somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেসিডেন্টের জন্য নিরপেক্ষতার পরীক্ষা ও নিরপেক্ষতা থেরাপি

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৪:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রবি ঠাকুরের সৃষ্টি কাদম্বিনীকে 'মরিয়া গিয়া প্রমাণ করিতে হইয়াছিল যে, সে এর আগে মরে নাই'। যে কাদম্বিনীর শেষকৃত্য সমাপন করে সবাই বাড়ি ফিরে এসেছিল, সেই কাদম্বিনীর আচমকা আবিভর্াব তাই কেউ মেনে নিতে পারেনি। সবাই ভাবলো, এটা তার ভূত। কোনোভাবেই তার স্বজন বা সমাজের কাছে প্রমাণ করতে পারেনি যে, সে আসলে মরেনি এবং চিতায় পোড়েনি- বেচে উঠেছে। সেই ভূতকে পেটানোর পর তা মরে গেলে সবার হুশ হলো, না কোথাও ভুল হয়ে গিয়েছিল। কারণ মরে ভূত হয়ে গেলে সেই ভূত দ্বিতীয়বার মরতে পারে না।

কাদম্বিনীর দাবি প্রমাণ করার মতো সামনে তবুও একটা উপায় বাকি ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যাতাকলে পড়ে আমাদের বেচারা প্রেসিডেন্রে সামনে সেই ধরনের রাস্তাও মাঝে মধ্যে মনে হয় খোলা থাকছে না। কারণ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার বিএনপি সত্তা মরে গিয়ে নিরপেক্ষ নামক ভৌতিক সত্তা এতোদিন যে কবর জিয়ারত ও ফিতা কাটা জাতীয় কাজ করতো, সেই নিরীহ সত্তা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এসে কাদম্বিনীর চেয়েও বড় জটিল অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন। আওয়ামী লীগের জোর দাবি, তার বিএনপি সত্তা মরেনি। বিএনপি বলছে তা মরে গেছে।

কাজেই যতোটুকু বিএনপি হালুয়া খেয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন আজ ঠিক ততোটুকু আওয়ামী পক্ষের এগিয়ে দেয়া 'গোচোনা' খেয়ে তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। অথর্াতি্বএনপির প্রেসিডেন্ট মনোনীত হয়ে তিনি নিজের যে নিরপেক্ষতা নষ্ট করেছিলেন তা ফিরিয়ে আনতে আওয়ামী লীগের সব বায়না মেটাতে হবে। ফলে অবস্থা দেখে মনে হয় আওয়ামী লীগ কাঙ্কিত 'খনি' পেয়ে গেছে। কারণ বিএনপির গন্ধওয়ালা এ প্রেসিডেন্ট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের কাছ থেকে আওয়ামী লীগের কাজ আদায়ের এটা যেন এক মহাসুযোগ। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চেয়ে বিএনপি গন্ধদূরীকরণে ব্যস্ত ও তটস্থ এবং তার আগের পরিচয়ের জন্য কিছুটা আপদগ্রস্ত এ প্রেসিডেন্রে নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারই কাজের কাজ করে দেবে আওয়ামী লীগের জন্য। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে আওয়ামী লীগের চাপ যতোটুকু এড়াতে পারতো এ সরকার যুক্তিসঙ্গত কারণেই তা পারবে না। এই কাজে একদিকে যেমন পেছন থেকে লাঠি-বৈঠার হুমকি তেমনি অন্যদিকে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে নিরপেক্ষতা থেরাপি প্রয়োগ করা হচ্ছে। দেশের সব 'নিরপেক্ষ' প্রতিষ্ঠানও হুমড়ি খেয়ে এ কাজে নেমে পড়েছে।

নিরপেক্ষতার এই ভেলকিতে বিএনপিসহ চারদলীয় জোট করুণভাবে দেখছে নিরপেক্ষ লেবেল আটা বোতলে খালি আওয়ামী শরাব। সবাই যে নিরপেক্ষ সমাধানের কথা বলছে তাতে বটম লাইনে ওই একই সুর। দেশের শান্তি চাইলে তা তাদের মেনে নিতে হবে। কারণ শান্তি রক্ষার এ দায় খালি বিএনপির ঘাড়েই চেপেছে। কাজেই তাদের মনোনীত ভগ্ন শরীরের প্রেসিডেন্টকে নিরপেক্ষতার কোন পানি পড়া বা শরাব খাইয়ে দেয়া হয় এ দুশ্চিন্তাও ভর করেছে এখন বিএনপি শিবিরে। আর এই খনি থেকে যতোটুকু হীরক তুলে নেয়া যায় তারই যেন সব চেষ্টা করছে 14 দলসহ আওয়ামী লীগ। পর্যবেক্ষক মহলও আগ্রহভরে দেখছে বেচারা প্রেসিডেন্রে আজব পরীক্ষা।

আমার এক চায়নিজ কলিগ। বাবা মুসলমান মা চায়নিজ। আমি মুসলমান শুনে আগ্রহভরে নিজের এ পরিচয়টুকু জানিয়ে দেয়। সে কি তা জানতে চাইলে বলে, আমি কখনো চায়নিজ আবার কখনো মুসলমান হয়ে যাই। কি পদ্ধতিতে তার ঘন ঘন এ পরিবর্তন সংঘটিত হয় তা জানতে চাইলে ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে জানালো, আমি মাঝে মধ্যে শূকর খাই, তারপর কিছুদিন শূকর খাওয়া থেকে বিরত থাকি, কিছুদিন পর আবার খাই। ফলে কখনো চায়নিজ কখনো মুসলমান এবং আবারও চায়নিজ হয়ে যাই।

যুক্তির সীমা যে কতোটুকু বিস্তৃত তা নতুন করে টের পেলাম। কাজেই আমাদের প্রেসিডেন্টকেও ওই চায়নিজ মুসলমানের মতো মাঝে মধ্যে আওয়ামী লীগ ও মাঝে মধ্যে বিএনপি সাজতে হবে। আর বিএনপি সাজার কোটা আগেই যেহেতু বেশি বেশি সেজে শেষ করে ফেলেছেন তাই এখন বাকি দিনগুলোতে বেশি বেশি আওয়ামী লীগ সেজে তা পুষিয়ে দিতে হবে। মহামান্য প্রেসিডেন্রে সামনে জাতিকে রক্ষা করার নিমিত্তে এছাড়া অন্য উপায় নেই।

সব কিছুই যদি তাদের মনের মতো করতে হয় তবে এটা তাদের অতি প্রিয় নামে ডাকা 'নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার' রইলো কোথায় এই প্রশ্ন তুলে লাভ নেই। তাদের দাবি পানির মতো পরিষার অথর্াতাচ বছরের বিএনপির পক্ষের দলীয় সরকার যতোটুকু নিরপেক্ষতার ক্ষতি করেছে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে তিন মাসে তার উল[ো] কাজ করে তা নিরপেক্ষ জায়গায় এনে সেট করতে হবে। এ দেশে বিভিন্ন চেতনা যেমন মৌসুম বুঝে জাগ্রত হয়ে ওঠে, এসব যুক্তিও মৌসুম বুঝে পরিচালিত হয়। তা না হলে সব তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে যদি আওয়ামী লীগের মতো সাবেক বিরোধী দলের কাছে নিরপেক্ষতার এ জাতীয় পরীক্ষায় বসতে হয় তবে আমাদের ভাগ্যের আকাশ পরিষার। সম্ভাব্য জটিলতা এড়াতে বরং এটাকেও সংবিধানে অন্তভর্ুক্ত করে নেয়া হোক যে, প্রত্যেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে গত সরকারের বিরোধী দলকে সন্তুষ্ট করেই কাজ শুরু করতে হবে। আজ যেসব বুদ্ধিজীবী ও চিন্তাবিদ আওয়ামী লীগের দাবি মেনে নেয়ার মধ্যে সম্ভাব্য শান্তির একমাত্র রাস্তা দেখছেন তারা ওপরের এই প্রস্তাবকে কোন দৃষ্টিতে দেখবেন তা বড় জানতে ইচ্ছা করে। নাকি তারা এ সুযোগটা বৈঠার শক্তি ও নিরপেক্ষ সালিশদারদের জন্য উন্মুক্ত রাখতে চান?

এবার বৈঠার শক্তির কাছে মাথানত করে ফেললে ভবিষ্যতে কাস্তের ঝনঝনানিকে কিভাবে সামাল দেয়া হবে তারও রোডম্যাপ একে রাখা দরকার। এখন বৈঠার আঘাত সামলাতে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের সব বুদ্ধি খরচ না করে কিছু বুদ্ধি সম্মুখের দুঃসময়ের জন্য মজুদ করে রাখা দরকার।

সত্যিই একটা দলের গোয়াতর্ুমি এবং নিরপেক্ষ নামক আজব থিংক ট্যাংকগুলোর চাকার নিচে আমরা কেমন জিম্মি হয়ে পড়েছি আমাদের বর্তমান অসহায়ত্ব তাই নির্দেশ করে। গণতন্ত্রের দুয়ার কেমন যেন সঙ্কুচিত হয়ে আসছে আমাদের জন্য। গোয়ার গোবিন্দ 'পাগল'কে ঠাণ্ডা করার জন্য মহামান্য প্রেসিডেন্রে সামনে যে রাস্তা বের করে দেয়া হচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে আরো এ জাতীয় নতুন পাগল সৃষ্টিতে উতাহ জোগাবে তাতে সন্দেহ নেই। তখন ভবিষ্যতের সেই পাগলকে কিভাবে সামলানো যাবে তারও উপায় বের করে রাখা দরকার। কাজেই বর্তমান পাগলকে সামলানোর বিকল চিন্তা করাই প্রেসিডেন্রে জন্য মঙ্গলজনক হতো। যদিও এই পাগলকে সামলানোর জন্য প্রেসিডেন্রে বর্তমান পদক্ষেপ অনেকেই সমর্থন করছেন, তবুও তাদের আশঙ্কা এই 'আস্কারা' আমাদের গণতন্ত্রের ভবিষ্যতে অজানা এক অন্ধকারেই যেন ঠেলে দিচ্ছে। বরং এ পাগলের তাণ্ডবে দু-একটা আচড় খেলেও ভবিষ্যতে আরো বড় জখমের চেয়ে এটা যেন মঙ্গলজনক হতো।

নিরপেক্ষ সালিশদারদের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে আসুন একটু মুক্তভাবে চিন্তা করি। মনে করুন এবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় চলে গেল। তাদের মেয়াদ শেষে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে তাকেও বিএনপির ইচ্ছামতো সব কিছু সেট করার প্রয়োজন সঙ্গত কারণেই পড়বে। কারণ এই পাচ বছরে বিএনপি এখনকার চেয়ে বেশি ভদ্র ও মোলায়েম হয়ে যাবে না। আর আওয়ামী লীগও এমন হাতেম তাঈ হয়ে যাবে না যে সব জায়গায় বিএনপির পছন্দমতো লোক বসিয়ে রাখবে। আওয়ামী লীগ যে তাণ্ডব ও ভাংচুর করছে সেই জাতীয় তাণ্ডব চালানোর মতো সামথর্্য তো চারদলীয় জোটেরও রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আওয়ামী তাণ্ডবে ভীত হয়ে আমাদের যে আজ সবকিছু মানতে হচ্ছে তখনও তো একই পরিস্থিতি দাড়াবে। আজ আওয়ামী লীগের দাবির কাছে মাথা ঝাকিয়ে বলছেন, অতি যুক্তির কথা। ভবিষ্যতে বিএনপি যখন একই রকম দাবি তুলবে তখন কি বলবেন? কাজেই এই তাণ্ডবে ভীত হয়ে আমরা যে সমাধানের দিকে যেতে চাচ্ছি তা আরো খারাপ নমুনা হয়ে থাকবে ভবিষ্যতের জন্য। বরং এই তাণ্ডব বন্ধের জন্য প্রেসিডেন্রে আরো শক্ত ভূমিকাই মঙ্গলজনক হতো। তা সামনের বিরোধী দলগুলোর জন্যও আগাম মেসেজ হিসেবে কাজ করতো। আমরা পেইন কিলার দিয়ে সাময়িক ব্যথা লাঘব করছি মাত্র। মূল সমস্যা সমাধানের দিকে যেতে পারছি না।

ক্ষমতায় গিয়ে প্রত্যেক দলই তাদের সবের্াচ সুযোগের কথা চিন্তা করবে এবং সেভাবেই সব কিছু সেট করবে। এটাই বাস্তব কথা, হক কথা, অপ্রিয় সত্য কথা। আওয়ামী লীগও তাই করেছিল। বিএনপিও করেছে। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগও আবার একই কাজ করবে। বিএনপিও আবারও তাই করবে। এটা মেনে নিয়েই তা নিয়ন্ত্রণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সম্ভাব্য উপায় বের করতে হবে। এ ব্যাপারে যারা আওয়ামী লীগকে ফেরেশতা বা ধোয়া তুলসীপাতা মনে করছেন তাদের চিন্তার জন্য করুণা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্বেও এটা চলে। একই দলের নতুন প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী এলেও সবের্াচ কতর্াব্যক্তির পছন্দমতো টপ টু বটম প্রশাসনে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়ে যায়। তবে সেসব দেশে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ কম। আমাদের মানুষ যতো সচেতন হবে, গণতন্ত্র যতো ম্যাচিওরড হবে ততো এসব নিয়োগপ্রাপ্ত লোকজনের পক্ষে তাদের নিয়োগকতর্ার প্রতি পক্ষপাতিত্ব[্]বের সুযোগ কমে যাবে। আর ততোদিন আমাদের ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা ছাড়া অন্য উপায় নেই।

দুর্বলতা আমরা সবাই জানি। সব যদি পারফেক্ট হতো তবে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিরই প্রয়োজন হতো না। তাছাড়া এসব দলীয় নিয়োগপ্রাপ্ত লোক কিভাবে নিরপেক্ষ ভূমিকা নিতে বাধ্য হয় তারও তো ট্রেনিং হচ্ছে। গত টার্মে আওয়ামী লীগের নিয়োগপ্রাপ্ত ফিল্ড লেবেলে সব কর্মকতর্া থাকার পরও তো চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসতে পেরেছে। তাতে প্রমাণিত হয়, দলীয় নিয়োগপ্রাপ্ত লোকগুলোও একটা পযর্ায়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। আর এই এক্সপেরিমেন্ট ও ট্রেনিংয়ের জন্যই তো সাময়িক ব্যবস্থার এ পদ্ধতি। এরই ধারাবাহিকতায় একদিন দলীয় সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে।

এসব ত্রুটি সাময়িক সহ্য করে যাতে আমরা পারফেকশনের দিকে অগ্রসর হতে পারি সে কারণেই তত্ত্বাবধায়কের মতো সাময়িক এ ব্যবস্থা সংবিধানে যোগ করা হয়েছে। সুতরাং যারা বিরোধী দলের সব আবদার মেনে একটা ফয়সালায় উপনীত হতে চাচ্ছেন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির মূল থিমটাই বুঝতে সক্ষম হচ্ছেন না বলে মনে হয় কিংবা বুঝলেও বিশেষ মতলবে তা চেপে যাচ্ছেন। যেসব লোকের হাতে এসব মীমাংসার ভার দেয়া হয়েছে তারা এই ভারের কতোটুকু উপযুক্ত সে প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। সব প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে কেউ যদি এটা চিন্তা করেন তবে আমার সঙ্গে একমত না হয়ে পারবেন না। এতোটুকু মেনে বা সহ্য করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এ দুর্বলতাকে এখনই সমূলে উতাটন করতে গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিজেই উলে পড়বে। বরং এটাকে নিয়ন্ত্রণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আর এই দক্ষতার ওপরই এ সরকারের সফলতা নির্ভর করে। স্বল স্থায়ী এ সরকার এসব কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে তার মূল কাজ বিঘি্নত হবে। তাছাড়া মানুষ দিন দিন সচেতন হচ্ছে। মিডিয়াও বেশি মুক্ত হচ্ছে। পক্ষপাতিত্ব করে কেউ বেশিদূর অগ্রসর হতে পারবে না।

রাজনৈতিক কারণে এটা নিয়ে সব সময়ের সব বিরোধী দলই হইচই করবে, দাবি জানাবে, চাপ প্রয়োগ করবে। একে রেজিস্ট করার মতো শক্তি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের থাকতে হবে। এই নিয়তিকেও আমাদের মানতে হবে। এটাকে মানতে না চাইলে ভবিষ্যতে আরো বড় ও কষ্টকর নিয়তিকে মানতে বাধ্য হতে হবে। তাই সার্বিক জটিলতা এড়ানোর জন্য বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে তার পূর্ববতর্ীদের মতো কিছু জিনিস ওভারলুক করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগকে খুশি করার সব উদ্য[ো]গ বিএনপিসহ চার দল মেনে নেবে ব্যাপারটা এমন নয়।

নির্বাচিত সরকারের সব কাজকে অন্যায্য ঘোষণা করার এখতিয়ার তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে দেয়া হয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়ে এ জাতীয় জটিলতার দিকেই অগ্রসর হতে চাচ্ছে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ ব্যাপারে দুটি দল যেহেতু ঐকমত্যে পৌছাতে পারছে না তাই ডিসিপ
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×