স্বপ্নে দেখি- ত্রিপুরা এক মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে।
লিপিকা নাম, প্রাচীন বাংলা ভাষার মতই শরীরের ঘ্রাণ,
আঁচলের নিচে বুদবুদের মতন ফুলে ওঠা ট্রান্সপারেন্ট নকশা-
দুর্বল লেমন ঘাস, 'গরুতে এসে খেয়ে যাবে'- ভেবে সাময়িক উত্তেজনায় প্রগাঢ় সতর্কতা,
লিপিকা ত্রিপুরা,
ঠোঁটের ব্যঞ্জনমাত্রিক হ্রস্ব-ফলা নাইলের মেটাফেজ দশায় জাগায় আমার প্রেমের সিক্সথ সেন্স,
আইওয়ায় নাকি এবছর প্রচুর গম হোলো, আমি বিশ্বাস করিনি ওকথা।
বাঙলাদেশে ব-এর মতন চ্যাপ্টা নাকের দ্বীপবাসী শ্রাগ কোরলে জ্যাক ক্যারুয়াক রাস্তা মাপতে মাপতে চলে যেতেন সুদূর রাঙামাটি-
আস্তিকের মতন একথায় আমি নির্লিপ্ত সায় দেই-
যেহেতু লিপিকা আমায় শরীরী ভাষায় বোলেছিল- 'শায়েস্তা খানের আমলে প্রেমও নাকি সস্তা ছিল, নইলে অমন কোরে কেউ শয্যা নেয়? '
লিপিকা ত্রিপুরা, এবার শোনো-
বাম চোখ বুজে পায়ের পাতায় দৃষ্টি মেললে সর্বাগ্রে বাম পা-ই ফোকাসে ষষ্ঠ সিম্ফোনি ক্রিয়েট করে।
এক ইন্দ্রিয় তোমার আমার সন্নিহিত বাহু, ত্রিভুজ হোতে হোলে হৃদয়কে হোতে হবে পার্পেন্ডিক্যুলার।
আদিবাসী বল পয়েন্টে কি চমৎকার লেখা যায় স্বতঃস্ফূর্ত এক কাব্য-
লিপিকা লিপিকা লিপিকা, দ-এর মতন বাঙলায় তুমি বিশুদ্ধ এক রমণী-
আমার ঐশ্বর্যে নুডলস-চুল নিয়ে তুমি কেঁদে কেঁদে চোখ হতবাক-
আমি কি খুব কষ্ট দেই লিপিকা?
শ্লোকের মতন ভ্রু, আর নৈঃশব্দ্যের মতন কয়েকজোড়া দীর্ঘশ্বাস -
আমার স্তব্ধতাকে করুণা ভেবে ট্রাপিজিয়ামের মতন অভিমান নিয়ে টেনে টেনে বোললে- 'এবারেই চক্র পূর্ণ হোক, হে ঈশ্বর! '
ঈশ্বর কথা রেখেছেন লিপিকা ত্রিপুরা,
আমার কফিনের ওপর মায়ানমারের সেতু লেপ্টে আছে, আরেকটু দূরেই স্বর্গীয় প্রেম
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৪