somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন! :|

২০ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
পত্রিকা মারফত একটা আতংকজনক সংবাদ পেলাম। বেগুনবাড়ী-হাতিরঝিল প্রকল্পে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন! :||



বেগুনবাড়ি-হাতিরঝিল প্রকল্প: ছয়তলা ভবনসহ নয়টি স্থাপনা উচ্ছেদ
সেনাসদস্যসহ দাঙ্গা পুলিশের সহায়তায় এ অভিযান চালানো হয়
সূত্র: প্রথম আলো

ঐ প্রকল্প এলাকায় অনেক আগে থেকেই আমি নিয়মিত যাতায়াত করি। পরিবর্তনটা আমি নিজ চোখেই দেখেছি। প্রকল্পের কাজটা জোরেশোরে শুরু হয় সেনা সমর্থিত গত তত্বাবধায়ক সরকার আমলে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর বড় ভূমিকা আছে।

যে স্থাপনা গুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে সেগুলো হয়ত অবৈধ। সেটা নিরুপন করার দায়িত্ব আদালতের। আদালত নিশ্চয়ই সেটার সমাধান দিয়েছেনও। আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব প্রশাসনের। প্রশাসন পুলিশের সহায়তা নিয়েই এই জাতীয় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় এটাই যথেষ্ট। প্রশাসন চাইলেই আইনগত ভাবে সেনা মোতায়েন করতে পারে। কিন্তু এই উচ্ছেদ অভিযানে সেনা সদস্যদের উপস্থিতির উদ্দেশ্য কি?

প্রশাসন কি ধরেই নিল পুলিশ দিয়ে হবে না? সেনা সদস্যদের প্রয়োজন পরল কেন? পুলিশ দিয়ে না হলে সেনা সদস্যরা কি করবে? গুলি ছুড়বে? ওটা কি যুদ্ধক্ষেত্র? আদালতের রায় বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশাসনের সন্দেহ ছিল কি? তাই কি একধরনের জোর করা হল? প্রশাসন কি সন্ত্রাসীদের মত জোর যার মুল্লুক তার নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে পরছে? সাধারন মানুষকে সামরিকশক্তির ভয় দেখিয়ে প্রশাসন কি হাসিল করল? সেনাবাহিনীকে তাহলে কি সাধারন মানুষকে ভয় দেখানোর কাজেই রাখা হয়েছে? দেশের আরও এমন অনেক অবৈধ কাজের ব্যপারে কেন সেনা মোতায়েন হয় না? এই জোর করে উচ্ছেদ কার স্বার্থে?

অনেকেই হয়ত বলবেন সেনাসদস্যদের ছাড়া উচ্ছেদ করা যেত না তাই তাদের উপস্থিতি ঠিক আছে। Desperate situation requires desperate measures – মানলাম। কিন্তু এটা কি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হল? এভাবে কি কোন সমস্যার সমাধান হয়েছে কোনদিন? এই জাতীয় অস্থায়ী সমাধান কি আরও বড় সমস্যা ডেকে আনে না? ক্রসফায়ার করে সন্ত্রাসীদের কি পুরোপুরি নির্মূল করা গেছে? অপরাধ আসলে কতটুকু কমেছে?

সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান। শুধু যুদ্ধ নয়, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা বা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাজেও তাদের অনেক ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে সেনা সদস্যদের যথেচ্ছা ব্যবহার করে তাদের কি বিতর্কিত করা হচ্ছে না? এমনও দেখা গেছে যে সেনাসদস্যদের দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে! সব কিছুরই একটা চটজলদি অস্থায়ী সমাধান বের করা আরকি!

জোর যার মুল্লুক তার নীতিই যদি প্রশাসনের পছন্দ হবে তাহলে পূর্নাঙ্গ সামরিক শাসন আসুক না, ক্ষতি কি ?! কিন্তু সেনাশাসনের অধীনে প্রশাসন তাহলে কেন অস্থস্তি বোধ করেন?

সমস্যার সমাধানে শর্টকাট বলে কিছু নেই। যে কোন গভীর সমস্যার মৌলিক সমাধানই আমাদের মত সাধারন জনগনের কাম্য। একজন সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ হিসেবে উপরের প্রশ্নগুলি করা আমার অধিকার। গনতন্ত্রের একটা বড় বৈশিষ্ট্য জবাবদিহিতা। এসব ছোটখাট সিদ্ধান্তও কি সরকারের প্রতি আমাদের অনাস্থা তৈরি করে না?


(এই বিষয়ে আপনি কি ভাবছেন? মন্তব্য আশা করছি। জবাব দেয়ার দায়িত্ব অবশ্য আমার নয়! সরকারের !! )
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:০০
১৬টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×