আমাদের সময় ডাকাতি করে নিয়ে গেছেন ব্যবসায়ী নুর আলী গং। যতই আইনের প্যাচ দেখানো হোক না কেন আমরা জিলাপী খাব না। আমরা নাইমুল ইসলাম খানকে সমর্থন করব। কেননা...
১. নাইমুল ইসলাম খানের মধ্যে সততা আছে। তিনি বাবার রাজাকারি অস্বীকার করেন নি। বরং নিজের সম্পাদিত পত্রিকায় বাবার বিরুদ্ধে রিপোর্ট ছেপেছেন।
২. তার কাছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা টাকার গরম দেখিয়ে খাতির করেন। তিনি পত্রিক ব্যবসার খাতিরে খাতির রাখেন। কিন্তু কখনোই কোন ব্যবসায়ীকে তিন মাথায় চড়তে দেন না। মালিক পক্ষ বা পার্টনার হিসেবে যখন ব্যবসায়ীরা তার উপর ছড়ি ঘোরাতে পারে না তখন তারা আর আপসেই সরে যায়। বাংলাদেশের কোন সম্পাদকই এমন দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারেনি।
৩. নাইমুল ইসলাম খান ধান্দাবাজি করে, দুই হাজার টাকায় বিক্রি হয়, এমন অভিযোগ অনেকেই করতে পারে। ঘটনার সত্যতা কোথাও যে নাই তাও না। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, নাইমুল ইসলাম খান সম্পাদক হিসেবে কি খুব বেশি অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন। যত বছর ধরে তিনি সম্পাদক, যত সিনিয়র সম্পাদক, সেই হিসেবে কি তার তেমন সম্পদ আছে?
৪. নাইমুল ইসলাম খান এমন সম্পাদক যার স্ত্রী, ভাই, ভাতিজীদেরও সংবাদ মাধ্যমে কাজ করতে হয়। যারা সম্পাদকের পোষ্য বা স্বজন হিসেবে কোটি কোটি টাকার ব্যবসায়ের ভাগ হাতাচ্ছে না।
৫. কিন্তু দেশ মান্য এমন এমন সম্পাদক আছেন যাদের অর্থবিত্ত সত্যিই শিউরে ওঠার মতো। তাদের কেউ কেউ নাইমুল ইসলাম খানের অধীনস্থ সাংবাদিক ছিলেন। বাংলাদেশে অনেকে সম্পাদক আছে যাদের নিউ ইয়র্কে, মালয়েশিয়ায়, সল্টলেকে, নিউজিল্যান্ডে বাড়ি আছে। নাইমুল ইসলাম খানের কোথায় বাড়ি আছে?
নাইমুল ইসলাম খানকে সংহতি
আমরা নাইমুল ইসলাম খানের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। তাকে আমরা সত্যি সংহতি জানাই। তার দুর্ভাগ্যের জন্যই আমরা তাকে সংহতি জানাই। নিশ্চয় তার পথচলাকে ডাকাতেরা থামিয়ে দিতে পারবে না।