাগরিক সমিতির সচিব ও দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষে প্রকাশিত সংকলন সম্পাদনার দায়িত্বও পালন করেন। অত্যন্ত গভীর দেশপ্রেম তাঁর। উচ্চতর লেখাপড়া এবং অধ্যাপনার সুবাদে পৃথিবীর সবচে’ উন্নত দেশের দেয়া সুযোগ ও আকর্ষণীয় সুবিধা সে দেশে তাঁকে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করতে পারে নি। ঘরের ছেলে ঘরেই ফিরে এসেছেন।

১৯৭২ সালে দেশে ফিরে সরকারের পরিকল্পনা কমিশনে যোগ দেন। অফিসে পেপার পড়া ছাড়া আর কোন কাজ না থাকায় কর্মহীন দিনগুলো কর্মপাগল ইউনূসকে ব্যথিত করে তোলে। এক পর্যায়ে কমিশনের দায়িত্বে ইস্তফা দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে তিনি চট্টগ্রামে চলে যান। আর এটাই ছিলো তাঁর জীবনের অন্যতম টার্নিং পয়েণ্ট।

যেভাবে একটি স্বপ্নের শুরু
ছাত্রদের অর্থনীতির পাঠ দিতে গিয়ে তাত্ত্বিক অর্থনীতির সাথে ব্যবহারিক অর্থনীতির যে বৈষম্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তা তাঁকে ভীষণভাবে ভাবিয়ে তোলে। বিশেষ করে ১৯৭৪ সালে সৃষ্ট বাংলাদেশের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের হাত ধরেই ড. ইউনূসের চিন্তা জগতে উন্মেষ ঘটে নতুন ভাবনার। ক্ষুধায় মারীতে মানুষের এতো মৃত্যু দেখে ভীষণ বিব্রত তিনি উপায় খুঁজতে গিয়ে প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে বিনাচাষে পড়ে থাকা বিস্তীর্ণ আবাদযোগ্য জমিতে প্রয়োজনীয় ফসল ফলানোর উদ্যোগ হিসেবে ‘নবযুগ তেভাগা খামার’ আন্দোলন শুরু করেন এবং এতে সুফলও পান। পরবর্তীতে শ্রমসম্বল দরিদ্র মানুষগুলোকে মহাজনী জোঁকের হাত থেকে উদ্ধার করার নিমিত্তে কাজ করতে গিয়ে প্রথমে যে বোধোদয়টি তাঁর হলো, প্রচলিত নিয়মে যাদের অর্থ আছে, জামানত দেয়ার যোগ্যতা আছে তারাই ব্যাংক থেকে ঋণ পাবেন, যার নেই তিনি পাবেন না। তাহলে রাষ্ট্রের এতোগুলো ব্যাংক কার স্বার্থে ? তিনি এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন এবং সদম্ভে ঘোষণা করলেন, ‘ঋণ মানুষের মৌলিক অধিকার।’ কিন্তু রাষ্ট্রের এখানে কিছুই করণীয় নাই জেনে এবার নিজেই উল্টো স্রোতের কাণ্ডারি হয়ে ওঠলেন। স্থানীয় জোবরা গ্রামের ৪২টি হতদরিদ্র পরিবারকে নিজের পকেট থেকে মাত্র ৮৫৬ টাকা দৈনিক কিস্তিতে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে তিনি ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম শুরু করলেন। এর সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭৬ সালের আগষ্ট মাসে চট্টগ্রামের বুড়িশ্চর ইউনিয়নের এই জোবরা গ্রামেই একটি প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্প হিসেবে এককালে বিশ্বখ্যাত হয়ে ওঠা এই গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্পের শুরু।

১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমর্থনে প্রকল্পটি টাঙ্গাইলের সুরুয গ্রামে সম্প্রসারণ ঘটে। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ)-এর আর্থিক সহায়তায় ১৯৮২ সালে প্রকল্পটি ঢাকা, রংপুর এবং পটুয়াখালী জেলায় সম্প্রসারিত হয়। সাফল্যের সাথে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার প্রেক্ষিতে ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকল্পটিকে গ্রামীণ ব্যাংক নামকরণ করে একটি বিশেষায়িত ঋণদান প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের জন্য বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৮৩ জারি করা হয় এবং একটি স্বতন্ত্র ব্যাংক হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। অনেক কাঠখড় পোড়ানো অদম্য ইচ্ছা, অটুট মনোবল আর দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের মধ্য দিয়ে অতঃপর পেরিয়ে গেলো আরো প্রায় পঁচিশটি বছর, সিকি শতাব্দি। ইতোমধ্যে ড. ইউনূস হয়ে ওঠলেন বিশ্বজয়ী ক্ষুদ্রঋণের স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রায়োগিক অর্থনীতির রূপকার একজন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব। প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জামানতবিহীন ঋণ প্রদানের ঘোষণা দিলে যাঁকে একদিন অনেকেই ‘পাগল’ সম্বোধন করতেও দ্বিধা করে নি, তাঁরাই চোখ কপালে তুলে হাঁ করে দেখতে লাগলো কীভাবে কালে কালে ঈর্ষণীয় সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠলো ড. ইউনূসের স্বীকৃতির ঝুলি। বিশ্বের সব সেরা স্বীকৃতি ও পুরস্কার অর্জনে বাদ না পড়া ইউনূসের সত্তরেরও অধিকটি পুরস্কার ও এওয়ার্ডের সুদীর্ঘ তালিকার ধারে কাছেও পৌঁছতে পারে এমন ব্যক্তি গিনেজ বুক অব রেকর্ডসেও আর কেউ নেই। বিশ্বমানচিত্রে যেন ড. ইউনূস ও বাংলাদেশ মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে।

ব্যক্তিগতভাবে মাত্র ৮৫৬ টাকা দিয়ে যে স্বপ্নের শুরু, তাই কালে কালে আজ জোবরা থেকে বিশ্ব জয় করে অসলোতে গিয়ে ছুঁয়েছে তার আলো। নতুন নতুন চিন্তা ও ধ্যান ধারণা নিয়ে আজীবন স্রোতের বিপরীতে চলা এই বাঙালী সন্তান প্রচলিত অর্থে কখনোই বিতর্কের উর্ধ্বে থাকেন নি যদিও, বলা যায় সবসময়ই নিজকে দেশ জাতি ও মানুষের প্রশ্নমুখর মনোযোগের কেন্দ্রে রেখেছেন এবং রাখছেনও, তবু রবীন্দ্রনাথের পর আর কোন বাঙালী দেশ ও জাতিকে বিশ্বমানচিত্রে মর্যাদার এতোটা উঁচুতে তুলে নিতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। আর তাই এ জাতির সন্তান হিসেবে তাঁর কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। চলমান আবেগ, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি চিন্তাচেতনা, সংকীর্ণ স্বার্থপরতা দিয়ে মেধা ও মননে বলীয়ান ড. ইউনূসের মতো একজন নির্লোভ নিরহঙ্কারী সৃজনশীল ব্যক্তিত্বের মূল্যায়ন হয়তো সম্ভব নয়। এ জন্যে আমাদেরকে সময়ের নিরপেক্ষ সিদ্ধান্তের জন্য হয়তো আরো বহুদিন অপেক্ষা করতে হবে। অথচ ‘দুনিয়ায় কেউ গরীব থাকবে না, গরীব না থাকাই মানুষের অধিকার’- এই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ড. ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ বা মাইক্রো ক্রেডিটের জনক হিসেবে বিশ্বস্বীকৃত। তাঁর হাত ধরেই ১৯৮০ সালের পর ডিকশনারিতে যোগ হয় ‘micro-cradit+’ শব্দটি। তবে বর্তমানে এটিকে ‘micro finance’ নামেও অভিহিত করার আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি দরিদ্র মানুষ সহ বিশ্বের ১৩১ টি দেশের ১২ কোটিরও অধিক মানুষ তাদের ভাগ্যোন্নয়নে বর্তমানে এই ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির আওতায় এসেছে। ড. ইউনূসের এ ক্ষুদ্রঋণতত্ত্বের সাফল্য গাঁথাকে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘ ২০০৫ সালকে ‘আন্তর্জাতিক ক্ষুদ্রঋণ বর্ষ’ হিসেবেও পালন করে।

১৩ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে পুরস্কার ঘোষণার প্রাক্কালে নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ওলে ডানবোল্ট মিউস তাঁর সাইটেশনে বলেন-
“নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে।
বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যের চক্র ভেঙে বের করে আনার পথ দেখাতে না পারলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জন সম্ভব নয়। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি সে রকমের একটি পথের দিশা। এ পথে আনা উন্নয়ন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অগ্রগতিকেও গতিশীল করে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, পৃথিবীর অনেক দেশেই কোটি মানুষের স্বার্থে স্বপ্নের বাস্তব প্রয়োগে মুহাম্মদ ইউনূস নিজের নেতৃত্ব গুনের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। জামানত ছাড়াই দরিদ্র মানুষকে ঋণ দেয়া অসম্ভব একটি ধারণাই ছিলো। তিন দশক আগে যাত্রা শুরু করে গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে ইউনূস প্রথমবারের মতো এ অসম্ভব ধারণাকেই শুধু ভাঙেন নি, তিনি ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচিকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হাতিয়ার হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছেন।.............”

এ ঘোষণার পরপরই বিশ্বের সবক’টা মিডিয়ায় যে ভাবে ড. ইউনূস ও বাংলাদেশকে বিরাট কৌতূহল নিয়ে প্রত্যক্ষ করলো সবাই, নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করলো, দেশে বিদেশে অভিনন্দনের স্রোত বইলো তাতে ড. ইউনূসকে নিয়ে আমাদের যতো বিতর্কই থাকুক না কেন, বাঙালী হিসেবে আমাদের বুকের ছাতিটা সত্যিই দশগুন বড় হয়ে যায় বৈ কি। আর সর্বশেষ সেদিন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ক্যামব্রিজ প্রোগ্রাম ফর ইন্ডাস্ট্রির (সিপিআই) ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা তালিকায়ও বিশ্বের ৫০ জন অগ্রণী চিন্তকের অন্যতম চিন্তক হিসেবে ঘোষণা করা হলো প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নাম।

কেউ কি জানে, এরকম আলোকিত আরেকটা সন্তানের জন্য একটা জাতিকে কতোকাল অপেক্ষা করে থাকতে হয় ?

২৮ জুন তাঁর শুভ জন্মদিন। এই দিনে তাঁকে জানাই আনত শ্রদ্ধায় মোড়ানো কৃতজ্ঞ শুভেচ্ছা। আরো অনেক অনেক কাল আমাদেরকে আলোকিত করে রাখুন তিনি।
২১টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×