বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কাঙ্খিত পুরস্কারটি এক ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার তৎপর্য ও গুরুত্ব শুধু যে উচু, মধ্য ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষরাই বুঝেছেন, তা নয়- এমনকি শ্রমজীবী মানুষরা এবং মাঠ পযর্ায়ের অশিক্ষিত মানুষরাও এই খবরে উল্লসিত হয়েছেন। তারা সবাই পথের পাশে চায়ের স্টলগুলোতে, ফুটপাথে, হকার্স মার্কেটে, মুদির দোকানে, প্রায় সব জায়গাতেই ড. ইউনূসের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি বিষয়ে কথা বলছেন। তারা যেন হঠাৎ আশার আলোর ঝলকানি দেখেছেন। তবে তারা কিছু প্রশ্নও তুলেছেন।
ড. ইউনূস কি একটি নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করবেন? তার কি রাজনৈতিক দল গঠন করা উচিত?
পরবতর্ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কি তার হওয়া উচিত?
তিনি কেন শান্তির জন্য নোবেল পেলেন? অর্থনীতির জন্য কেন পেলেন না? গ্রামীণ ব্যাংকের কাজকর্ম তো অর্থ নিয়েই।
এ পুরস্কারের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরে আমেরিকানদের বিশেষ কিছু সুযোগ সুবিধা দেয়ার কোনো সম্পর্ক আছে কি? এ পুরস্কার কি একটি আমেরিকান চক্রান্ত্ত?
উত্তর যাই হোক না কেন, এই গণবিতর্ক থেকে এটা স্পষ্ট যে, নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিটি শুধু স্বদেশেই নয় বিদেশেও বহুল আলোচিত। আর এটাও দেখা যাচ্ছে, এই পুরস্কারটি পাওয়ার সম্ভাবনা অন্য যাদের ছিল তারা ক্রমেই আলোচনা থেকে বাদ পড়ে গিয়েছেন।
অলিম্পিক গেমস সম্পর্কে অনেকে বলেন, জয় অথবা পরাজয়টা মুখ্য নয়- আসল কথা হলো প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়াটা। দুঃখের বিষয়, নোবেল পুরস্কার নিয়ে যারা আলোচনা করেন, তারা এ মহান নীতিবাক্যটি ভুলে যান। তারা মনে করেন, নোবেল পাওয়াটা হচ্ছে একটা বড় ঘটনা এবং নোবেল না পাওয়াটা হচ্ছে একটা দুর্ঘটনা। এরা ভুলে যান কোনো বিশেষ সময়ে কোনো একটি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবার জন্য কাউকে নোবেল দেয়া হয় না। নোবেল দেয়া হয় কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে তার এবং তাদের দীর্ঘ সময়ব্যাপী কাজের জন্য। নোবেল একাডেমির নির্বাচিত ভোটাররা ভোট দেন এবং বিজয়ী স্থির করেন। এসব ভোটারের নাম কেউ কোনোদিনই জানবে না সেই শর্তটি আরোপ করেন নোবেল একাডেমি।
তাই এই বছর যখন নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্য ড. ইউনূস সংবর্ধিত ও আলোচিত হচ্ছেন, তখন নোবেল যারা পাননি, তারাও আলোচনার মধ্যে কিছুটা হলেও এসে যাচ্ছেন। যেমন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুপার মার্কেট চেইন ওয়াল মার্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়ালটন, যিনি তৃতীয় বিশ্বে গরিব মানুষের জন্য বহু চাকরি সৃষ্টি করেছেন এবং যার ফলে সেখানে সন্ত্রাস কমেছে, তিনি কেন নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন না?
পপ কনসার্ট আয়োজক স্যার বব গেলডফ এবং পপ মিউজিশিয়ান বনো- উভয়েই আফৃকার গরিব মানুষদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। কেন তারা এই পুরস্কার পেলেন না?
বিল ক্লিনটন যদিও ইসরেল-প্যালেস্টাইন সমস্যার সমাধানে প্রচুর চেষ্টা সত্ত্বেও ব্যর্থ হয়েছেন, তবুও তিনি তো এখনো বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনিইবা কেন পুরস্কারটি পেলেন না?
আর হ্যা, শেখ হাসিনা ওয়াজেদ যার শাসন আমলে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- তিনিই বা কেন শান্তি পুরস্কারটি পাননি?
আমি বিশ্বাস করি, স্যাম ওয়ালটন, বব গেলডফ এবং বনো হয়তো একদিন নোবেল শান্তি পুরস্কার পাবেন। এমনকি বিল ক্লিনটনও হয়তো পাবেন- কারণ তিনি এমন একজন মানুষ যিনি প্রতিকূল অবস্থাতে লড়াই করে বিজয়ী হন। মিজ মনিকা লুইনিস্কি সম্পর্কিত কেলেঙ্কারির পরেও তিনি মুষড়ে পড়েননি। বিল ক্লিনটন চালিয়ে যাচ্ছেন তার আন্তজর্াতিক শান্তি উদ্যম।
কিন্তু শেখ হাসিনার বিষয়টি কি? তিনি কি কখনো নোবেল শান্তি পুরস্কার পাবেন? এই সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে বড় পুরস্কারটি কি চিরকালই তার হাতছাড়া হয়ে যাবে?
এখানে পাঠকদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে, শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতাসীন ছিলেন তখন প্রায়ই শোনা যেতো তিনি এই পুরস্কারটির জন্য মনোনীত হয়েছেন এবং পুরস্কারটি পাবেন। এর ফলে শেখ হাসিনার প্রতি তার সমর্থকদের আস্থা গভীর থেকে গভীরতর হয়েছিল। তারা সবাই ধরে নিয়েছিলেন, তাদের নেত্রী পুরস্কারটি পাবেন- সেটা শুধু সময়ের ব্যাপারমাত্র।
তাদের এই বিশ্বাসের যথার্থ কারণ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাসিনা প্রায় ডজনখানেক অনারারি ডক্টরেট ডিগ্রি সংগ্রহ করেছিলেন। তার সমর্থকরা মনে করতেন, বিদেশে শেখ হাসিনা খুবই প্রশংসিত ও শ্রদ্ধাভাজন নারী এবং স্বদেশে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি প্রতিষ্ঠায় সফল নেত্রী।
তখন এমন কথাও রটে গিয়েছিল যে নোবেল পুরস্কার যেন শেখ হাসিনা পেতে পারেন সে জন্য লবিইস্ট (Lobbyist বা fees (ফিস)-এর বিনিময়ে নিযুক্ত তদবিরকারী) দেরও নিয়োগ করা হয়েছে। তার আন্তজর্াতিক ভাবমূর্তি উন্নতির জন্য শেখ হাসিনা প্রায়ই বিদেশে যাচ্ছিলেন এবং থাকছিলেন। তার পাচ বছরের শাসন মেয়াদে প্রায় এক বছর তিনি বিদেশে ভ্রমণ ও থাকায় কাটিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তার সমর্থকদের লেখালেখিতে প্রায়ই বেরুচ্ছিল নোবেল প্রাপ্তির যৌক্তিকতা এবং আশাবাদ। শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি ও স্তুতি একটি নতুন উচু মাত্রায় ওঠে। এমনকি যারা তার সমর্থক নন- তারাও এক পযর্ায়ে মনে করতে থাকেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার বাংলাদেশের দিকেই ধেয়ে আসছে।
কিন্তু সব আন্তজর্াতিক লবিইং এবং জাতীয় হইচই নিষ্ফল হয়। শেখ হাসিনার ম্যানেজাররা অনারারি ডক্টরেট এবং আন্তজর্াতিক সেমিনার ও কনফারেনে যেখানে নামী দামী ব্যক্তিদের ভিড় হয়, নেত্রীর প্রচুর টৃপ ম্যানেজ করলেও তারা চূড়ান্ত সম্মানটি ম্যানেজ করতে পারেননি। শেখ হাসিনা পুরস্কারটি পাননি।
এই অঘটনটি এখন অনেকেই ভুলে গিয়েছেন। তবুও কেন যে তিনি পুরস্কারটি পাননি সেটা এখন শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ বিবেচনা করতে পারেন। এতে তাদের মঙ্গল হবে।
প্রথমত, অনারারি ডক্টরেট সহজেই ম্যানেজ করা যায়। কিন্তু নোবেল পুরস্কার ম্যানেজ করা কঠিন।
দ্বিতীয়ত, পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ করানোর জন্য শেখ হাসিনা যে ভালো উদ্যোগ নিয়েছিলেন সেটা, জয়নাল হাজারী, শামীম ওসমান, হাজি সেলিম প্রমুখ পেশি শক্তির অধিকারীদের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়ে তিনি বিরাট ভুল করেছিলেন। হাসিনার একটি কুখ্যাত উক্তি ছিল, "জয়নাল হাজারী ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।" তার এই উক্তি তার নিজেরই নেতাকমর্ীদের তখন হতাশ করেছিল। তাদের অনেকেই হাজারীকে ভয় করতেন এবং আওয়ামী লীগার হওয়া সত্ত্বেও হাজারীর এলাকায় যেতে ভয় করতেন। হাজারী ধরনের ব্যক্তি যাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, সস্ত্রাস ও হয়রানির অভিযোগ ছিল তাদের পক্ষে হাসিনার অবস্থান নেয়াটা তার পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি প্রচেষ্টাকে জিরো রেটেড বা শূন্য ফলাফলে ঠেলে দিয়েছিল।
তৃতীয়ত, আওয়ামী লীগের সহিংসতাপ্রবণ রাজনৈতিক আন্দোলন বিষয়ে মানুষের মনে বহুকাল যাবৎ একটি নেতিবাচক ধারণা বদ্ধমূল হয়ে আছে। আর এই ধারণাটিও দলীয় নেত্রীর নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিপক্ষে কাজ করেছে। সাধারণ মানুষ মনে করে, আওয়ামী লীগ তার রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে সব সময়ই হুমকি, উস্কানি এবং একটি গণআন্দোলনের জন্য তৈরি হয়ে আছে। এই আন্দোলনের মূল উপাদানগুলোর সঙ্গে দেশবাসী এখন পরিচিত। যেমন :
এক. হরতালের আগের রাতে মশাল মিছিল; বাস, কোচ এবং প্রাইভেট কারে অগি্ন-সংযোগ ও বোমাবাজি; দোকানপাট ও সম্পত্তি লুট ও ধ্বংস এবং এভাবে ওই দিন জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে দেয়া।
দুই. হরতালের দিন আবারও সরকারি পরিবহনগুলোতে অগি্ন-সংযোগ ও বোমাবাজি; নিরীহ সিএনজি, বাস, কারের ড্রাইভার ও যাত্রীদের আহত ও নিহত করার জন্য সহিংসতা।
তিন. হরতালের দিনে পেশিবহুল কমর্ী ও সমর্থকদের জড়ো করা। ইদানীং, হরতালের দিনে কিছু বেপরোয়া মহিলাকে রাজপথে পুলিশের সঙ্গে মারামারি করতে দেখা যায়।
চার. আরো পাবলিক এবং প্রাইভেট সম্পত্তি নষ্ট করা। গত দশকে ঢাকার কমার্শিয়াল/ইনডাস্টৃয়াল এরিয়াগুলোতে কাচে ঘেরা অনেক অফিস হয়েছে এবং ওগুলোও হরতালকারীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। ওগুলোর ধ্বংসস্তূপের প্রেস ফটোগ্রাফ সামনের আরেকটি 'সফল' হরতালের প্রমোশনাল বিজ্ঞাপনে পরিণত হয়।
এ আন্দোলন ম্যানিয়া শেখ হাসিনাকে পরিচিত করেছে অশান্তি বেগম হিসেবে।
শান্তি মানে পিস (Peace)। অশান্তি মানে ল্যাক অফ পিস (lack of peace বা শান্তির অভাব) অথবা অ্যান্টি-পিস (anti-peace বা শান্তি বিরোধী কোনো কিছু)। সে হিসেবে অশান্তি বেগম মানে দাড়ায় মিসেস অ্যান্টি-পিস।
তাহলে কিভাবে একজন মিসেস অ্যান্টি-পিস বা অশান্তি বেগম নোবেল প্রাইজ পেতে পারেন?
যদি হাসিনা প্রাইজ পাওয়ার ব্যাপারে সিরিয়াস হন, তাহলে তাকে অবশ্যই তার দলের আন্দোলনের কৌশল পরিবর্তন করতে হবে। সহিংসতা ও গোড়ামির রাজনীতির পরিবর্তন করতে হবে এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।
চতুর্থত, একজন নোবেল প্রাইজ প্রত্যাশীকে তার বাচনভঙ্গি ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনার অবস্থান ড. ইউনূসের পুরোপুরি বিপরীতে। ইউনূস তার ভালো ব্যবহার, নম্র আলোচনা ও স্পষ্ট বক্তৃতার জন্য সুপরিচিত। অন্যদিকে শেখ হাসিনা তার অনিয়ন্ত্রিত ভাষা ও হালকা কথাবাতর্ার জন্য সুপরিচিত। তিনিই সম্ভবত একমাত্র পলিটিকাল লিডার যাকে অসংযত কথাবাতর্া বলার জন্য হাই কোর্ট সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বিবেচনায় নিতে পারেন ষাটের দশকে ও সত্তর-একাত্তর সালে তার পিতার দেয়া বক্তৃতার জ্বালাময়ী রাজনৈতিক ভাষার কথা। সেই ভাষা ছিল পাকিস্তানি শাসকদের প্রতি যারা যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল ও পালিয়ে গিয়েছিল। আজ এ দেশ শাসন করছে বাংলাদেশিরাই। তবু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি শেখ হাসিনার ভাষা এখনো তীব্র ঘৃণা প্রদর্শক যা জাতির জন্য খুবই ক্ষতিকর।
আমেরিকার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে শেখ হাসিনা তার দলের সমর্থকদের লাঠি-লগি-বৈঠা নিয়ে রাজধানীতে এসে ঢাকা অচল করার আহ্বান জানিয়েছেন যদি বিরোধী দলের রাজনৈতিক সংস্কারকে উপেক্ষা করে বিএনপি সমর্থক বিচারপতি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব দেয়া হয়।
শেখ হাসিনা জেনে সুখী হবেন যে, তার বিশ্বস্ত সমর্থকরা 200,000 লাঠি-লগি-বৈঠা জড়ো করেছে তাকে ঈদ উপহার দেয়ার জন্য। আজকের ডেইলি স্টার তার প্রথম পৃষ্ঠার এক রিপোর্টে লিখেছে: 200,000 sticks, oars ready for AL বা 200,000 লাঠি-লগি-বৈঠা আওয়ামী লীগের জন্য প্রস্তুুত।
14 দল সমবেতভাবে 200,000 লাঠি-লগি-বৈঠা তৈরি করছে। এজন্য আওয়ামী লীগের 300 সিটি ইউনিটের প্রতিটিকে 200 করে লাঠি-লগি-বৈঠা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারপতি কে এম হাসানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দিন "সবের্াচ শক্তি" দিয়ে রাজপথ দখলের হুকুম দেয়া হয়েছে।
এ নিউজের বিপরীতে একইদিনের ডেইলি স্টারে ফাস্ট র্লিড নিউজ করা হয়েছে, BNP ready to take control of streets বা বিএনপি রাজপথ দখলের জন্য প্রস্তুত- ... অপেক্ষা শুধু আজ দেশে ফিরে হাসানের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের।
ডেইলি স্টার লেখেনি কোথায় এবং কিভাবে বিএনপি সমর্থকরা টেকওভার ব্যাটল বা ক্ষমতা হস্তান্তরকালীন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিউজ পেপারটি এ রকম উত্তেজনাপূর্ণ এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন রিপোর্টের সূত্র উল্লেখ করেনি যাকে দেশে গৃহযুদ্ধপূর্ব পরিস্থিতি সৃষ্টির একটি অপচেষ্টা বলা যেতে পারে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, শেখ হাসিনার কথার জবাবে তারেক রহমান বিএনপির একটি সমাবেশে আ'লীগের বৈঠা-লগির জবাবে বিএনপিকে কাস্তে নিয়ে আসার কথা বলেছেন। এটা তারেক রহমানের হাসিনা স্টাইলের একটি মন্দ আহ্বান। এখন পর্যন্ত ওই আহ্বানকে বিএনপি সমর্থকরা যে হালকাভাবে নিয়েছেন তা রিপোর্টে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে ডেইলি স্টার।
যৌথভাবে নিউজ দুটি পড়ে মনে হবে যে এগুলো ছিল ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার জন্য ঈদ উপহার, যে পত্রিকার স্লোগান হচ্ছে নিউজ উইদাউট ফিয়ার অর ফেভার বা কোনো প্রকার ভয় বা পক্ষপাতিত্ব ছাড়া সংবাদ পরিবেশন। দুভর্াগ্যবশত সেই নিউজ দুটি বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণের মধ্যে অনেক ভয় ও শঙ্কার জন্ম দিয়েছে এবং যা ঈদ গিফট হিসেবে সংঘর্ষপ্রিয় এবং পুরস্কার পিপাসু ব্যক্তির পক্ষে গিয়েছে।
পঞ্চমত, নোবেল প্রাইজের জন্য লবিয়িং করলে সে ব্যক্তিকে চিরজীবনের জন্য নোবেল প্রাইজে মনোনয়নের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। নোবেল প্রাইজের জন্য আন্তজর্াতিকভাবে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে লবিয়িং করার গুজব যখন চারদিকে ভাসছিল তখন একথাটা আমাকে নরওয়ের অ্যাম্বাসাডর বলেছিলেন।
নোবেল প্রাইজ পাওয়ার বাসনা সত্যিই একটি মহৎ ইচ্ছা। মনিকা লুইনিস্কির স্ক্যান্ডাল সত্ত্বেও বিল ক্লিনটন হয়তো কোনো একদিন নোবেল পেতে পারেন। তিনি এটার জন্য সঠিক পথেই কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনাও একদিন নোবেল পেতে পারেন, যদি তিনি উপরোলি্লখিত পথগুলো অনুসরণ করেন।
এবং এটাই তার জন্য আমার ঈদ গিফট। শুভ ঈদ শে. হা., 21 অক্টোবর, 2006
[গাঢ়]শফিক রেহমান[/গাঢ়]
[link|http://www.jaijaidin.com/view_news.php?News-ID=17660&issue=122&nav_id=1][BUvwjK]hvqhvqw`b[/BUvwjK| - Gi
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



