কথায় আছে কালসাপের সাথে বন্ধুত্ব করতে নেই কারন যখন কালসাপের স্বার্থে আঘাত লাগবে তখন ঠিকই ছোবল মারবে। গণজাগরণ কর্মীদের জন্য আমার মায়া হচ্ছে, ওরা কার সাথে বন্ধুত্ব করলো, কার সাথে যুগপৎ আন্দোলন করলো, তারাই কি না আজ ওদের উপর হামলা করছে। গণজাগরণ কর্মীরা তোমারা কি জানো না, ওরা তো মানুষ না ওরা আওয়ামীলীগ। তোমরা হয়তো ভেবেছিলে ওরা তো একদিন তোমাদের বিরিয়ানি, জুস কিনে খাওয়াইছিল আজকেও এমনি কিছু হবে। আজও ওরা দিয়েছে তবে বিরিয়ানি, জুস না মার দিয়েছে। ওদের তো তোমাদের দিয়ে প্রয়োজন শেষ তাই এই অবস্থা। যে পুলিশ তোমাদের ত্রি-স্তর বেষ্টনী দিয়ে নিরাপত্তা দিয়েছিল তারাই কি না আজ তোমাদের পিঠে লাঠি ভাংলো।
এই কয় দিনে কি এমন হল যে তোমাদের জামাই আদর থেকে একেবারে রাস্তায় ছুঁড়ে মারল? তোমরা না দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা? তোমরা না মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ? আজ তো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় তাহলে তোমাদের কেন এমন হাল? আমি তো কনফিউসড, আসলে কারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি তোমরা না আওয়ামীলীগ? মুক্তিযুদ্ধের ঠিকাদারি নিয়ে কোন ঝামেলা হয় নাই তো? হলেও হতে পারে, আমারা তো ভাই আম জনতা অত্ত কিছু বুঝিনা। যে যা কয় তাই শুনি। যুদ্ধের পরে জন্ম তো। তবে আমার খুব খারাপ লাগতেছে এই ভেবে যে আমারা মনে হয় ইমরান এইচ সরকারের আদেশে আর কোনদিন পতাকা উঠানো বা নামানোর সৌভাগ্য হবে না। আসলে হাসিনা সরকারের কাজ শেষ এদের দিয়ে। এদের দিয়ে যে কাজ করাইছে তাতে আগামী ৫ বছর আরামে ক্ষমতায় থাকতে পারবে তাই আর গনজাগন ফনজাগরন রেখে ঝামেলায় পড়তে চাইবেনা এই সরকার তা এখন দিবালোকের মতো সত্য। কবে আবার আওয়ামীলীগকে যুদ্ধ অপরাধীর দল হিসাবে শ্লোগান দিতে থাকে এই ভয়ে। বলা তো যায় না , মানুষ দিয়ে এখন আর বিশ্বাস নাই। সর্বশেষ, এত তাড়াতাড়ি এবং দুখজনক ভাবে গণজাগরণ মঞ্চের নাটকের সমাপ্তি ঘটবে আমি আশা করি নি।
THE END