'নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন' ভবিষ্যতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উপর কী নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে তা ভাবতে গিয়ে ভয় লাগলেও ওরা মোটামুটি ভয়মুক্ত হয়েছে। বাচ্চা হলেও ওরা ক্ষমতাবানদের চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করতে শিখে গেছে। ভালোই হয়েছে; আমাদের ফিয়ারলেস একটা জেনারেশন দরকার ছিল। যারা গাড়ি থামাতে পারে, ভাঙ্গতে পারে আবার সড়কে কিভাবে আইন মেনে গাড়ি চালাতে হয় সেটিও শেখাতে পারে। ৪৭ বছর অন্ধকারে ঘুমিয়ে থাকা জাতিকে এরাই জাগিয়ে তুলবে, দিনের সোনালি আলো দেখাবে।
আগামিতে ওরা যা করবে বলে মনে হয় ...
স্কুলে বা এলাকায় মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় এলে তাকে স্বাগত জানানোর জন্য শিক্ষার্থীদের রোদে পুড়ে বা বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তায় লম্বা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার যে ট্রেন্ড বাংলাদেশে চালু আছে তা পরিবর্তনের সময় এসে গেছে। এধরনের কুসংস্কারে আচ্ছন্ন মানবতাহীন সম্মান প্রথা আমাদের মেরুদণ্ডহীন শিক্ষক মহল কোনদিন ভাঙ্গতে পারবে না। যা স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এক মুহূর্তে ধুলায় উড়িয়ে দিতে পারে; দেবেও।
বিশ্বাস করি, আমাদের অপদার্থ সিনিয়র জেনারেশন থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট ম্যচুউড। ওদের পাশে থাকা আমাদের সকলের দায়িত্ব। তাছাড়া রাস্তায় স্বার্থান্বেষী পিচাশ মহল ক্ষতি করবার জন্য ওতপেতে আছে। সারাজীবন দর্শকের ভূমিকা পালন না করে এবার উচিত ওদের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে বলা we want justice.