গত 28 অক্টোবর ঘটে গেল স্মরণকালের ভয়াবহ নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাটি বিদেশেও পৌছে যায়। সারা বিশ্বের মানুষ হতবাক হয়ে দেখলো শান্তির জন্য নোবেল বিজয়ীর দেশে এ দেশেরই একটি অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল কিভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা করতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে লিখছি যখন জানতে পেরেছি আমারই মতো তরুণ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট মুজাহিদ, কলেজ স্টুডেন্ট মাসুমকেও সেদিন প্রাণ দিতে হয়েছে। তাদের পিটিয়ে মারার দৃশ্য দেখার পর চোখের পানি ধরে রাখা যে কোনো মায়ের জন্যই ছিল অসম্ভব। আমি নিশ্চিত সেই বৃহৎ দলটির নেত্রীও গোপনে চোখের পানি ফেলেছেন, কারণ তিনিও একজন মা।
মানুষ পিটিয়ে মারার ঘটনায় সবাই ব্যথিত হলেও আমাদের সুশীল সমাজের এতে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তারা চুপ হয়ে আছেন। অথচ তাদের আমরা মনে করেছিলাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। আমরা যারা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট তারা মোটামুটি সবাই এ দেশের কলুষিত রাজনীতির ঘোর বিরোধী। তাই সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের আমরা জাতির বিবেক হিসেবে ধরে নিয়েছিলাম। কিন্তু, সেই তারাই আমাদের হতাশ করলেন।
রাজপথে প্রাণ দেয়া সেসব তরুণ কি তাদের এতোটুকু সমবেদনা পাওয়ার যোগ্য নন? র্যাবের হাতে ক্রসফায়ারে নিহত হওয়া সন্ত্রাসীদের জন্য যদি ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ মানবাধিকারের দাবিতে বিবৃতি দিতে পারেন তবে মুজাহিদ, মাসুমরা কি অপরাধ করেছিল? তারা তো সন্ত্রাসী ছিল না। তাদের জন্য কি মানবাধিকার প্রযোজ্য নয়? কোথায় গেল ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও আবদল্লাহ আবু সায়ীদদের মানবাধিকারের বুলি?
[link|http://www.jaijaidin.com/view_news.php?News-ID=19737&issue=141&nav_id=3][BUvwjK]hvqhvqw`b[/BUvwjK|

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



