এখানে ক্লিক করুন কুষ্টিয়ায় ২০০৯ সালের নভেম্বরে একে-৪৭ রাইফেল, অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করা শহর আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের মহিলা শাখা প্রধান তাসলিমা খান আঁখিসহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন কুষ্টিয়ার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো তাসলিমা খান আঁখি, তার দেহরক্ষী কুষ্টিয়া হাউজিংয়ের রানী খাতুন, কালিশংকরপুরের আবদুর রাজ্জাক ও আক্কাছ আলী মোল্লা। অপর আসামি মাইক্রোচালক শাহিনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
২০০৯ সালের ২ নভেম্বর রাতে শহরের ত্রিমোহনীতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একটি মাইক্রোবাস তল্লাশি করে কুষ্টিয়া শহর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা শহরের আড়ুয়াপাড়ার ওমর হায়দার কোহিনূরের স্ত্রী তাসলিমা খান আঁখিকে একটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি শটগান ও ৬৬ রাউন্ড একে ৪৭-এর গুলি, ১৬ রাউন্ড শটগানের গুলিসহ আটক করে। ওই সময় পুলিশ তার সহযোগী রানী, রাজ্জাক, আক্কাছ, শাহিনকেও গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া সদর থানায় মামলা হয়। কুষ্টিয়ার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ২৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যে সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন ও অস্ত্র রাখার সহায়তার অপরাধে ১০ বছর করে ৪ জনকে সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
তাসলিমা খান আঁখি গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত আলোচিত চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের নারী সেলের প্রধান হিসেবে কাজ করছিল। তার নেতৃত্বে নারী চরমপন্থীরা কুষ্টিয়াসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় অপহরণ, অস্ত্র বহনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতার হওয়ার পর আঁখিকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। রায় ঘোষণার সময় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় আদালত প্রাঙ্গণে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


