শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার নিয়ে কথা বললেই হুমকি, ধামকি, হামলা, মামলা, বহিষ্কার- আরো যে কত কী! ন্যায়বিচার পাবার জন্য তাদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে হয়, আন্দোলন করতে হয় দিনের পর দিন। ছাত্রলীগের জুতার বারি আর পায়ের লাত্থি খেয়েই বাঁচতে হয়। পা জড়িয়ে ধরে বাঁচার জন্য কাকুতিমিনতি করেও শেষ রক্ষা হয় না। পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, কখনো লাঠিপেটা করে, গরমপানি ছিটিয়ে দেয়, কখনোবা টিয়ার শেল মেরে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
কিন্তু বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য, ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য শিক্ষার্থীরা আবারো সংঘবদ্ধ হয়, আন্দোলন করতে হয়। কিন্তু যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে শিক্ষার্থীদের ঘামে মাটি ভিজে যায়, কারো কারো রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। তবু ন্যায় বিচার মেলেনা!! অপেক্ষা করতে হয় অনন্তকাল, করি; তবু বৈষম্যের অবসান হয় না, কোটা থেকে মুক্তি মেলে না।
এভাবে আর কতো? আসলে শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই মুহূর্তে ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের হাতে মোটেও নিরাপদ নয় তার বাস্তব চিত্র কয়েকদিন থেকে দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলোর উপর আস্থার কোন প্রশ্নই উঠে না। তাই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হলে সঙ্গতভাবেই ছাত্রদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। যে অভিভাবকগণ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ- বিক্ষোভ করছেন তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলা মামলার নিন্দার পাশাপাশি এসব থেকে মুক্তির পথ হিসেবে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসবেন- এটাই স্বাভাবিক।