ঠাকুর এখন কি করবে? ঠাকুরের ঘরে যে ভুতের বাসা। ভুতে খচরমচর করে। ঠাকুরের মন্ত্র চাপা পড়ে গেছে খচরমচরের নিচে।
জানি না শেখ হাসিনাও বা এখন কি করবে? তার ঘরে বরণ করে নেয়া হলো কনিষ্ঠ ভুতদের। দুই জন ছাত্র শিবিরের সাথী। তারা এখন সাইমুম শিল্পগোষ্ঠীর গান গেয়ে ওঠবে। সেই গানের নিচে চাপা পড়বে শেখ হাসিনার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আহারে...উফফ...!
সভাপতি সাহেব গুণধর মানুষ। চাচা আব্দুল হামিদ হাওলাদার ছিলেন বাগের হাটের মোড়েলগঞ্জের পিস কমিটির নেতা। দুলা ভাই ওয়াহেদ কমান্ডার ছিলেন রাজাকার কমিটির কমান্ডার। প্রিয় শিক্ষক আব্দুর রব জামায়াতের রোকন। রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে দলের গোপণ ক্যাডারকে চাকরি দিলেন রেড ক্রিসেন্টে।
সাধারণ সম্পাদকের ঈমানী জোশ অনেক সরস। মৌলানা মানুষ তিনি। মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাশ করেছেন। শিবির তার জন্য অনেক করেছে। ফোকাসের শাহবাগ শাখায় কোচিং করালো। নিজেদের মেসে রাখল। তারপর উর্দু ও ফার্সী বিভাগে ভর্তি করিয়ে পাঠিয়ে দিল ছাত্রলীগে। তারজন্য শিবির কি না করলো। সূর্যসেন হল থেকে ছাত্রলীগের কত নেতাকেই না মার খেয়ে পালাতে হতো। সাথী ভাই সব সময় বহাল তবিয়তে থাকতেন।
কথা তুলে লাভ কি? শেখ হাসিনার যখন পছন্দ হয়েছে। অবশ্য পেটের মেয়েকে যিনি রাজাকার পুত্রের ঘরে পাঠাতে পারেন তারপক্ষে নিজের ঘরে শিবিরের দুই সাথীকে টেনে নিলে কি দোষ হবে।
তবে ব্লগে চেতনাধারীরা নিশ্চয় কিছুক্ষণের মধ্যে একটা ব্যাখ্যা আবিষ্কার করবেন।