মানুষ পৃথিবীতে আশা নিয়ে বেচে থাকে । আষঃআ _ই জীবনের চালিকা শক্তি । কিন্তু মজার বিষয় এই আশা -ই জীবনের সব দু:খ কষ্টের মূল । মানুষ আশা করে - পেলে তো খুশী আর না পেলে মনোক্ষ্ট শুরু হয় । এই আশা আর না পাওয়া দীর্ঘায়িত হলে শুরু হয় হতাশা । কথা হচ্ছে এত কিছুর দরকার টা কি বাবা ? জীবনে সুখী হওয়াটাই আসল । যে আশার কারণে জীবনে কষ্ট বাড়ে তা পুশে রেখে - লালন পাল করে কষ্ট বৃদ্ধি করার মানে টা কি ? আশাও নেই - হতাশাও নেই । জীবনকে যত বেশী আশা মুক্ত রাখা যায় ঝীবন ততই সুখের - ততই আনন্দের ।
খাদ্য - বস্ত্র আশ্রয় - নিরাপত্তার মত বিষয় গুলোর জন্য চেষ্টা তো করতেই হবে , আর এগুলোর চিন্তা মাথা থেকে বাদ দেওয়াটাও ভাল লক্ষণ না। এগুলোর চিন্তা - পরিকল্পনা - আশা এগুলোও সহজাত ভাবে এসে যায় । কিন্তু এগুলোর বাইরেও আধুনিক বিশ্বে মানুষের চাওয়া পাওয়া - আশা - আকাংখার শেষ নেই । আর কষ্টের শুরু সেখান থেকেই । এমনকি খাদ্য - আশ্রয় বা এমন মৌলিক বিষয়গুলো নিয়েও আশা পূর্ণ না হলে - হতাশা পালনের কোন প্রয়োজন নেই । যতটুকু হয়েছে -সেটা নিয়ে খুশী থাকাই ভাল । চেষ্টা করতে তো দোষ নেই , কিন্তু লম্বা লম্বা পরিকল্পনা করে কষ্ট পালনের ও কোন মানে নেই । কারণ একটাই জীবনকে সহজ ও সুখী করাটাই আসল । যে বিষয়গুলো কষ্টের কারণ হয় সেগুলো মন থেকে ঝেরে ফেলার কোন বিকল্প নেই ।
মানুষের আশা ভংগের কারণে সবচেয়ে কষ্ট পায় কাছের লোকদের কাছ থেকে। মা -বাবা , ভাই বোন , স্বামী - স্ত্রী , সন্তাণ - সন্ততি । প্রশ্ন হচ্ছে কাছের লোকদের কাছেও আশা করে লাভটা কি ? কেউ ষডি কিছু করে , তবে সে তো এমনিতেই করবে । শুধু শুধু আশা করে কষ্ট বাড়ানোর দরকার টা কি ? জীবন চলবেই । এখাবে সবাই ভাল আচরণ করবে না । কখনও মা - বাবা, কখনও স্বামী -ষ্ত্রী , কখনও সন্তান যথাযথ আচরণ করবে না - এটাই সত্য । আমি আশা করলেও তা করবে না , না করলেও করবে না । সবাই স্বাধীন । সে যা করার তাই করবে । যর মনে যা ভাল লাগে সে তো তাই করবে । প্রত্যেকেই নিজের বিষয়ৎাই আগে দেখে - এবং দেখবে । এটাই স্বাভাবিক । আমাকে আমার মতই বাচতে হবে । অন্যের আচরণে নিজে কষ্ট বয়ে বেড়ানোর মানে টা কি ?
কেউ যদি অন্যায় আচরণ করে , অন্যায় আচরণেই অভ্যস্ত হয় , তবে সে সেটা করবেই । আমি কষ্ট পেলেও করবে - না পেলেও করবে । তাহলে কষ্ট নেওয়ার মানে টা কি ? পৃথিবীর বেশীর ভাগ মানুষ-ই প্রত্যাশিট আচরন রটা সম্পাদন করে না । এটাই সত্য। এটাকে মেন নেওয়াটাই জীবনকে সহজ করে । বাসে বা ট্রেণে চলার সময় আমরা স হযাত্রীদের কাছ থেকে খুব বেশী কিছু প্রত্যাশা করি না , পরিবারে করি । পরিবারের লোকদের একটা দীর্ঘ সফরের সফর সংগী মনে করলেই হল । এর মাঝে কেউ কেউ খুব ভাল হবে । ন্যায় সংগত - যৌক্তিক আচরণ করবে । তবে বেশীর ভাগ লোকই এমনটা না । তদের যা করার তাই করবে । তাই প্রত্যাশাটা ঝেড়ে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ । সুখী হওয়ার উপায় ।
মুল কথা নিজের অস্তিত্ব আর সত্ত্বাকে মুল্য দিয়ে - তাকে সহজ ও সুখী একটা জীবন দিতে হবে । যারা কষ্ট দায়ক তাদের কষ্টকে গুরুত্ব দেবার কিছু নেই । তার দেওয়া কষ্ট থেকে আমার নিজের জীবন অনেক গুরুত্বপূর্ন । সেটাকে গুরুত্ব দিতে হবে - মন্দ লোকদের ইগনোর করতে হবে - প্রয়োজনে স হযাত্রীর মত একসাথে চলতে হবে । কিছু করার নাই । বাসের সব যাত্রী আপনার পছন্দ মত হবে না । ম্যানেজ করেই চলতে হবে । মনে রাখতে হবে নিজের জীবনটাই সব চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ, সেটাকে দূর্বিসহ করে তোলা যাবে না কোন ভাবেই । জীবনে সুখী হওয়াটাই আসল ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫