দেহনগর রাজ্যের দুই অংশ নিয়ে রাজা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে কয়েকদিন। রাজ্যের শক্তিঘর হিসেবে পরিচিত দুই অংশ পেটপুর আর হেডপুর। পেটপুরে কিছুদিন যাবত প্রচণ্ড বাতাস বইছে, তাতে রাজ্যের অবস্থা খুবই খারাপ । লোকজন প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছে বাতাসের তেজে। এদিকে হেডপুর অংশে শুরু হয়েছে প্রচণ্ড গরম। আর এই তাপদাহতে মাটি হয়ে উঠছে উত্তপ্ত, জীবন হয়ে উঠেছে অতিষ্ঠ ।
রাজা কি করবে ভেবে উঠতে পারছেন না। অবশেষে খবর দেয়া রাজ্যের প্রধান জ্যোতিষী প্রানগোপাল দত্তকে। তিনি গণনা করলেন। তারপরে তিনি বললেন, রাজপুত্র সেকলো যদি পেটপুরে ও রাজকন্যা নাপা কে যদি হেডপুরে বাতাস ও গরমের সাথে যুদ্ধে পাঠানো হয় , তবেই এই অনর্থ থেকে রাজ্যের এই দুই অংশ কে রক্ষা করা সম্ভব। তবে এতে তাদের প্রান নাশের আশঙ্কা রয়েছে। রাজা মানসিকভাবে খুবই ভেঙ্গে পড়লেন। তবে এসব শুনে অবশেষে এগিয়ে এলো, রাজপুত্র সেকলো ও রাজকন্যা নাপা। তাঁরা রাজাকে বোঝাতে সমর্থ হলেন এই বলে যে, রাজ্য রক্ষাই যদি না হল তবে রাজপুত্র, রাজকন্যা হয়ে কি লাভ? কষ্ট হলেও রাজা মেনে নিলেন।
অবশেষে বাতাস ও তাপদাহের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হল রাজপুত্র সেকলো ও রাজকন্যা নাপা। সে কি যুদ্ধ! রাজপুত্র সেকলো যুদ্ধে বাতাস কে হারিয়ে দিল খুব তাড়াতাড়ি তবে, রাজপুত্রের প্রান নিঃশেষ হয়ে গেল তাড়াতাড়ি। আর বাতাস যাওয়ার সময় , এই বীরযোদ্ধা কে নিয়ে গেল তাদের দেশে।
অন্যদিকে রাজকন্যা নাপা প্রাণপণে চেষ্টা করে যাচ্ছিল তাপদাহ কে হারানোর। কিন্তু তাপদাহ কে হারাতে গিয়ে নিজেই আস্তে আস্তে মোমের মত গলে যাচ্ছিল রাজকন্যা নাপা। অবশেষে গরম হারল ঠিকই কিন্তু রাজকন্যাও নিজের প্রান বিসর্জন দিল।
আর সেই থেকে প্রতিবছর রাজ্যের হেডপুর আর পেটপুর অংশে নিয়ম করে রাজপুত্র সেকলো ও রাজকন্যা নাপাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে থাকে এলাকার সাধারণ মানুষ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬