বিএনপির হতাশার পালকে যুক্ত হল আরেকটি বিষয় : শমশের মবিনের পদত্যাগ। শমশের মবিন বিএনপির রাজনীতিতে ততটা পুরোনো নন। এর আগে বি চৌধুরী, অলি আহমেদের মত জন্মলগ্নের মানুষজন পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু তখন বিএনপি ছিল ক্ষমতায়। আজ এখন দেশে যেখানে রাজনীতি প্রায় শূন্য, সেখানে শমশেরের পদত্যাগ মড়ার উপরে খাড়ার ঘা মাত্র।
পদত্যাগ করা একদিক থেকে ভাল। কারন সরকারের রোষানল থেকে আপাত মুক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি যে প্রায় শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে - তার থেকে মুক্তির উপায় কি? রাজনীতি হীনতা কোন সমাধান নয়, তা পাকিস্তানকে ক্ষতির চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশেও এই রাজনীতি হীনতার কুফল শুরু হয়েছে জংগিবাদ বিস্তারের মাধ্যমে। সরকার থেকে বলা হচ্ছে বিদেশী নাগরিক হত্যার সাথে বিএনপি জড়িত। এটা প্রমান সাপেক্ষ। কিন্তু নাস্তিক ব্লগার? শিয়াদের তাজিয়া মিছিল? জংগি হামলা থেকে তো কিছুই বাকী নেই।
৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জন করে বিএণপি সবচেয়ে সঠিক কাজটি করেছিল। এতদিনে তো এটা পরিষ্কার যে ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপি কে জোর করেই হারানো হত। যেমনটি উপজেলা কিংবা মেয়র নির্বাচনে পরবর্তীতে দেখা গিয়েছে। সামনের ডিসেম্বরে আসছে পৌর সভা নির্বাচন। সেখানেও বিএনপিকে অংশ নিতে হবে। নাহলে তৃনমূল পর্যায়ে বিদ্রোহ শুরু হতে পারে। এছাড়া ভোট কেন্দ্র দখলের দৃশ্যগুলোও পত্রিকায় আসবে যদি বিএনপি অংশ নেয়। দলীয় প্রতীক নিয়ে বিএনপি আপত্তি তুলেছে । কিন্তু দলীয় প্রতীকের বিষয়টি খুব বেশী গুরুত্বপূর্ন নয়, কারন বিভিন্ন নির্বাচনে এতদিন বিএনপির ব্যানারে প্রার্থী দাড়িয়েছিল। এবার তার সাথে যুক্ত হবে প্রতীক।
কিছুদিন আগে ছাত্রদলের প্রাক্তন নেতা নীরুর সাক্ষাতকার দেখলাম যে তিনি আবার ফেরত আসছেন। খবরটি আশাপ্রদ নি:সন্দেহে। মাঠপর্যায় থেকে উঠে আসা নেতারা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য আদর্শ। তারা জানেন কি করে কঠিন সময়ে টিকে থাকতে হয়। এমনি করেই চলবে বিএনপির টিকে থাকার পরীক্ষা। সরকারের দমননীতির এই শ্বাসরূদ্ধকর অবস্থা একদিন শেষ হবে ইনশাল্লাহ। মনে রাখা দরকার, সরকার ক্ষমতায় থাকলেও তাদের কোন জনসমর্থন নেই।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২৫